আজ থেকে কাপ্তাই হ্রদে মাছ শিকার বন্ধ

৫৫ টন পোনা ছাড়ার লক্ষ্যমাত্রা

রাঙামাটি প্রতিনিধি | বৃহস্পতিবার , ২৫ এপ্রিল, ২০২৪ at ৭:৪০ পূর্বাহ্ণ

আজ বৃহস্পতিবার থেকে তিন মাসের জন্য বন্ধ হচ্ছে কাপ্তাই হ্রদে মাছ শিকার। এই সময়টাতে রাঙামাটির আট ও খাগড়াছড়ির দুই উপজেলা নিয়ে বিস্তীর্ণ কাপ্তাই হ্রদে মাছ শিকার করা যাবে না। তিন মাসের নির্ধারিত নিষেধাজ্ঞা শেষে আগামী ২৫ জুলাই মাছ আহরণের শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। নিষেধাজ্ঞার নির্ধারিত সময়েও হ্রদে পর্যাপ্ত পানি না বাড়লে বর্ধিত হতে পারে নিষেধাজ্ঞার সময়; এমনটাই বলছে জেলা প্রশাসন সূত্র।

প্রতি বছরের তিন মাস কাপ্তাই হ্রদে কার্পজাতীয় মাছের সুষম বৃদ্ধি, মাছের প্রাকৃতিক প্রজনন নিশ্চিতসহ জীববৈচিত্র্য রক্ষায় হ্রদে মাছ শিকার বন্ধ করে দেয় প্রশাসন। এ সময়টাতে হ্রদের মাছ বাজারজাতসহ স্থানীয় বরফকলগুলোও বন্ধ থাকে। ধারাবাহিক নিয়মানুসারে, প্রত্যেক বছরের পহেলা মে থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত তিন মাস কাপ্তাই হ্রদে মাছ আহরণ বন্ধ থাকে। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে হ্রদের পানি অস্বাভাবিকভাবে দ্রুত কমার কারণে নির্ধারিত সময়ের আগেই বন্ধ করা হচ্ছে মাছ ধরা।

গত বছরও নির্ধারিত সময়ের ১২ দিন আগেই বন্ধ করা হয় মাছ শিকার। আবার তিনমাসের নির্ধারিত সময়ে হ্রদে পর্যাপ্ত পানি না বাড়ায় দুই দফায় আরও ১ মাস ১২ দিন বন্ধের সময় বর্ধিত করা হয়। ৪ মাস ১২ দিন মাছ আহরণে নিষেধাজ্ঞা শেষে ১ সেপ্টেম্বর থেকে কাপ্তাই হ্রদে ফের মাছ আহরণ শুরু হয়। এবারও নির্ধারিত সময়ে ছয়দিন আগেই মাছ শিকার বন্ধ হয়েছে। মাছ শিকার বন্ধকালীন সময়ে হ্রদে কার্পজাতীয় মাছের পোনা ছাড়বে বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএফডিসি)

মৎস্য অধিদপ্তরের হিসাবে, রাঙামাটির রাজস্থলী ও কাউখালী ছাড়া বাকি আট উপজেলা ও খাগড়াছড়ির দীঘিনালা এবং মহালছড়ি উপজেলা মিলে কাপ্তাই হ্রদের ওপর নির্ভরশীল প্রায় সাড়ে ২৬ হাজার নিবন্ধিত জেলে রয়েছেন। তিন মাস হ্রদে মাছ শিকার বন্ধকালীন সময়ে হ্রদনির্ভর জেলে পরিবারগুলোকে ভিজিএফ কার্ডের মাধ্যমে খাদ্যশস্য সহায়তা দেয়া হয়ে থাকে।

কাপ্তাই হ্রদ মৎস্য উন্নয়ন ও বিপণনকেন্দ্রের ব্যবস্থাপক কমান্ডার মো. আশরাফুল আলম ভূঁইয়া বলেন, বুধবার মধ্যরাত অর্থাৎ ২৫ এপ্রিল থেকে কাপ্তাই হ্রদে তিন মাসের জন্য মাছ শিকার বন্ধ থাকবে। মাছ শিকার বন্ধকালীন সময়ে প্রতি বছরের মতো কাপ্তাই হ্রদে কার্পজাতীয় মাছের পোনা অবমুক্ত করা হবে। এ মৌসুমে আমাদের ৫৫ মেট্রিক টন পোনা অবমুক্তকরণের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। আগামী ৪ মে মন্ত্রী মহোদয় উপস্থিত থেকে মাছের পোনা অবমুক্ত ও জেলে পরিবারের মাছে ভিজিএফ কার্ডের খাদ্যশস্য বিতরণ কার্যক্রম শুরু করবেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধউপজেলা ভোটে মন্ত্রী-এমপিদের স্বজন : সময়মত ব্যবস্থার ঘোষণা কাদেরের
পরবর্তী নিবন্ধথাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা