পবিত্র ফাতেহা–ই–ইয়াজদাহম আজ। সারা দেশে যথাযথ ধর্মীয় মর্যাদায় ও ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে দিবসটি পালিত হবে। গাউসুল আযম বড় পীর হযরত আবদুল কাদের জিলানি (র.)-এর ওফাত দিবস বিশ্বের মুসলমানদের কাছে ‘ফাতেহা–ই–ইয়াজদাহম’ নামে পরিচিত। ‘ইয়াজদাহম’ ফারসি শব্দ, যার অর্থ এগারো। ‘ফাতেহা–ই–ইয়াজদাহম’ বলতে রবিউস সানি মাসের এগারো–এর ফাতেহা শরিফকে বোঝায়। এই পবিত্র ফাতেহা–ই–ইয়াজদাহম শরিফ ইমামুল আউলিয়া পীরানে পীর গাউসুল আযম দস্তগীর হযরত মুহিউদ্দিন আবদুল কাদের জিলানি (র.)- এর স্মরণে পালিত হয়। দিবসটি সমগ্র বিশ্বে, বিশেষ করে এ উপমহাদেশের মুসলিমদের কাছে অতীব তাৎপর্যপূর্ণ। মহান ওলিগণ জিহাদের ময়দান থেকে সামান্য সময়ের জন্যও পিছু হটেননি। তাঁরা শরিয়ত, তরিকত, হাক্কিকত ও মারিফাতের ঝাণ্ডা নিয়ে বিশ্বের আনাচে–কানাচে ছুটে চলতে শুরু করেন। প্রতিষ্ঠা করেন লাখ লাখ দ্বীনি মারকাজ, মসজিদ–মাদ্রাসা ও খানকা। এরূপ প্রতিটি খানকাই ছিল তৎকালীন জ্ঞান–বিজ্ঞান চর্চার শ্রেষ্ঠ বিশ্ববিদ্যালয়। এসব খানকা থেকেই এলমি রুহানি যোগ্যতা নিয়ে বের হয়েছিলেন হাজার হাজার মুজাহিদ। বড়পীর আবদুল কাদের জিলানির (রহ.) সাপ্তাহিক মাহফিলে তৎকালীন জামানায় হাজারো মানুষ হাজির থাকতেন। তার কণ্ঠের আওয়াজ এবং আহ্বান শুনে অনেকেই আর ঘরে ফেরেননি, ছড়িয়ে পড়েছেন বিশ্বের সর্বত্র। কোটি কোটি মানুষ তার নিকট ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে ধন্য হয়েছেন। পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশের ওলিগণের ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, বেশির ভাগই কাদেরিয়া, চিশতিয়া তরিকার শায়খ বা পীর। দিবসটি বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে পালন করা হবে।