আজ থেকে মনোনয়নপত্র বিতরণ

উচ্ছ্বাস-আনন্দ এবং শঙ্কার সিজেকেএস নির্বাচন

ক্রীড়া প্রতিবেদক | মঙ্গলবার , ৭ নভেম্বর, ২০২৩ at ৬:১৪ পূর্বাহ্ণ

দেশের ফেডারেশনগুলো থেকে শুরু করে জেলা ক্রীড়া সংস্থা। কোথাও কোন নির্বাচন নেই। কেবল সরকার দলীয় লোকজন একটি প্যানেল করে নির্বাচনের কাজটি সেরে ফেলে। যেখানে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয় কেবল তাদেরই মধ্যে। সারা দেশের মত চট্টগ্রামও ব্যতিক্রম নয়। গত দুই মেয়াদে চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থায় নির্বাচন হয়নি। ফলে কাউন্সিলররা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেনি। যদিও গতবার কেবল একটি পদে নির্বাচন হয়েছে। তাও কেবল নাম মাত্র। কারণ সেবার যিনি নির্বাচন করেছিলেন তিনি ছিলেন স্রোতের বিপরীতে। তাই তার নির্বাচিত হওয়ার সম্ভাবনা যে ছিল না সেটা সবারই জানা ছিল। তাই শেষ পর্যন্ত ফল যা হওয়ার তাই হয়েছে। সে নির্বাচনের পর গত কমিটির চার বছর পেরিয়ে গেছে। এরই মধ্যে নির্বাচনের শিডিউল ঘোষণা করা হয়েছে। আবার নির্বাচনকে ঘিরে কিছুটা হলেও উৎসাহ দেখা দিয়েছে। আবার পাছে ভয়ও তাড়া করছে। বরাবরের মত এবারেও ভোটার কিংবা নির্বাচন প্রত্যাশিদের হতাশ হতে হবেনা তো? যদিও চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থার নির্বাচনের বাটন যার হাতে সেই সংস্থার সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন পরিস্কার জানিয়ে দিয়েছেন তিনি নির্বাচন চান। নির্বাচনের মাধ্যমেই নেতৃত্ব আসুক। শুধু তিনিই নন, বেশিরভাগ কাউন্সিলর যারা নির্বাচন করবেন বা যারা করবেন না সবাই চায় নির্বাচন। কিন্তু কথায় আছে না “ঘর পোড়া গরু সিঁদুরে মেঘ দেখলেও ভয় পায়”। তাই সবার মধ্যে কেমন যেন একটা অজানা ভয়। নির্বাচন হবে তো? নাকি কোন অদৃশ্য শক্তির কারনে আবার নির্বাচন থেকে বঞ্চিত হবে জেলা ক্রীড়া সংস্থার কাউন্সিলররা।

যদিও সংস্থার সাধারন সম্পাদক বারবার একই কথা বলছেন। তিনি আর কাউকে টানতে চান না। এটা তার জন্য বিব্রতকর। কারণ কাকে রেখে কাকে টানবেন তিনি। তাই নির্বাচনের ময়দানকে উন্মুক্ত করে দিয়েছেন তিনি। একদিকে উচ্ছ্বাস আর অন্য দিকে অজানা আতংক। তারই মাঝে শুরু হয়ে গেছে জেলা ক্রীড়া সংস্থার নির্বাচনের কার্যক্রম। যেখানে গত গত ২ নভেম্বর প্রকাশ করা হয় খসড়া ভোটার তালিকা। এই খসড়া ভোটার তালিকার উপর আপত্তি করার সময় ছিল গত ৪ নভেম্বর। আদালতের নিষেধাজ্ঞার কারণে ভোটার তালিকায় জায়গা হয়নি মাদারবাড়ি মুক্তকণ্ঠ ক্লাবের তিন কাউন্সিলরের। তাদের একজন দিদারুল আলম চৌধুরী নির্বাচন কমিশনের কাছে আপত্তি দাখিল করেছিলেন। কিন্তু আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকায় সে আপত্তি নাকচ হয়ে যায়। এরপর তিনি বিভাগীয় কমিশনারের কাছে আপত্তির কথা জানিয়েছেন। এছাড়া আর কোন আপত্তি পড়েনি খসড়া ভোটার তালিকার উপর। ফলে গতকাল চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হয়। যেখানে ২৫২ জন কাউন্সিলরের নাম রয়েছে। অর্থাৎ এই ২৫২ জনই ভোট দেওয়ার এবং ভোট করার অধিকার রাখে। নির্বাচনের শিডিউল মোতাবেক আজ থেকে মনোনয়ন পত্র বিক্রি করা হবে। ৭, ৮ এবং ৯ নভেম্বর এই তিন দিন মনোনয়ন পত্র কেনা যাবে একই সাথে জমাও দেওয়া যাবে। তবে জমা দেওয়ার সময় একদিন বেশি রাখা হয়েছে। আজ থেকে ১১ নভেম্বর পর্যন্ত মনোনয়ন জমা দেওয়া যাবে। এরপর মনোনয়ন বাছাই, প্রত্যাহার সহ পরবর্তী কার্যক্রম পরিচালিত হবে। আগামী ২৫ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে বহু প্রতিক্ষিত চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থার নির্বাচন। মোট ২৬টি পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। যেখানে চারজন সহ সভাপতি, একজন সাধারন সম্পাদক, একজন অতিরিক্ত সাধারণ সম্পাদক, দুইজন যুগ্ম সম্পাদক, একজন কোষাধ্যক্ষ এবং ১৭ জন নির্বাহি সদস্য। এই ১৭ জনের মধ্যে আবার চারজন সংরক্ষিত আসন থেকে নির্বাচিত হবেন। দুটি মহিলা পদের জন্য যদি দুই এর বেশি প্রার্থী থাকে তাহলে সেখানে নির্বাচন হবে। আর উপজেলার দুটি পদের জন্য যদি দুই এর বেশি প্রার্থী থাকে তাহলে সেখানেও নির্বাচন হবে। অন্যথায় নির্বাহি সদস্য হবে ১৩টি। চার বছর পর যেহেতু ভোট দেওয়ার একটি সুযোগ আসে তাই চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থার কাউন্সিলরদের মাঝে উৎসাহ, উদ্দিপনা, আগ্রহ সবই কাজ করছে। পাছে অজানা আতংক, ভয় আর শংকাও ভর করছে। যদি আবারো ভোটাধিকার হরণ হয়ে যায়। তাই অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে আসলে জেলা ক্রীড়া সংস্থার এই নির্বাচনের গাড়ি কোনদিকে যাচ্ছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধক্রিকেট ইতিহাসে প্রথম ‘টাইমড আউট’ ম্যাথিউস
পরবর্তী নিবন্ধঅভিষেক-ঐশ্বরিয়ার দাম্পত্য কি ভাঙনের পথে!