আজাদী এগিয়ে যাক শতাব্দীর পথে, সত্যকে ধারণ করে

রহিম সৈকত | বৃহস্পতিবার , ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ at ৯:৩৩ পূর্বাহ্ণ

বর্তমান প্রজন্ম খবরের কাগজ পড়ার কী উন্মাদনা কখনো বুঝবে না! কারণ তাঁদের হাতে রাজ্যের খবরের অপশন। এক ক্লিকেই আজাদী থেকে ওয়াশিংটন পোস্ট কিংবা আল জাজিরা থেকে সিএনএন। মনে পড়ে মেসে কাটানো রঙ্গিন দিনগুলো। দুটো স্থানীয় দৈনিক দুটো ঢাকার দৈনিক মেসের জন্য বরাদ্দ। ঘুম থেকে উঠে কার আগে কে পড়বে প্রতিযোগিতা হত। সিনিয়ররা খেলা আর বিনোদন পাতা নিয়ে টানাটানি করার কারণে মেস ম্যানেজার পিন করে দেয়ায় কার্যত পড়তে পারত চারজন। কেউ গোমড়া মুখে বসে থাকে কেউ নিজের অধ্যয়নে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। সেই মেসেই আজাদীর সাথে আমার পরিচয়। কখনো ভাবিনি সেই শৈশবের কাগজেই নিজের নাম দেখব। গত সিআরবি আন্দোলনের সময় এবং সামপ্রতিক সময়ে আমার লেখনী আর কবিতা স্থান পেয়েছে। আশৈশবের কাগজে নিজের নাম দেখার অনুভূতি প্রকাশের ভাষা জানা নেই। আজাদীর সাথে জীবনের আড়াই দশক কেটে যাচ্ছে হেসে খেলে। আগে ঘুম থেকে উঠে ছাপার কাগজ খুঁজতাম এখন ওয়েবসাইটে পত্রিকার অনুলিপি পড়া যায়। একটা কথা ভেবে ব্যথিত হই যে পত্রিকা প্রকাশনার কাজ বর্তমানে চরম প্রতিকূলতার মুখোমুখি। চট্টগ্রামের যে কয়টি স্থানীয় পত্রিকা আছে সেসবের সম্পাদকরা মিলে যদি ইসংস্করণের জন্য সাবস্ক্রিপশন পদ্ধতিতে যান তবে একটা আয়ের খাত তৈরী হবে। হোক সেটা স্বল্প মূল্যের কিন্তু টিকে থাকতে হলে এর বিকল্প নেই। আজাদীর জন্য শর্তহীন ভালোবাসা। এগিয়ে যাক শতাব্দীর পথে বাধাবিপত্তি মাড়িয়ে সত্যকে ধারণ করে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধদৈনিক আজাদীকে শুভেচ্ছা
পরবর্তী নিবন্ধলেখক তৈরির কারিগর