ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণার দারপ্রান্তে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল প্রায় চূড়ান্তের কাজও শেষ করেছে সংস্থাটি। ইসি ভোট আয়োজনের সূচি আজ বুধবার সন্ধ্যা কিংবা আগামীকাল বৃহস্পতিবার ঘোষণা করতে যাচ্ছে। এ জন্য ইসি সচিবালয় প্রয়োজনীয় সব কাজ গুছিয়ে এনেছে, বলছেন সংশ্লিষ্টরা। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) নাসির উদ্দিন টেলিভিশন ও বেতারে ভাষণের মাধ্যমে এ তফসিল জানাবেন। খবর বিডিনিউজের।
গতকাল মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার নির্বাচনের প্রস্তুতির সার্বিক অগ্রগতি তুলে ধরে বলেন, ‘আমাদের তফসিল ঘোষণার অপেক্ষা মাত্র।’
সিইসির ভাষণ রেকর্ডের জন্য বুধবার (আজ) টিভি ও বেতারকে ডেকে পাঠানোর খবর আগের দিন সোমবারই জানানো হয়েছে। আজ দুপুরে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে সিইসির সৌজন্য সাক্ষাতের পর বিকালে ভাষণ রেকর্ডের প্রস্তুতি রয়েছে। ইতোমধ্যে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে সার্বিক অগ্রগতি তুলে ধরেছে ইসি। গতকাল প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন সিইসি। এর আগে নিজেদের মধ্যে সভা করে কমিশন তফসিল বিষয়ক সিদ্ধান্তগুলো এগিয়ে রেখেছে।
ইসি কর্মকর্তারা বলছেন, রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করে আসার পর বুধবার সন্ধ্যাতেই তা ঘোষণা করতে পারেন সিইসি। পরদিন দিনের যেকোনো ভাগেও তা হতে পারে। আর ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে ভোট হবে তা আগেই জানা গেছে; সঙ্গে যোগ হয়েছে গণভোট। এতে প্রথমবারের মত সংসদ নির্বাচন ও গণভোট এক সঙ্গে হতে যাচ্ছে, যা ইসির জন্য হবে নতুন অভিজ্ঞতা। এর সঙ্গে পোস্টাল ভোটিং যুক্ত হয়েছে এবং গণভোটও দিতে পারবেন নিবন্ধিত প্রবাসী বাংলাদেশিরা।
ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল থেকে ভোটের দিন পর্যন্ত প্রায় দুই মাস বা ৬০ দিন ব্যবধান রাখা হবে বলে ইতোমধ্যে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। সেক্ষেত্রে মনোনয়নপত্র জমার শেষ দিন, বাছাই, প্রত্যাহারের শেষ সময় আগের চেয়ে তুলনামুলক বাড়ানো হতে পারে। একই দিন সংসদ ও গণভোট হওয়ায় এবার ভোটগ্রহণের সময় এক ঘণ্টা বাড়িয়ে সকাল সাড়ে ৭টা থেকে বিকাল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত রাখা হবে।












