আনোয়ারা উপজেলার বারখাইন ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড তৈলারদ্বীপ জেলে পাড়ায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে মুহূর্তেই পুড়ে গেছে তিন কক্ষবিশিষ্ট একটি ঘর। শুক্রবার (৭ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হলেন কালুরাম দাশের পুত্র বাচুরাম জলদাশ(৫০)। তিনি বলেন, আগুনে পুড়ে আমি নিঃস্ব। আমি পেশায় একজন জেলেও কৃষক। এক লাখ দশ হাজার টাকা কিস্তি নিয়ে৬০ হাজার টাকার মতো খরচ করেছি, বাকি আমার ক্যাশ টাকা ছিল যা সব পুড়ে গেছে এবং আমার মেয়েদের স্বর্ণগুলো পড়ে গেছে। আমি সবাইকে আমার পাশে দাঁড়ানোর অনুরোধ করছি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আগুন লাগার সময় এলাকায় বিদ্যুৎ ছিল এবং মুহূর্তেই আগুন ছড়িয়ে উপরের দিকে উঠতে থাকে। ফলে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। প্রথমে স্থানীয়রা প্রাথমিকভাবে নেভানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। পরে স্থানীয় ইউপি সদস্যের মাধ্যমে আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়া হয়। প্রথমে পানি ও বালতি দিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালায়। পরে ড্রেজারের পানি ব্যবহার করে প্রায় ১ ঘণ্টা ৩০ মিনিট চেষ্টার পর আগুন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আসে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, আগুনের তীব্রতায় কেউ ঘর থেকে কিছুই বের করতে পারেনি। ক্ষতিগ্রস্তের আর্তনাদে শোকের ছায়া নেমে এসেছে পুরো এলাকায়।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আইয়ুব আলী বলেন, আমি খবর পেয়ে দ্রুত ফায়ার সার্ভিসকে জানাই। ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট ও স্থানীয়দের প্রায় দেড় ঘন্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রনে সক্ষম হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিস জানায়, খবর পেয়ে আনোয়ারা ফায়ার স্টেশনের একটি ইউনিট দ্রুত ঘটনাস্থলের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। তবে রাস্তা সরু হওয়ায় গাড়ি প্রবেশ করতে পারেনি। পরে ভ্যানযোগে সরঞ্জাম নিয়ে ফায়ার সার্ভিস সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে স্থানীয়দের সহায়তায় এক ঘন্টার বেশি সময় চেষ্টা চালিয়ে আগুন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ বিষয়ে আনোয়ারা ফায়ার স্টেশনের সাব-অফিসার মো. আবদুল্লাহ বলেন, পূজোর আসন থেকেই এ আগুনের সূত্রপাত বলে আমরা ধারণা করছি। তবে ক্ষয়ক্ষতি ৫০ হাজার টাকার মত আনুমানিক ধরা হলেও উদ্ধার প্রায় তিন লক্ষ টাকা।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তাহমিনা আক্তার বলেন, আমরা প্রাথমিকভাবে তাদের জন্য খাদ্য সহায়তা পাঠাবো। ক্ষয়ক্ষতির বিবরণ পর্যালোচনা করে মন্ত্রণালয়ে রিপোর্ট পাঠাবো। তারা যদি টিনের ঘর হয় টিনের সহায়তা থাকলে আমরা সেটির ব্যবস্থা করব।












