বন্দর নগরী চট্টগ্রাম থেকে যে কয়েকটি পত্রিকা প্রকাশিত হয় তার মধ্যে সবচেয়ে আমার প্রিয় পত্রিকা ‘দৈনিক আজাদী’। প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে চায়ের কাপে চুমুক দিতে দিতে আমার ‘দৈনিক আজাদী’ পত্রিকা পড়া চাই। দৈনিক আজাদী আজ ৬৫ বছরে পদার্পণ করেছে। ১৯৬০ সালের ৫ই সেপ্টেম্বর ‘দৈনিক আজাদী’ পত্রিকার পথচলা শুরু। কবি, প্রাবন্ধিক, লেখক, রাষ্ট্রীয় পুরস্কারে ভূষিত বরেণ্য লেখক সৃষ্টিতে পত্রিকাটির ভূমিকা অপরিসীম। চট্টগ্রামের সাহিত্য, সংস্কৃতি, অর্থনীতি, চট্টগ্রামের উন্নয়ন ও ব্যবসা বাণিজ্যের বিকাশ ঘটাতে ‘দৈনিক আজাদী’ নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। প্রতিদিন আজাদী সময়পোযোগী ও বস্তুনিষ্ট সংবাদ প্রচার করে আসছে। দৈনিক আজাদী আজ গণমানুষের নির্ভরতার প্রতীক। বর্তমান বিশ্বের প্রতিটি অঞ্চলের মানুষের প্রতি মুহূর্তের সংবাদগুলো সংগ্রহ করার এবং সেই সংবাদগুলো পত্রিকায় প্রকাশের ক্ষেত্রে আজাদী পত্রিকার বিকল্প নেই। তথ্য প্রযুক্তির বদৌলতে বর্তমানে অনলাইনেও পাঠকেরা পত্রিকাটি নিয়মিত পড়তে পারছেন। কবি সাংবাদিক রাশেদ রউফ তাঁর এক লেখায় যথার্থই বলেছেন, ‘আজাদী আজ শুধু একটি সাংবাদপত্রই নয়, এটি এখন চট্টগ্রামের আয়না হিসেবেও স্বীকৃতি অর্জন করেছে’। সরকারি, বেসরকারি সকল কর্মকাণ্ডের সুন্দর উপস্থাপনায় আজাদীর ভূমিকা অপরিসীম। ভালো লাগে সম্পাদকীয়, উপসম্পাদকীয়, অজয় দাশগুপ্তের ‘দূরের দূরবিনে’, মেজর মোহাম্মদ এমদাদুল ইসলামের (অব🙂 ‘সমকালের দর্পণ’, হল্যান্ড থেকে বিকাশ চৌধুরী বড়ুয়া, অধ্যাপক বাসুদেব খাস্তগীর, রেজাউল করিম স্বপন, নেছার আহমদ, অধ্যক্ষ ছন্দা চক্রবর্ত্তী, ড. মইনুল ইসলাম ও অধ্যক্ষ তরুণ কান্তি বড়ুয়ার কলামগুলো। মানবতা ও মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ নিয়ে সামাজিক ও জাতীয় অঙ্গনে ‘দৈনিক আজাদী’ পত্রিকা নিরলসভাবে প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছে। ৬৫ বছরে পদার্পণ উপলক্ষ্যে আজাদী পরিবারের মাননীয় সম্পাদক এম এ মালেক, পরিচালনা সম্পাদক ওয়াহিদ মালেক সহ সংশ্লিষ্ট কলা কুশলীদের প্রতি রইলো অভিনন্দন ও প্রাণঢালা শুভেচ্ছা। জনপ্রিয়তার শীর্ষে পত্রিকাটি আরো অনেক দূর এগিয়ে যাবে–এই প্রত্যাশা করছি, জয়তু ‘দৈনিক আজাদী’।