আগে কোরিয়ানরা কারিগরি শিক্ষার জন্য বাংলাদেশে আসত এখন আমাদের যেতে হচ্ছে

চট্টগ্রাম চেম্বারে সেমিনারে সচিব কবিরুল

আজাদী প্রতিবেদন | শুক্রবার , ২৫ জুলাই, ২০২৫ at ৬:০৭ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম চেম্বারে কারিগরি শিক্ষা বিষয়ক ‘হাইলেভেল পলিসি ডায়লগ অন ফিউচার স্কিলস’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। গতকাল আগ্রাবাদ ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারস্থ কনফারেন্স হলে আইএলও এর প্রোগ্রেস প্রকল্পের সহযোগিতায় অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি এবং মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব ড. কে এম কবিরুল ইসলাম। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কারিগরি শিক্ষা বিভাগের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) শোয়েব আহমদ খান, কারিগরি এবং মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) শামসুর রহমান খান, বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মোহাম্মদ রুহুল আমিন, চট্টগ্রাম চেম্বার প্রশাসক মুহাম্মদ আনোয়ার পাশা, আইএলও চিফ টেকনিক্যাল এডভাইজর এবং অফিস ইনচার্জ পিটার বেলেন, প্রবীণ ব্যবসায়ী ও সংগঠক একরামুল করিম চৌধুরী, ডায়গনস্টিক ওনার এসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. এ কে এম ফজলুল হক, উইম্যান চেম্বারের পরিচালক আমেনা শাহিন ও সাবেক সহসভাপতি আইভি হাসান, লুবরেফ’র এমডি মোহাম্মদ ইউসুফ, কনফিডেন্স সিমেন্টের এমডি জহির উদ্দিন আহমেদ, টি.কে. গ্রুপের পরিচালক জাফর আলম, র‌্যানকন এফসি লিমিটেডের সিইও তানভীর শাহরিয়ার রিমন, বিপিজিএমইএ এর পরিচালক শহীদুল ইসলাম চৌধুরী, ম্যাফ সুজের নির্বাহী পরিচালক শাহাদাত উল্লাহ, জিপিএইচ ইস্পাত লিমিটেডের উপদেষ্টা ওসমান গণি চৌধুরী ও বিএসআরএম গ্রুপের রবিউল হাসান। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কারিগরি এবং মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের যুগ্মসচিব (পরিকল্পনা) ফাতেমা জাহান, রিহ্যাব চট্টগ্রাম অঞ্চলের চেয়ারম্যান হাজী দেলোয়ার হোসেন, প্রান্তিক গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী গোলাম সরোয়ার, আইএলও এর প্রোগ্রেস প্রজেক্টের প্রাইভেট সেক্টর এনজেগমেন্ট অফিসার ওয়াসফি তামিম।

কারিগরি এবং মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব ড. কে এম কবিরুল ইসলাম বলেন, বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষার গুরুত্ব অনুধাবন করে সম্প্রতি প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকার তিনটি প্রকল্প অনুমোদন করেছে। তাছাড়া এই কারিগরি শিক্ষাকে কিভাবে যুগোপযোগী করে ইন্ডাস্ট্রির চাহিদানুযায়ী দক্ষ শিক্ষার্থী গড়ে তোলা যায় সে পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। এই শিক্ষাকে আরও বাস্তবমুখী করতে এ ধরনের আয়োজন করা হয়েছে। তিনি বলেন, আগে কোরিয়ানরা কারিগরি শিক্ষার জন্য বাংলাদেশে আসত এখন উল্টো আমাদের তাদের দেশে যেতে হচ্ছে। তিনি বলেন, দেশে প্রতিবছর ১২ লাখ গ্র্যাজুয়েট বের হচ্ছে। কিন্তু, চাকরি হচ্ছে ২ লাখের। আবার তাদের নেই কোনো উন্নত প্রশিক্ষণ ও দক্ষতা। কিন্তু, এই কারিগরি শিক্ষায় ইন্ডাস্ট্রির সহযোগিতা পেলে তা হয়ে উঠবে দক্ষ কর্মী গড়ার প্রতিষ্ঠান।

চেম্বার প্রশাসক মুহাম্মদ আনোয়ার পাশা বলেন, দেশের শিক্ষা খাতের মোট বাজেটের মাত্র ৫% ব্যয় হয় কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা খাতে। যদিও নানা সীমাবদ্ধতা রয়েছে তারপরও সরকার আন্তরিকতার সাথে এই সেক্টরের উন্নয়ন ও বেসরকারি খাতকে সহায়তার জন্য কাজ করছে। প্রতিযোগিতামূলক বিশ্ব পরিবেশে টিকে থাকতে হলে আমাদের প্রয়োজন একটি দক্ষ, অভিযোজ্য এবং ভবিষ্যতমুখী কর্মশক্তি। তিনি একাডেমিয়া ও ইন্ডাস্ট্রির মধ্যে সমন্বয়ের জন্য চট্টগ্রাম চেম্বারের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

বক্তারা ইন্ডাস্ট্রি এবং একাডেমির মধ্যে সমন্বয় সাধনের জন্য চট্টগ্রাম চেম্বারকে সম্পৃক্ত করার আহ্বান জানান।

পূর্ববর্তী নিবন্ধআধুনিক জ্ঞান-বিজ্ঞানের মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে : ভিসি
পরবর্তী নিবন্ধহালিমা খানমের জানাযা ও দাফন সম্পন্ন