আগামী বছর থেকে আগে নিবন্ধন, তারপর অনলাইন পোর্টাল : তথ্যমন্ত্রী

| বৃহস্পতিবার , ৭ অক্টোবর, ২০২১ at ৫:৩২ পূর্বাহ্ণ

আগামী বছর থেকে অনলাইন নিউজ পোর্টাল প্রকাশের আগেই নিবন্ধন নিতে হবে। অনলাইন সংবাদ মাধ্যমে শৃঙ্খলা আনতে এই পদক্ষেপ বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সমপ্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। গতকাল বুধবার সচিবালয়ে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ) আয়োজিত ‘বিএসআরএফ সংলাপ’ অনুষ্ঠানে মন্ত্রী একথা জানান।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘পত্রিকা প্রকাশ করতে হলে প্রথমে ডিক্লারেশন নিতে হয়, এছাড়া কেউ পত্রিকা প্রকাশ করতে পারে না। অনলাইনের ক্ষেত্রে তো সেটা হওয়া সমীচীন। সুতরাং আমরা অনলাইন রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া মোটামুটি একটা পর্যায়ে নিয়ে যাব। আমরা আলোচনা করেছি, আগামী বছর থেকে কোনো অনলাইনকে আত্মপ্রকাশ করার আগেই রেজিস্ট্রেশন নিতে হবে। তাহলে এখানে একটা শৃক্সখলা আসবে।’ চালু অনলাইন সংবাদ মাধ্যমগুলোর বিষয়ে তিনি বলেন, আপাতত চালুর পর নিবন্ধন দেওয়া চালু রেখেছি এজন্য যে অনেকগুলো অনলাইন চালু আছে। আমরা রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া চালু করেছি অনেক পরে।
সংবাদ প্রচার করলে আইপি টিভি বন্ধ : সরকারের নিষেধাজ্ঞা না মেনে যেসব আইপি টিভি সংবাদ প্রচার করছে, সেগুলো বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, যে আইপি টিভি খবর প্রচার করে, খুব সহসা সেগুলোর কার্যক্রম বন্ধ করার উদ্যোগ নেওয়া হবে। আইপি টিভি পরিচালানায়ও নিবন্ধনসহ নিয়ম মানার উপর জোর দেন তিনি। হাছান বলেন, আইপি টিভি সারা পৃথিবীর বাস্তবতা, এটি নিউ মিডিয়া। এটিকে বন্ধ করা সমীচীন নয়। তবে ব্যাঙের ছাতার মতো আইপি টিভি, এটি হতে পারে না। এজন্য আইপি টিভি রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া শুরু করেছি। যেগুলো সত্যিকার অর্থে কাজ করতে চায়, তাদেরকে রেজিস্ট্রেশন দেওয়া হবে। কোনো আইপি টিভি কোনো টেলিভিশনের নামের সঙ্গে মিল রেখে নাম দিলে নিবন্ধন দেওয়া হবে না বলে জানান তিনি।
তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, কোনো অনুষ্ঠান বা সংবাদ সম্মেলন হলে এক ঝলকে যেন কোনটা টিভি আর কোনটা আইপি টিভি, এটা যেন বোঝা যায়। ওখানেও একটা শৃক্সখলা আনতে হবে। একই ধরণের বুম (মাইক্রোফোন) যাতে ব্যবহার করতে না পারে। সেখানে যেন অ্যাট লিস্ট আইপি টিভি লেখা থাকে।
ক্লিন ফিড পাঠানোর পরই সমপ্রচার : বিদেশি চ্যানেলগুলো ক্লিন ফিড যখন পাঠাবে, তখনই দেশে সেগুলোর সমপ্রচার শুরু হবে বলে জানান তথ্য ও সমপ্রচারমন্ত্রী। সরকারি নির্দেশনা মেনে শুক্রবার থেকে অনুষ্ঠানের ফাঁকে বিজ্ঞাপন প্রচার করে- এমন বিদেশি টেলিভিশন চ্যানেলগুলোর সমপ্রচার বন্ধ রেখেছে বাংলাদেশের কেবল অপারেটররা। ক্লিনফিড মানে হল কোনো বিজ্ঞাপন থাকতে পারবে না। তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমাকে কেবল অপারেটররা বলছে, বিদেশি টেলিভিশনগুলো এখন ক্লিন ফিড পাঠাবে। আমি বলেছি, ক্লিড ফিড পাঠালে আমরা চালাব, এত দিন পাঠায়নি কেন? ক্লিন ফিড পাঠানোর দায়িত্ব তো তাদেরই। তারা অন্যান্য দেশে পাঠায় আমাদের এখানে পাঠাবে না কেন? যখন পাঠাবে তখনই সমপ্রচার শুরু হবে। এর আগে আমি কোন সময় দেওয়ার পক্ষপাতী নই। অনেকগুলো চ্যানেল ক্লিন ফিডসহ সমপ্রচার হচ্ছে। যারা ক্লিন ফিড করে চ্যানেল চালু করতে পারবে তারা চালু করবে, যে পারবে না সে পারবে না জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, এটির উপকার পুরো গণমাধ্যম পাবে। খুব সহসা এটির উপকার আপনারা দেখতে পাবেন। এটি দেশের স্বার্থেই করা হয়েছে।
কেবল অপারেটররা তাদের আয় থেকে সরকারকে কর দেয় না অভিযোগ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ১ নভেম্বর থেকে ঢাকা ও চট্টগ্রামে সমপ্রচার মাধ্যমে ডিজিটাল করতে হবে। এটি তারা মেনেই নিয়েছেন। যখন কেবল অপারেটিং সিস্টেম ডিজিটালাইজড হবে, তখন ফাঁকি দেওয়া সম্ভব হবে না। বিদেশি শিল্পী দিয়ে বিজ্ঞাপন করার অতিরিক্ত ফি বাস্তবায়ন সিদ্ধান্ত খুব দ্রুত কার্যকর হবে জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, এটি করা হলে দেশের শিল্পীরা ও বিজ্ঞাপন নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান সবাই উপকৃত হবে। বিএসআরএফ সভাপতি তপন বিশ্বাসের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হকের সঞ্চালনায় সংলাপে প্রধান তথ্য কর্মকর্তা মো. শাহেনুর মিয়া উপস্থিত ছিলেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবন্দরে আইসিডিমুখী কন্টেনারের পাহাড়
পরবর্তী নিবন্ধচট্টগ্রামে ই-অরেঞ্জের মালিকসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা