আগ্রহের কেন্দ্রে যেসব পোশাক

আজাদী প্রতিবেদন | সোমবার , ১০ এপ্রিল, ২০২৩ at ৫:২৩ পূর্বাহ্ণ

ঘনিয়ে আসছে ঈদ। সময় আছে দুই সপ্তাহেরও কম। নগরীর মার্কেটগুলোতে ঈদের কেনাকাটা করতে ছুটছেন নগরবাসী। চৈত্রের খরতাপ উপেক্ষা করে গতকাল দুপুরের পর থেকে ক্রেতারা মার্কেটে ভিড় করতে থাকেন। মূলত ইফতারের পর ক্রেতাদের ভিড় বাড়ে।

ব্যবসায়ীরা জানান, এবার ঈদে কটন, সিল্ক, এন্ডি সিল্ক, হাফ সিল্ক, মসলিন কাপড়ে হাতের কাজ, মেশিন এমব্রয়ডারির থ্রি পিস এবং ব্লক প্রিন্টের শাড়ির চাহিদা বেশি। এছাড়া তরুণদের আগ্রহের কেন্দ্রে রয়েছে টিশার্ট, পলো টিশার্ট, ক্যাজুয়াল টিশার্ট, ফরমাল টিশার্ট, শার্ট, ফতুয়া ও বাহারি রঙের পাঞ্জাবি। তবে উঠতি তরুণীদের একটি বিরাট অংশ গাউন ও ফ্রক কেনার দিকে ঝুঁকছে। অন্যদিকে মধ্যবয়সী নারীদের প্রথম পছন্দ রকমারি ডিজাইনের শাড়ি।

গতকাল নগরীর টেরীবাজার, নিউ মার্কেট, রেয়াজুদ্দিন বাজার, তামাকুমণ্ডি লেইন, জহুর হকার্স মার্কেট, বালি আর্কেড, কেয়ারি ইলিশিয়াম, সেন্ট্রাল প্লাজা, মিমি সুপার মার্কেট, আফমি প্লাজা, ফিনলে স্কয়ার, শপিং কমপ্লেক্স, স্যানমার ওশান সিটি, ইউনেস্কো সিটি সেন্টার, আমীন সেন্টার, ভিআইপি টাওয়ার, আখতারুজ্জামান সেন্টার, সিঙ্গাপুর ব্যাংকক মার্কেট এবং মতি টাওয়ারের বিভিন্ন দোকান ঘুরে ক্রেতাদের ভিড় দেখা যায়। বিক্রেতারা ক্রেতাদের বিভিন্ন কাপড় দেখাচ্ছেন। ক্রেতারাও পোশাকের খুঁটিনাটি বিষয় বিক্রেতাদের কাছে জিজ্ঞেস করছেন।

নিউ মার্কেটে কথা হয় হালিশহর থেকে আসা কলেজ ছাত্র মিসকাত উদ্দিন চৌধুরীর সঙ্গে। তিনি বলেন, রোজার শেষের দিকে ভালো মানের পাঞ্জাবির কালেকশন থাকে না। তাই একটু আগেই পাঞ্জাবি কিনতে এলাম। এবারের পাঞ্জাবির ডিজাইন গত বছরের তুলনায় ইউনিক। তবে বিক্রেতারা বেশি দাম টাইছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি।

এদিকে জহুর হকার্স মার্কেটের বিক্রেতাদের দম ফেলার ফুসরত নেই। সন্ধ্যা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত ক্রেতারা বিভিন্ন দোকানে ভিড় করছেন।

জহুর হকার্স মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির যুগ্ম সদস্য সচিব মো. ফজলুল আমিন বলেন, হকার্স মার্কেট মূলত মধ্যবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্তের মার্কেট। এখানে কম মূল্যে ভালো মানের পণ্য পাওয়া যায়। ক্রেতারাও এখানে শপিং করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। এবার ঈদ উপলক্ষে ব্যবসায়ীরা যথেষ্ট প্রস্তুতি নিয়েছেন। আশা করি সামনের দিনগুলোতে ক্রেতা আরো বাড়বে।

তামাকুমণ্ডি লেইন বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. মোজাম্মেল হক বলেন, আমাদের সমিতির অধীনে প্রায় ১১০টি মার্কেট আছে। এসব মার্কেটে দোকান আছে ১০ হাজারের মতো। এখানে রেডিমেইড কাপড়, থান কাপড়, জুতা ও প্রসাধনী থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের পণ্য পাওয়া যায়। ক্রেতারা আমাদের মার্কেটে কম দামে ভালো পণ্যটি পাবেন। সাধারণত ১৫ রমজানের পর মার্কেটে জমজমাট বেচাবিক্রি হয়। এ বছরও তার ব্যতিক্রম হয়নি। মার্কেটে বেচাবিক্রি ভালো হচ্ছে।

স্যানমার ওশান সিটি ও নাসিরাবাদের ফিনলে স্কয়ার দোকান মালিক সমিতির সভাপতি আসাদ ইফতেখার আজাদীকে বলেন, ইফতারের পর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত মার্কেটে ক্রেতা সমাগম হচ্ছে। বলা যায়, ঈদবাজার জমে উঠেছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধদেশে মোট জনসংখ্যার ৫৭ শতাংশ তরুণ
পরবর্তী নিবন্ধজুলাইয়ে শেষ হচ্ছে কাজ ট্রায়াল রান অক্টোবরে