আগে চুকবলটাকে পরিচিত করাতে হবে সোহেল-সালাউদ্দিনকে

ক্রীড়া প্রতিবেদক | বৃহস্পতিবার , ১১ জুলাই, ২০২৪ at ৯:১৩ পূর্বাহ্ণ

বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনের সর্বোচ্চ সংস্থা জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ বেশ কিছু নতুন খেলা প্রচলন করেছে। যেখানে অন্যতম হচ্ছে চুকবল। খেলাটি সুইজারল্যান্ডে আবিষ্কার হলেও বিশ্বের ৮৯ টি দেশ এখন এই খেলাটি চর্চা করে। বাংলাদেশেও বেশ কয়েক বছর ধরে এই খেলাটি চালু হয়েছে। এই খেলাটির জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপও হয়। আর সে জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপে চট্টগ্রামের ফলাফলও একেবারে ঈর্ষনীয়। চারটি আসরের চারটিতেই চ্যাম্পিয়ন চট্টগ্রাম। কিন্তু খেলাটি কতটা পরিচিত সেটা নিয়েই রয়েছে প্রশ্ন। তাইতো এবারে সিজেকেএস চুকবল কমিটির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পাওয়া এইচ এম সোহেল এবং সম্পাদকের দায়িত্ব পাওয়া মোঃ সালাহউদ্দিনের সামনে সবচাইতে বড় চ্যালেঞ্জ এই খেলাটিকে পরিচিত করে তোলা। যদিও গত কয় বছর ধরে এই খেলাটির কিছু কিছু প্রশিক্ষণ হয়েছে। তারপরও খেলাটি সম্পর্কে সাধারণ মানুষের তেমন ধারণা নেই। তাই আগে খেলাটিকে পরিচিত করে তুলতে হবে এই কমিটিকে। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ যেসব নতুন খেলা চালু করেছে সে সব খেলা গুলো স্কুল পর্যায়ে ছড়িয়ে দিতে চায় তারা। আর সে কাজটি করতে চান সিজেকেএস চুকবল চেয়ারম্যান এবং সম্পাদক।

কমিটির চেয়ারম্যান এইচ এম সোহেল বললেন গত ২ মেয়াদে সিজেকেএস চুকবল কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্বপালনকালে প্রতি বছর নিয়মিতভাবে চুকবল প্রশিক্ষণ ও লীগ অনুষ্ঠিত হয়েছে। কিন্তু লীগ কেন্দ্রিক এই প্রশিক্ষণ হওয়ায় সেখান থেকে বেশি সংখ্যক খেলোয়াড় উঠে আসেনা তাই দীর্ঘমেয়াদী প্রশিক্ষণের বিষয়ে এবার আমাদের আলাদা কর্মসূচি থাকবে। চুকবল খেলাটি নতুন হলেও অত্যন্ত আকর্ষনীয় খেলা হওয়ায় প্রতি বছর লীগে অংশগ্রহণকারী দলের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত বছর সিজেকেএস চুকবল লীগে ১৬টি দল অংশগ্রহণ করেছে। নতুন প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত খেলোয়াড় ও পুরাতন খেলোয়াড়দের নিয়ে দলগুলো গঠন করা হয়। তিনি জানান চট্টগ্রামের ৮টি স্কুলে চুকবল খেলোয়াড় রয়েছে। এখন ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল গুলোকে চুকবলে আনার চেষ্টা করা হচ্চে। গত বছল বেশ কটি ইংলিম স্কুলের ছাত্রদের প্রশিক্ষন দেওয়া হয়েছে। তারা খেলতে চায়। তাদের নিয়ে একটি লিগের আয়োজন করতে চাই। জাতীয় দলে বর্তমানে চট্টগ্রামের ৫জন খেলোয়াড় রয়েছে। বয়স ভিত্তিক জাতীয় দলেও চট্টগ্রামের আধিপত্য রয়েছে। শুধু তাই নয় প্রায় ১৬ জন গ্রেড বি কোচ এবং রেফারী রয়েছে। তাই এই খেলাটিকে এগিয়ে নেওয়া সম্ভব।

আগের দুই মেয়াদে চুকবল কমিটির যুগ্ম সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করার পর এবারে সম্পাদকের দায়িত্ব পেয়েছেন মোঃ সালাহউদ্দিন। তাই কাজের উৎসাহটা বাড়ার পাশাপাশি দায়িত্বটাও বেড়েছে বলে মনে করেন তিনি। নতুন এই খেলাটির সাথে চট্টগ্রামের মানুষ আস্তে আস্তে পরিচিত হচ্ছে। আর এই নতুন খেলা গুলো থেকে পদক পাওয়ারও যতেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে। তাই আমরা চেষ্টা করছি খেলাটিকে সবার কাছে ছড়িয়ে দিতে। মুলত স্কুল থেকে এই খেলাটির জন্য খেলোয়াড় তুলে আনতে হবে। বাস্কেটবলের মত ইংরিশ স্কুল গুলোতে এই খেলাটিকে জনপ্রিয় করা যাবে। আর সেটা করতে পারলে সেটা বড় কাজে দেবে। তবে এলোমেলোভাবে কিচু না করে একটি সঠিক পরিকল্পনার মাধ্যমে আমাদের এগুতে হবে। এই খেলাটি রপ্ত করতে বেশি সশয় লাগেনা। খুব সহজ একটি খেলা। একটু মনযোগী হলেই যে কেউ খেলতে পারে এই খেলা। তাই সেদিক থেকে বড় একটা সুবিধা রয়েছে খেলাটিকে জনপ্রিয় করার।

এই কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান করা হয়েছে মশিউর রহমান চৌধুরী, নিজাম উদ্দিন মাহমুদ হোসাইন, হারুনুর রশিদ, আবদুল কাদের এবং মমিনুল ইসলামকে। তিনজন যুগ্ম সম্পাদক হলেন মোঃ নুরুজ্জামান, আদিল আহমেদ কবির এবং আরিপুল ইসলামকে। এছাড়া কমিটির সদস্যরা হলেণ আ ন ম ওয়াহিদ দুলাল, খালেদ মাহমুদ, নুরুল আমিন লাবু, ইমতিয়াজ আহমেদ হৃদয়, জাহেদুল করিম বাপ্পি, আশিকুল ইসলাম, দৈপায়ন পাল, গিয়াস উদ্দিন বাবর, সাইফুল্যাহ মুনির এবং জসিম উদ্দিন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপিডিবি হারালো লিটল ব্রাদার্সকে
পরবর্তী নিবন্ধদল বদলের শেষ দিনে মোহামেডান ব্লুজের চমক