একুশে পদক নিয়ে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে ফিরে উষ্ণ সংবর্ধনা পেলেন স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সংবাদপত্র দৈনিক আজাদী সম্পাদক এম এ মালেক। নগরীর খলিফাপট্টিতে ২০ নম্বর দেওয়ান বাজার ওয়ার্ড কাউন্সিলর, সাবেক প্যানেল মেয়র চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনীর উদ্যোগে এ সংবর্ধনা দেয়া হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন এলাকার সর্বস্তরের মানুষ। পুরো এলাকাকে সজ্জিত করা হয় অসংখ্য ব্যানার-ফেস্টুনে। রাস্তায় ছিল লাল কার্পেট। এলাকাবাসীর আনন্দ উৎসাহে সৃষ্টি হয় এক অন্যরকম আবহ।
একুশে পদক প্রাপ্ত দেশের সবচেয়ে প্রবীণ সম্পাদক এম এ মালেক ঢাকা থেকে সড়ক পথে গতকাল বিকেলে চট্টগ্রামে পৌঁছেন। এ উপলক্ষে নগরী ও জেলার বিভিন্ন এলাকায় অসংখ্য ব্যানার ফেস্টুন স্থাপন করা হয়। নিজের এলাকা নগরীর দেওয়ান বাজারস্থ ঘাটফরহাদবেগের খলিফা পট্টিতে আয়োজন করা হয় তাৎক্ষণিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের। স্থানীয় মহিলা কাউন্সিলর রূমকী সেনগুপ্ত ফুলের তোড়া ও মালা দিয়ে এম এ মালেককে স্বাগত জানান। এই সময় খলিপাপট্টি বণিক সমিতিসহ স্থানীয় বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকেও ফুলের তোড়া প্রদান করা হয়।
সংবর্ধনা সভায় চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী এম এ মালেককে নিজেদের অভিভাবক হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, তাঁর ছায়ায় আমাদের বেড়ে ওঠা। তাঁকে সম্মানিত করার মাধ্যমে সরকার পুরো চট্টগ্রামকে সম্মানিত করেছে, দেওয়ানবাজারকে সম্মানিত করেছে। তিনি দৈনিক আজাদীকে চট্টগ্রামের মুখপত্র হিসেবে উল্লেখ করেন।
সংবর্ধনার জবাবে এম এ মালেক বলেন, দৈনিক আজাদী চট্টগ্রামের পত্রিকা। চট্টগ্রামের মানুষের সুখ দুঃখের কথা বলার জন্য আমার বাবা দৈনিক আজাদী প্রকাশ করেছিলেন। আমি নিজেও বাবার সেই আদর্শ ধরে রাখার চেষ্টা করেছি। দৈনিক আজাদীকে চট্টগ্রামের মাটি ও মানুষের সুখ দুঃখের অংশীদার করেছি। সুযোগ থাকলেও ঢাকা বা রাজধানী থেকে পত্রিকা প্রকাশ করে জাতীয় পত্রিকা করতে চাইনি। চট্টগ্রামের মানুষের ভালোবাসায় সিক্ত দৈনিক আজাদী সম্পাদক হিসেবে একুশে পদক পেয়েছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই প্রাপ্তি চট্টগ্রামের। আমি চট্টগ্রামের মানুষের জন্য এই পদক উৎসর্গ করতে চাই এবং ভবিষ্যতেও চট্টগ্রামের মানুষের পত্রিকা হিসেবে, চট্টগ্রামের মানুষের সুখে দুঃখে, সাফল্য-সম্ভাবনায় পাশে থাকতে চাই।
এম এ মালেক জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শুদ্ধা জানিয়ে বলেন, তিনি আমাদের একটি দেশ দিয়ে গেছেন, দিয়ে গেছেন একটি পতাকা। একুশে পদক প্রাপ্তির মাধ্যমে আমার অতি প্রিয় সেই পতাকায় আচ্ছাদিত হয়ে আমার কফিন কবরে নামানো হবে, এটিই আমার জীবনের সবচেয়ে বড় পাওনা। তিনি অনাগত দিনগুলোতেও যাতে মাটি ও মানুষের কল্যাণে, চট্টগ্রামের সব ভালো কাজের সাথে যাতে যুক্ত থাকতে পারেন সেজন্য এলাকাবাসীর দোয়া কামনা করেন।
সংবর্ধনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে আবু জাফর চৌধুরী, খাইরুল ইসলাম কঙি, লায়ন মোহাম্মদ আলী, শওকত আলী, ডাঃ নুরুল ইসলাম, মুসলিম আলী জনি, মোঃ জহির উদ্দিন, শহিদ আলম, সাইমন সাহাদাত চৌধুরী, মোঃ ইকবাল বাহার, খলিফাপট্টি ব্যবসায়ী সমিতির পক্ষে সামসুল আলম, খন্দকার নুরুল আলম, মোঃ সাহাবুদ্দিন, আবদুল হুদাল, স্থানীয় যুবলীগ এর পক্ষে মোঃ আসিফ চৌধুরী, জাহেদ আলম, মোঃ মুহিবুল্লাহ, ছাত্রলীগের চৌধুরী সাজিদ মোস্তাফা আসফি, মোঃ কাশেম মুহি, নুরুল ইসলাম ফাহিম, দুর্জয় চৌধুরী, প্রান্ত বিশ্বাস, মঞ্জুরুল হক, মোঃ মহিউদ্দিন, তারেক হোসেন, হারুনুর রশিদ, মঞ্জু মিয়া খোকন, সৌমেন তালুকদার লিটু, শ্রমিক লীগের শহিদুল ইসলাম, মোঃ সোহেল, মোঃ মাহিম, কাজী নাঈম, বিপ্লব চৌধুরী, স্বেচ্ছাসেবক লীগের পক্ষে ইকবাল বাহার চৌধুরী, মামুনুর রশিদ, সৌমিক রায়, রনি চৌধুরী ফুলের তোড়া ও মালা দিয়ে এম এ মালেককে সংবর্ধিত করেন।