জোট করলেও প্রার্থীর স্ব স্ব দলের প্রতীকে ভোট করা নিয়ে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে (আরপিও) বিধান যুক্ত করায় নির্বাচন কমিশনকে অকুণ্ঠ সমর্থন জানিয়ে প্রশংসা করেছে নতুন নিবন্ধিত দল জাতীয় নাগরিক পার্টি–এনসিপি। বড় কোনো দলের চাপ থাকলেও ইসির সিদ্ধান্ত যেন অটুট থাকে সে দাবি জানিয়েছে দলটি। তবে এবার ভোটের প্রচারে পোস্টার বন্ধ করে দিয়ে নানা ধরনের অমূলক বিষয় যুক্ত করায় আচরণবিধি বাস্তবায়নে নির্বাচন কমিশনের সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন দলটির নেতারা। খবর বিডিনিউজের।
গতকাল বুধবার সকালের পর্বে আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের সম্মেলন কক্ষে এনসিপিসহ সাতটি দল ইসির সংলাপে অংশ নেয়। নিবন্ধন পাওয়ার পর এনসিপি প্রথম সংলাপে অংশ নেয়। এতে মুখ্য সমন্বয়ক নাসিরুদ্দীন পাটওয়ারীর নেতৃত্বে যুগ্ম সদস্য সচিব জহিরুল ইসলাম মূসা ও এনসিপির নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সেক্রেটারি তাসনিম জারা অংশ নেন। এসময় প্রধান নির্বাচন কমিশনার এএমএম নাসির উদ্দিন, অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার ও ইসি সচিবসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। জাতীয় নাগরিক পার্টি–এনসিপির মূখ্য সমন্বয়ক নাসিরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, জোট করলেও নিজ নিজ দলের প্রতীকে ভোট করতে হবে–ইসির সিদ্ধান্ত নিয়েছে এটা যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত। কোনো বড় দলের কাছে নতি স্বীকার করবেন না। ইসি যেন নিজের সিদ্ধান্তে অটুট থাকেন সে আহ্বান জানাই। নাসিরুদ্দীন পাটওয়ারীর কথায়, প্রতীক কিন্তু একজনের পরিচয়। নিজের শরীর আছে, কিন্তু কেউ অন্যের প্যান্ট, জামা পরে ইলেকশনে যায়, তাহলে মুখ দেখে চেনা যাবে কে? তাই যারা রাজনৈতিক দলের ব্যক্তিবৃন্দ রয়েছেন, দীর্ঘ সময় পরে আমাদের সামনে একটা সুযোগ এসেছে নিজের প্রতীকে নির্বাচন করে নিজের জায়গায় নিজের পরিচয় জানানোর। এই সুযোগটি আমরা হারাবো না– এটা আমাদের বড় পাওয়া।
গণভোটের বিষয়টি নিয়ে স্পষ্ট কর্মপরিকল্পনাও চান এনসিপি নেতা। নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, আমাদের এই ইলেকশনের বড় একটি বিষয় হচ্ছে গণভোট। গণভোট কী প্রক্রিয়ায় হবে? কিভাবে আপনারা এটা বাস্তবায়ন করবেন? এই বিষয়ে সুনির্দিষ্ট নীতিমালা আমরা কবে পাব? কবে আমরা প্রচারণা করতে পারব সে বিষয়ে জানাবেন। আমরাও কিছু কলাবোরেশন কাজ করতে পারবো বলে আশা করি।
এনসিপির যুগ্ম সদস্য সচিব জহিরুল ইসলাম মূসা বলেন, দেশের মাটি মানুষ নির্বাচনি সংস্কৃতি ও উৎসবের আমেজ রয়েছে, বিদ্যমান আচরণ বিধিমালা প্রণয়ন যারা করেছে তার সঙ্গে এর সংযোগ নেই। নির্বাচনি আমেজ মানে পোস্টারিং, মাইকিং, জনসম্পৃক্ততা ও জনসভাকে বুঝি। এখানে এমন অন্যায্য বিধান প্রণয়ন করা হয়েছে, এটা বাস্তবায়নের করার কোনো সক্ষমতা ইসির নেই। এটা নিপীড়নমূলক আইন হবে যদি নির্দিষ্ট কারো বিরুদ্ধে করে, শক্তিশালী কারোর বিরুদ্ধে একই বিধান ব্যবহারের সক্ষমতাও আপনার নেই।
এনসিপির যুগ্ম সদস্য সচিব জহিরুল ইসলাম মূসা আচরণবিধির তুলে ধরে বিএনপির নাম নিয়ে বলেন, ইসির সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন করছি। আপনাদের রিয়েল টেস্ট হবে। বিএনপির প্রধান দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। সেখানে বিএনপির প্রার্থীরা (ভারপ্রাপত চেয়ারম্যান) তারেক রহমানের ছবি ব্যবহার করলে বা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের তার উপরে আচরণবিধি প্রয়োগ ব্যবহার করতে হবে।
তিনি জানান, প্রার্থী তার দলের বর্তমান প্রধানের ছবি ছাড়া অন্যদের ছবি ব্যবহার করতে পারবে না। আমরা সুনির্দিষ্টভাবে বলছি–প্রথম টেস্ট হবে। তারেক রহমানের ছবি বিএনপির প্রার্থী ব্যবহার করলে প্রথমেই তার উপরে আচরণবিধি প্রয়োগ করে সক্ষমতা দেখাতে হবে। তারেক রহমান বা শহীদ জিয়াউর রহমানের ছবি ব্যহার করলে কি ব্যবস্থা নিচ্ছেন, তখন এ ইসির সক্ষমতা দেখতে পাবো এটা এটা বাস্তবায়নর জন্য কতটুকু প্রতিজ্ঞবদ্ধ আছেন।












