আগামী বছরেই নগরীতে বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে

প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদের সাথে মেয়র রেজাউলের সৌজন্য সাক্ষাৎ

আজাদী প্রতিবেদন | শুক্রবার , ১৯ নভেম্বর, ২০২১ at ৫:১৫ পূর্বাহ্ণ

আগামী বছরেই নগরীতে বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করা হবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এম.পি। প্রতিমন্ত্রী বলেন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা আধুনিকায়নের ফলে পরিচ্ছন্নতায় একটি নতুনমাত্রা যোগ হবে। চট্টগ্রামের মীরসরাইয়ে বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ অর্থনৈতিক জোন, ১৬ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ইস্টার্ন রিফাইনারিকে অত্যাধুনিক তেল শোধনাগারে রূপান্তর, বে-টার্মিনাল, মহেশখালীতে গভীর সমুদ্র বন্দর, মাতারবাড়ি বিদ্যুৎ কেন্দ্র, কর্ণফুলীর তলদেশে ট্যানেল নির্মাণ হলে চট্টগ্রাম হবে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক হাব। গতকাল বৃহস্পতিবার নগরীর একটি হোটেলে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এম.পির সাথে চট্টগ্রাম সিটি মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন। এসময় চট্টগ্রামের উন্নয়নে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এম.পির সহযোগিতা চান সিটি মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী। জবাবে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, চট্টগ্রাম বাংলাদেশের বাণিজ্যিক নগরী, যার পরিধি এখন অনেক বড় হচ্ছে। সরকার এইসব বিষয় মাথায় রেখে চট্টগ্রামে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের লক্ষ্যে মাটির নিচ দিয়ে বৈদ্যুতিক তার সরবরাহের প্রকল্প হাতে নিয়েছে।
মেয়র মন্ত্রীর কাছ থেকে এসব উন্নয়ন প্রকল্পের বিষয়ে অবগত হয়ে বলেন, চট্টগ্রাম পাহাড়, নদী সাগর বেষ্টিত এক অনন্য নগর। বিভিন্ন কারণবশত এখন আগের সেই রূপ নেই, এমনকি ঐতিহাসিক গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলো যা উন্মুক্ত ছিল সাধারণ জনগণের জন্য সেগুলো এখন বিলীন হয়ে গেছে। বিশেষ করে ৭১ এর ২৫ মার্চের কালো রাতের পর চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে শিশু নারীদের যে হত্যাযজ্ঞ চলেছিল এবং ১৬ ডিসেম্বর বিজয় অর্জন করার পর যে স্থান থেকে প্রথম বিজয় পতাকা উত্তোলন করা হয়েছিল সেই স্থানটিও আজ উন্মুক্ত নেই। সেখানে ইতিহাস বিকৃতির অপচেষ্টায় শিশু পার্ক নির্মাণ করা হয়েছিল যা মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি ধ্বংস করারই নামান্তর। তিনি চট্টগ্রাম নগরীর ইতিহাস ঐতিহ্য রক্ষা ও ভবিষ্যত প্রজন্মের সুস্থ মানসিক বিকাশের জন্য নানা প্রকল্প গ্রহণ করা হচ্ছে বলে মন্ত্রীকে অবহিত করেন। এসব প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে নগরী তার চিরচেনা রূপ আবার ফিরে পাবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
এসময় রাউজান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ.কে.এম এহেছানুল হায়দর চৌধুরী (বাবুল), বিজিএমই’র পরিচালক হেলাল উদ্দিন চৌধুরী তুফান, মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম উপস্থিত ছিলেন ।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকবি খালিদ আহসান আমাদের কাছে স্বমহিমায় উদ্ভাসিত
পরবর্তী নিবন্ধমুক্তবুদ্ধি ও মুক্তমতের চর্চা হবে বিশ্ববিদ্যালয়ে