আগে নগরবাসীর সচেতনতা এরপর নিরাপত্তা

সিএমপির নিরাপত্তা পরিকল্পনা ও ঈদের ছুটি নিয়ে যা বলা হলো

আজাদী প্রতিবেদন | বুধবার , ২০ এপ্রিল, ২০২২ at ৪:৫৪ পূর্বাহ্ণ

‘আপনারা আমাদের সহযোগিতা করুন, আমরা আপনাদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দেওয়ার চেষ্টা করব’। গতকাল মঙ্গলবার দামপাড়ায় সিএমপির মিডিয়া সেন্টারে ‘রমজানের মধ্যভাগে নগরীর যানজট নিরসন ও সার্বিক নিরাপত্তায় নেওয়া পদক্ষেপ’ প্রসঙ্গে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সিএমপি কমিশনার সালেহ্‌ মোহাম্মদ তানভীর নগরবাসীর প্রতি এ আহ্বান জানান। ঈদের বন্ধে বাসা-বাড়ি খালি করে চলে না যাওয়া এবং বাসার বাইরে যাওয়ার প্রয়োজন হলে মূল্যবান জিনিসপত্র ও টাকা-পয়সা বিশ্বস্ত কারও হেফাজতে রেখে যাওয়ারও পরামর্শ দেন তিনি।

ঈদের আগে-পরে সম্ভাব্য ৯ দিনের ছুটিতে বাসা-বাড়ির নিরাপত্তা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে সিএমপি কমিশনার বলেন, পুরো বাসা, একেবারে পুরো বিল্ডিং খালি করে যেন কেউ চলে না যায়, সেই অনুরোধ আমাদের থাকবে। কেউ না কেউ যেন বাসায় থাকেন। একটি বাসা খালি রেখে ৯ দিন কেউ থাকবে না-এটা তো অ্যালার্মিং। আমাদের পরামর্শ হচ্ছে, বাসার সামনে-পেছনে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা রাখা এবং ক্যামেরা বসানো। যিনি শহরে একটি বাড়ির মালিক, তিনি দুটি ক্যামেরা কিনে লাগাতে পারবেন না, এটা আমরা বিশ্বাস করি না। ক্যামেরা লাগালে আমাদের জন্য সুবিধা হবে; কেউ অপরাধ করলেও আমরা শনাক্ত করে ব্যবস্থা নিতে পারব।

নগরবাসীর সচেতনতা আগে, এরপর নিরাপত্তা-এমন চিন্তা থেকে এবারের ‘নিরাপত্তা পরিকল্পনা’ করা হয়েছে জানিয়ে সিএমপি কমিশনার বলেন, আমাকে তো অবশ্যই সহযোগিতা করতে হবে। আমাকে সহযোগিতা না করলে তো নিরাপত্তা দেওয়াটা খুবই দুরূহ। নিজেরা সচেতন না হয়ে শুধু পুলিশকে দোষারোপ করলে সমাধান মিলবে না। সংবাদ সম্মেলনে সিএমপির পক্ষ থেকে ‘নিরাপত্তায় সতর্কতামূলক পরামর্শ’ হিসেবে বের করা একটি প্রচারপত্র সাংবাদিকদের কাছে সরবরাহ করা হয়।

প্রচারপত্রে বাসা-বাড়ির নিরাপত্তার জন্য বেশ কিছু পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে আছে বাসার বাথরুম অথবা রান্নাঘরে ব্যবহৃত এগজস্ট ফ্যানের বাইরের অংশে লোহার গ্রিল লাগানো, বাসার জানালার বাইরের অংশে বঙ গ্রিল ব্যবহার করা, বাসার দরজায় অটোলক ব্যবহার, মূলব্যান জিনিস ও টাকা-পয়সা বিশ্বস্ত কারও হেফাজতে রেখে যাওয়া, প্রত্যেক ভবনে রাস্তামুখী সিসি ক্যামেরা স্থাপন, পরিচয় নিশ্চিত না হয়ে বাসার দরজা না খোলা, হকার-ফেরিওয়ালাকে বাসায় ঢুকতে না দেওয়া, অপরিচিত লোককে বাসার আশপাশে ঘুরতে দেখলে ছবি তুলে রাখার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে সিএমপির পক্ষ থেকে।

এছাড়া ব্যাংক থেকে উত্তোলন করা বড় অংকের নগদ অর্থ লেনদেনে পুলিশের সহযোগিতা নেওয়ার পরামর্শ দিয়ে সিএমপি কমিশনার বলেন, পুলিশের কাছে যদি গাড়ি পর্যাপ্ত থাকে, তাহলে আমরা টাকাসহ বহনকারীকে আমাদের গাড়ি দিয়ে পৌঁছে দেয়ার ব্যবস্থা করব। দামি জিনিস প্রয়োজনে ব্যাংকের লকারে রেখে যাওয়ারও পরামর্শ দেন তিনি।

এছাড়া ঈদের বন্ধে নিরাপত্তা দিতে সব মার্কেট, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান ও আবাসিক এলাকার নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য তাদের ফোন নম্বর সংগ্রহ করা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, ঈদের লম্বা ছুটিতে আমরা যেন তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারি, তারা সঠিকভাবে ডিউটি করছে কিনা, সেটি যেন আমরা দেখতে পারি। অথবা কোনো সমস্যা থাকলে তারা যেন আমাদের জানাতে পারেন। এসব কারণে আমরা মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে তালিকা করছি। আর এটিএম বুথে আমরা অলরেডি নক করে খোঁজখবর করা শুরু করেছি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধদুই পক্ষের বিরোধ মেটাতে এসে খুন হয় ফাহিম
পরবর্তী নিবন্ধকর্মকর্তা-কর্মচারীদের তালিকা সংশ্লিষ্ট সেকশন পাঠিয়ে দেবে : সিডিএ চেয়ারম্যান