আজাদীর সংবর্ধনা আমাদের জন্য স্মরণীয় হয়ে থাকবে

পাঁচ ফুটবলকন্যার মন্তব্য

রাঙামাটি প্রতিনিধি | রবিবার , ২ অক্টোবর, ২০২২ at ৬:২০ পূর্বাহ্ণ

স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম পত্রিকা দৈনিক আজাদী কর্তৃক সাফজয়ী চট্টগ্রামের পাঁচ নারী ফুটবলার সংবর্ধিত হওয়ায় তারা অত্যন্ত খুশী ও আনন্দিত। এদের মধ্যে রাঙামাটির মেয়ে ঋতুপর্ণা চাকমা, রুপনা চাকমা, খাগড়াছড়ির মেয়ে আনুচিং, আনাই মগিনী ও মনিকা চাকমা। তাদের সবারই স্কুল ও ফুটবলের হাতেখড়ি রাঙামাটিতে। এরা ৫ জনেই রাঙামাটির ঘাগড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী। এই স্কুলেই তারা ফুটবল খেলেছেন ও প্রশিক্ষণ নিয়েছেন।
দৈনিক আজাদী পত্রিকা কর্তৃক সংবর্ধনা শেষে এই পাঁচ নারী ফুটবলার রাঙামাটিতে আসার পথে বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেন প্রতিবেদকের সাথে।
বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের মিডফিল্ডার রাঙামাটির কাউখালী উপজেলার ঘাগড়া ইউনিয়নের মগাছড়ি এলাকার মেয়ে ঋতুপর্ণা চাকমা বলেন, দৈনিক আজাদী কর্তৃপক্ষের কাছে চিরকৃতজ্ঞ থাকব। আমরা কখনো ভাবি নাই এত বড় একটি রাজকীয় সংবর্ধনা দিবে। এটা আমাদের প্রত্যাশার বাইরে ছিল। এই সংবর্ধনা আমাদের জীবনের জন্য একটি স্মরণীয় দিন হয়ে থাকবে। ঋতুপর্ণা চাকমা বলেন, আমার জীবনের এত বড় অর্জনের পিছনে রয়েছে আমার জেঠু বীরসেন স্যার এবং শান্তিমণি স্যার। আমি ওনাদের অবদান কখনো ভুলবো না। ঋতুপর্ণা বর্তমানে স্কুল জীবন শেষ করে কলেজ অধ্যয়নরত। খাগড়াছড়ির লক্ষীছড়ির মেয়ে মণিকা চাকমা বলেন, আমাদের অনুভূতি প্রকাশ করার মতো না। এত ভালো লাগা এত ভালোবাসা তা অবিস্মরণীয়। আমি দৈনিক আজাদী কর্তৃপক্ষকে এত সুন্দর একটি অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি। মণিকা বলেন, আজাদী পত্রিকা আমাদেরকে এটি শুধু সংবর্ধনা দিল না, এটি দেশের প্রতি এবং দেশের মানুষের প্রতি আমাদের দায়িত্ব বাড়িয়ে দিল। তিনি বলেন, আমার এই সফলতার পিছনে আমার প্রধান কারিগর বীরসেন স্যার এবং শান্তিমণি স্যারকে ধন্যবাদ জানাই।
সাফ নারী ফুটবল চ্যাম্পিয়ন দলের এশিয়ার সেরা গোলরক্ষক রুপনা চাকমা বলেন, দৈনিক আজাদী আমাদেরকে যে ভালোবাসা ও সম্মান দেখিয়েছে তা অকল্পনীয়। তিনি বলেন, আমি চট্টগ্রামের মানুষের এত ভালোবাসা পেয়ে খুব খুশি। রুপনা বলেন, আমি ছোট বেলায় বীরসেন চাকমা স্যারের সান্নিধ্য পেয়েছিলাম বলে সেরা গোলরক্ষক হতে পেরেছি। আমি আমার দুই স্যারদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। রুপনা বর্তমানে ঘাগড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেনীর ছাত্রী।
সাফ নারী দলের দুই যমজ বোন আনুচিং ও আনাই মগিণী বলেন, মানুষের এত ভালোবাসা এত সংবর্ধনা আমাদেরকে দেশের মানুষের প্রতি কমিটমেন্ট বাড়িয়ে দিলো। ভবিষ্যতে চেষ্টা করবো পাহাড়ের এবং দেশের সকল মানুষেকে আরো ভালো খেলা উপহার দিতে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবর্ষীয়ান সাংবাদিক তোয়াব খানের ইন্তেকাল
পরবর্তী নিবন্ধরাজনৈতিক কর্মসূচিতে বাধা সহিংসতা বাড়াবে : জিএম কাদের