নগরীর আগ্রাবাদ সিডিএ আবাসিক এলাকার বালুর মাঠ বেআইনিভাবে বরাদ্দ ও দখলের অভিযোগে সিডিএ ভবনে অভিযান চালিয়েছে দুদক। এ সময় সংশ্লিষ্ট নানা রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করা হয়েছে। গতকাল দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম–১ এর উপসহকারী পরিচালক হামেদ রেজার নেতৃত্বে একটি টিম এ অভিযান চালায়।
দুদক জানায়, অভিযানে সংগৃহীত রেকর্ডপত্র পর্যালোচনায় দেখা যায়, ২০০১ সালে মেসার্স মডার্ণ প্রপার্টিজ লিমিটেড ও ২০০৫ সালে মেসার্স হাসান আবাসন প্রাইভেট লিমিটেড নামের দুটি প্রতিষ্ঠানকে যথাযথ নিয়ম অনুসরণ করে বালুর মাঠের ১০১ কাঠা জমি লিজ দিয়েছিল সিডিএ। লিজের শর্তানুসারে দখল বরাদ্দ প্রদানের পরবর্তী দুই বছরের মধ্যে বহুতল ভবন নির্মাণ করার কথা। কিন্তু অদ্যাবধি ২০ থেকে ২৫ বছর অতিক্রান্ত হওয়ার পরেও বহুতল ভবন নির্মাণের কার্যক্রম গৃহীত হয়নি। তবে ২০২০ সালে উক্ত জমি ব্যাংক মর্টগেজ দিয়ে ঋণ গ্রহণের জন্য সিডিএ’র কাছ থেকে অনাপত্তি পত্র (এনওসি) সংগ্রহ করা হয়। এরপর এস আলম ট্রেডিং এর নামে বালুর মাঠের ১০১ কাটা ও অন্যান্য জমি নগরীর জনতা ব্যাংক চৌমুহনী শাখার কাছে বন্ধক রেখে শত শত কোটি টাকা ঋণ গ্রহণ করা হয়।
দুদক জানায়, সিডিএ ভবনে অভিযানের পর দুদক টিম বালুর মাঠের উক্ত ১০১ কাঠা বিশিষ্ট জায়গাটি সরেজমিন পরিদর্শন করে। পরিদর্শনে দেখা যায়, সেখানে চৌধুরী সুপার শপ ও রয়েল অটো কার নামে দুটি ভাড়ায় পরিচালিত প্রতিষ্ঠান রয়েছে। তবে এ দুটি প্রতিষ্ঠান সংক্রান্তে সিডিএ’র নথিতে কোন তথ্য পাওয়া যায় নি। দুদক আরো জানায়, বহুতল আবাসনের উদ্দেশ্যে লিজকৃত ১০১ কাঠা জমিতে লিজের শর্ত ভঙ্গ করা হয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে আরো রেকর্ড পত্র চাওয়া হয়েছে। সংগৃহীত রেকর্ড পত্র পর্যালোচনা করে কমিশন বরাবর দ্রুত প্রতিবেদন দাখিল করা হবে। অভিযান শেষে দুদক কর্মকর্তা হামেদ রেজা সাংবাদিকদের বলেন, রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করা হয়েছে। আরো রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করা হবে। এরপর সেগুলো পর্যালোচনা করা হবে। সিডিএ’র কোন কর্মকর্তার দায় রয়েছে কিনা তা নিরূপণ করা হবে।












