শরতের পর ধীরে ধীরে হেমন্ত পেরিয়ে যাচ্ছে। প্রকৃতিতে শীতের আগমনী বার্তা। শহরে শীতের প্রকোপ কম অনুভব হলেও রাতের শেষে ভোরের দিকে গ্রামীণ জনপদে চাদর মেলছে কুয়াশা। সাত সকালে বয়ে আসা হিমেল হাওয়ায় শরীরে কাঁপুনি ধরিয়ে দিচ্ছে। ধীরে ধীরে শীত নামছে প্রকৃতিতে। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছেন, চলতি সপ্তাহের শুরু ও শেষে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। ভারতের উত্তর তামিলনাড়ু ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করা দুর্বল লঘুচাপ অবস্থান করছে। দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে স্বাভাবিক মৌসুমী
লঘুচাপ। রয়েছে মেঘের উপস্থিতিও। বৃষ্টি ও মেঘ কেটে গেলে নভেম্বরের শেষ ১০ দিনে শীত জেঁকে বসতে পারে চট্টগ্রামের প্রকৃতিতে।
এদিকে অক্টোবরের মাঝামাঝি সময় থেকে হালকা শীতের উপস্থিতি পরিলক্ষিত হয় প্রকৃতিতে। বাতাসের আদ্রতা ক্রমেই কমছে, বাড়ছে ঠাণ্ডা। বর্তমানে দিনের বেলায় গরম ও রাতের বেলা শীত অনুভূত হচ্ছে। চট্টগ্রাম আবহাওয়া অফিসের শুক্রবার সন্ধ্যা ৬ টার স্থানীয় পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামের আকাশ আংশিক মেঘলা থেকে সাময়িকভাবে মেঘলা থাকতে পারে, সেই সাথে দুয়েক জায়গায় হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। ভোরের দিকে নদী অববাহিকা ও তৎসংলগ্ন এলাকায় হালকা কুয়াশা পড়তে পারে। রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে। উত্তর উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৮-১২ কি.মি. বেগে বাতাস প্রবাহিত হতে পারে। শুক্রবার চট্টগ্রামে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩২.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন ২৪.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
চট্টগ্রাম আবহাওয়া ও ভূ-প্রাকৃতিক কেন্দ্রের উপ-পরিচালক সৈয়দ আবুল হাসানাৎ দৈনিক আজাদীকে বলেন, ‘পশ্চিমা লঘুচাপটি দুর্বল হয়ে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ এলাকায় অবস্থান করছে। আবহাওয়ার পূর্বাভাসে ১৩ নভেম্বর ও ১৮ নভেম্বর বৃষ্টির সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে। এ সময়টি অতিক্রম করলে ধীরে ধীরে শীত বাড়তে শুরু করবে।’
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, দক্ষিণপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত নিম্নচাপটি দুর্বল হয়ে উত্তরপশ্চিম দিকে সরে গিয়ে প্রথমে সুস্পষ্ট লঘুচাপ এবং পরে লঘুচাপ হিসেবে উত্তর তামিলনাড়ু ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। এটি গুরুত্বহীন হয়ে যেতে পারে। পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ হিমালয়ের পাদদেশীয় পশ্চিমবঙ্গ এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। স্বাভাবিক মৌসুমী লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোসাগরে অবস্থান করছে। যার বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দুয়েক জায়গায় হালকা বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা ১-২ ডিগ্রি হ্রাস পেতে পারে। দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা সন্দ্বীপ ও সীতাকুণ্ডে ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তেঁতুলিয়ায় ১৪.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।