আগামী বছর জুনের মধ্যে ট্রেন চালানোর টার্গেট

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেললাইন প্রকল্পের কাজ ৭০ শতাংশ শেষ

আজাদী প্রতিবেদন | শনিবার , ২৮ মে, ২০২২ at ৭:১৫ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেললাইনের অগ্রগতি অনেক ভালো উল্লেখ করে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. হুমায়ুন কবীর বলেছেন, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেললাইন প্রকল্পের মেয়াদ ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত। তবে আমাদের টার্গেট আছে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগেই ২০২৩ সালের জুনের মধ্যে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে ট্রেন চালানোর। এখন পর্যন্ত প্রকল্পের অগ্রগতি ভালো। প্রকল্পের মোট ৭০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। কিছু কিছু জায়গায় ভূমি জটিলতা ছিল সেগুলো এখন নিরসন হয়েছে। চট্টগ্রামে বৃষ্টির কারণে কাজে বিঘ্ন সৃষ্টি হলেও ঠিকাদারকে আমরা চাপ দিচ্ছি যাতে দ্রুত কাজ শেষ করে দেন। গতকাল শুক্রবার বিকেলে প্রস্তাবিত কালুরঘাট সেতু এলাকা এবং বিদ্যমান পুরনো কালুরঘাট সেতু পরিদর্শনে গিয়ে রেল সচিব এ সব কথা বলেন। এর আগে সকালে তিনি চট্টগ্রাম রেল স্টেশন পরিদর্শন করেন।
এ সময় রেল সচিব ড. মো. হুমায়ুন কবীর বলেন, কক্সবাজার অংশে কাজের অগ্রগতি অনেক এগিয়েছে। চট্টগ্রামে অংশেও এগিয়ে যাচ্ছে। প্রকল্প পরিচালক জানিয়েছেন এখন যেভাবে কাজ এগোচ্ছে-তাতে আমাদের টার্গেট অনুযায়ী প্রকল্পের কাজ শেষ হবে। তাই এখন আমরা জরুরি ভিত্তিতে বিদ্যমান (পুরনো সেতুটি) সেতুটি মেরামতের উদ্যোগ নিয়েছি। এই ব্যাপারে বুয়েটের সাথে আমাদের কথাবার্তা ফাইনাল হয়েছে। তারা পরামর্শ ফি বাবদ আমাদের কাছে একটি প্রস্তাবনা দিয়েছে। আমরা সেটি বিবেচনা করছি। বুয়েটের পরামর্শ অনুযায়ী পুরনো এই সেতুটি মেরামত করে কক্সবাজার রুটে ট্রেন চলাচলের উপযোগী করে তোলা হবে।
তিনি জানান, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেল লাইনের কাজের সাথে সাথে কালুরঘাট পুরনো সেতু মেরামতের কাজ শুরু না হলে তো ট্রেন চালানো যাবে না। এই বিষয়টি নিয়ে আমরা চিন্তা করছি। এ জন্য বুয়েটের মাধ্যমে আমরা পুরনো সেতুটি মেরামত করে উপযোগী করে তোলার দিকে এগোচ্ছি।
এ সময় সচিবের সাথে উপস্থিত ছিলেন রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক জাহাঙ্গীর হোসেন, পূর্বাঞ্চলের প্রধান যান্ত্রিক প্রকৌশলী বোরহান উদ্দিন, আরএনবির চিফ কমান্ডেন্ট জহিরুল ইসলাম, ভারপ্রাপ্ত ডিআরএম আরমান হোসেন, বিভাগীয় ভূ-সম্পক্তি কর্মকর্তা মাহবুব উল করিম, ডেপুটি কমান্ডেন্ট সত্যজিৎ দাশ।
রেলওয়ের প্রকল্প সংক্রান্ত নথি অনুসারে, ২০১০ সালে দোহাজারী থেকে রামু হয়ে কক্সবাজার ও রামু থেকে মিয়ানমারের কাছে ঘুমধুম পর্যন্ত ১২৮ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণ প্রকল্প নেওয়া হয়। মূল উদ্দেশ্য পর্যটন নগরী কক্সবাজারে যাতায়াত সহজ করা। তবে কক্সবাজার থেকে মিয়ানমার পর্যন্ত ২৮ কিলোমিটারের কাজ আপাতত হচ্ছে না।
চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত ১০০ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণে প্রথমে ব্যয় ধরা হয় ১ হাজার ৮৫২ কোটি টাকা। ২০১৬ সালে প্রকল্প প্রস্তাব সংশোধন করে ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় ১৮ হাজার ৩৪ কোটি টাকা। এতে ঋণ সহায়তা দিচ্ছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক-এডিবি।
২০১৮ সালের জুলাইয়ে প্রকল্পটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়। চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না রেলওয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশন (সিআরইসি) ও বাংলাদেশের তমা কনস্ট্রাকশন কোম্পানি এবং চায়না সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন করপোরেশন (সিসিইসিসি) ও বাংলাদেশের ম্যাক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড পৃথক দুই ভাগে কাজটি করছে। এটি সরকারের অগ্রাধিকার (ফাস্ট ট্র্যাক) প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকৌতুক কণিকা
পরবর্তী নিবন্ধকোনো জুটিই পারেনি আলো জ্বালাতে