ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের আঘাতে ভেঙে পড়েছিল সন্দ্বীপ নৌরুটের কুমিরা ব্রিজের লোহার নির্মিত ওয়াকওয়ে। ফলে যাত্রীদের উঠানামায় পড়তে হয়েছে চরম ভোগান্তিতে। কোমর সমান পানি আর কাদা মাড়িয়ে ভাটার সময় কুমিরা ঘাটে প্রায় আধ কিলোমিটার পথ পাড়ি দেয় যাত্রীরা।
গতকাল রবিবার সকালেও দেখা গেছে ভোগান্তির চিত্র। স্পিডবোট থেকে কোমর পানিতে নেমে কাদা মাড়িয়ে দীর্ঘপথ পাড়ি দিচ্ছিল যাত্রীরা।
যাত্রীদের দুর্ভোগ লাঘবে তাই দ্রুত লোহার ব্রিজটি সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছে বিআইডব্লিউটিএ। যদিও প্রথমে বলা হয়েছে এক মাস লাগতে পারে এটি সংস্কারের। কিন্তু দ্রুত কাজ শুরু করায় এক সপ্তাহে দুর্ভোগ থেকে মুক্তি পেতে যাচ্ছে যাত্রীরা।
কুমিরা ঘাটের পরিচালক শামসুল আলম (দলু কোম্পানি) দৈনিক আজাদীকে জানান, ভাটার সময় যাত্রীদের উঠানামার সুবিধার্থে বিআইডব্লিউটিএর তত্ত্বাবধানে আমরা দ্রুত লোহার ব্রিজটি মেরামতের উদ্যোগ নিই। আশাকরি সোমবার (আজ) থেকেই যাত্রীরা লোহার ব্রিজটি ব্যবহার করতে পারবেন। অপরিকল্পিতভাবে লোহার এই ওয়াকওয়ে নির্মাণ করায় জোয়ারের সময় এটির সাথে লাইফবোট (লালবোট) ও স্পিডবোট ভিড়ানো একদিকে ঝুকিপূর্ণ অন্যদিকে এগুলো ক্ষতিগ্রস্তও হয় বলে জানান তিনি। এছাড়া মূল জেটির সামনের দিকে পিলারের তলদেশ ক্ষয় হওয়ার আশংকায় এটি পুনঃসংস্কারের সময় নতুন জেটির দৈর্ঘ্য পূর্বদিকে যেন বৃদ্ধি করা হয় সেজন্য বিআইডব্লিউটিএর কাছে অনুরোধ জানান তিনি। এছাড়া বিআইডব্লিউটিএ অনুমতি না দেয়ায় যাত্রীদের উঠানামার সুবিধার্থে গুপ্তছড়া ঘাটের ন্যায় ইজারাদারের উদ্যোগে কুমিরা প্রান্তে কাঠের ওয়াকওয়ে নির্মাণ করতে পারেন না বলে জানান তিনি।
অনলাইন এন্ড সোস্যাল এক্টিভিস্ট ইকবাল ইবনে মালেক দৈনিক আজাদীকে বলেন, লোহার ব্রিজ আমাদের স্থায়ী সমাধান হতে পারেনা, আমরা টেকসই এবং স্থায়ী সমাধান চাই। ইতিপূর্বে আমরা দেখেছি লোহার ব্রিজ সাময়িক দুর্ভোগ লাঘব করেছে কিন্তু এখন শিশু আর বয়স্ক লোকের উঠানামা ঝুঁকিপূর্ণ। তাছাড়া ৪০ লক্ষ টাকার ব্যয়ে নির্মিত ব্রিজ ৩ মাসের মাথায় ঘূর্ণিঝড়ে ভেস্তে গেল এতে সমস্যা সমাধান না হয়ে আরও সংকট তৈরি হল। এভাবে ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজ নির্মাণ করে সন্দ্বীপবাসী দুর্ভোগ দূর করা যাবেনা।