সভ্যতা এখন এক বৈশ্বিক সংকট মোকাবেলা করছে। মানব সভ্যতার সবচেয়ে বড় সংকট এটি। এক নতুন বাস্তবতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে বিশ্ব। এ রকম সর্বগ্রাসী বৈশ্বিক দুর্যোগ আগে কখনো দেখেনি বিশ্ববাসী। বিশ্বের সবচেয়ে নিরাপদ জায়গা ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকায় এত ব্যাপক বিপর্যয় দেখা দেবে কেউ কখনো কল্পনাও করেনি। অথচ সেখানেই অস্তিত্বের সংকট তীব্র রূপ নিয়েছে। নতুন এই করোনাভাইরাস বা কোভিড–১৯, যা মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়েছে পুরো বিশ্বে। শোকে এবং অসহায়ে স্তব্ধ হয়ে গেছে পৃথিবী। প্রতিদিন টেলিভিশনের পর্দায় সরাসরি সমপ্রচারিত সংবাদে বিশ্বকাপ আসরের স্কোরের মত বিভিন্ন দেশের আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা জানান দিচ্ছে ভয়াবহতার ব্যাপকতা।
এই মহামারী কখন নিয়ন্ত্রণে আসবে কেউই জানে না। মহামারী পরবর্তী বিশ্ব কেমন হবে তাও কারো জানা নেই। তবে এটা নিশ্চিত যে, করোনা পরবর্তী বিশ্ব অনেকটাই পাল্টে যাবে। পৃথিবীর সবাই ‘নতুন স্বাভাবিক’ জীবনে অভ্যস্ত হয়ে পড়বে। মহামারী ঠেকাতে নানা উদ্যোগ চলছে। কোভিড–১৯ মহামারীর কারণে নিরাপত্তার জন্য বিভিন্ন দেশ যে সিদ্ধান্তগুলো নিচ্ছে তা ভবিষ্যত পৃথিবীর গতিপথ, অর্থনীতি, রাজনীতি, সংস্কৃতি এবং শিক্ষা বদলে দেবে।
২০০১ সালে যুক্তরাষ্ট্রে টুইন টাওয়ার পতনের পর যেমনটি হয়েছিল বা ২০০৮ সালে অর্থনৈতিক সংকটের মতো ঘটনাগুলোর কথা স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে, নিরাপত্তার নামে গোটা বিশ্বের সমাজ ব্যবস্থাকেই ঢেলে সাজিয়েছে। তেমনি ২০১৯ ডিসেম্বরের পরের পৃথিবী আগের মতো আর থাকবে না। পরিবর্তনটা হবে অস্বাভাবিক ভাবে ভিন্ন এবং মৌলিক। নতুন অনেক কিছুর জন্য প্রস্তুত হতে হবে পৃথিবীকে। কিছু কিছু পরিবর্তন স্থায়ী হয়ে উঠবে। যেখানে আবেগের কোন সুযোগ থাকবে না। দূরদর্শিতা আর পেশাদারত্ব সাথে দক্ষতা গড়ে না উঠলে আমাদের মত দেশকে অনেক সমস্যায় পড়তে হবে। এই মহামারীতে প্রতিদিনই অনেক কিছুই মানুষ নতুন করে শিখছে। যেসব দেশ ও সরকার আগে আগে সততা ও নিষ্ঠার সাথে সমস্যার রূঢ়তা চিহ্নিত করে সর্বোচ্চ মাত্রায় সক্রিয় হয়েছে, তারা ভাইরাসের আগ্রাসন দ্রুত নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছে । যারা পারে নাই বা করে নাই তাদের হয়েছে উল্টো।
বিশ্বের নেতৃত্বদানকারী জোট মহাজোট দেশগুলোর নেতারা করোনাকালে বিশ্বকে মোটেই নেতৃত্ব দিতে পারেনি। যুক্তরাষ্ট্র সময়মতো নিজ দেশের অনেক নাগরিকের ‘ভাইরাস টেস্ট’ করাতে পারেনি, এবং বৈশ্বিক ‘গভর্ন্যান্স–টেস্টে’ এত দিনকার অবস্থান হারিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র এমন একটি কথাও বলেনি, যা বিশ্ববাসীকে আশ্বস্ত করতে পারে। ইউরোপ যুগের পর যুগ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে অপ্রয়োজনীয় যুদ্ধে শরিক হয়েছে কেবল যুক্তরাষ্ট্রের কারণে। অথচ মহামারীতে ওয়াশিংটন ঘনিষ্ঠ মিত্র ইউরোপের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছে। কেউ কি কখনো ভেবেছে মহামারীর কারণে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকরা চির মিত্র ইউরোপে প্রবেশে করতে পারবে না। এটা বৈশ্বিক রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নেতৃত্বের পালাবদলের ইঙ্গিত। অতীত মহামারীর ইতিহাসও তাই বলে– অভিভাবকসুলভ ভূমিকা পালনে ব্যর্থ হয়ে বহু রাজত্ব নুয়ে পড়েছিল। প্রথম বিশ্বযুদ্ধকালে ‘স্প্যানিশ–ফ্লু’র সময় অস্ট্রিয়া আর জার্মানি শক্তিমত্তা হারিয়ে ছিল। নতুন করে উত্থান হয়েছিল ব্রিটেন ও ফ্রান্সের।
অদৃশ্য এক শত্রু মহামারীরূপে মানুষকে ঘরবন্দী করে ফেলেছে। ২০২০ সাল হবে হারিয়ে যাওয়া একটি বৎসর। বেঁচে থাকাটাই হবে সবচেয়ে বড় পাওয়া। এরই মধ্যে দেশে দেশে নাগরিকদের সঙ্গে সরকারের বা নিজেদের মধ্যকার সম্পর্কের দৃষ্টিভঙ্গি বদলে দিতে শুরু করেছে। বিশেষজ্ঞেরা আগামীতে এমন আরও পরিবর্তনের আভাস দিচ্ছেন। আমরা এখন বুঝি কোনো কিছু স্পর্শ করা, কারও সঙ্গে থাকা বা আবদ্ধ কোনো জায়গায় শ্বাস নেওয়া ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। এই সচেতনতা স্বভাবজাত হয়ে উঠতে পারে। কেউই হয়তো আর বারবার হাত ধোয়ার অভ্যাস ছাড়তেই পারব না। কারও সঙ্গ পেলে বা কাছে এলে এখন যে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি, তার বদলে অনুপস্থিতিতেই হয়তো বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করবে । ব্রডব্যান্ডের সুবিধা না থাকা মানে নিত্যদিনের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হওয়া। অনলাইনে যোগাযোগের বিষয়টি আরও ব্যাপকতর হবে। তবে মানুষে মানুষে দূরত্ব বাড়বে। দূরের মানুষের সঙ্গে দূরত্বটাকেই নিরাপদ বোধ করবে। নতুন ‘স্বাভাবিক’–এর পথে ২০২০ সালের আগের স্বাভাবিক অবস্থা হারিয়ে ফেলবে মানুষ।
করোনা মহামারীর শুরুর আগেই বাংলাদেশ ডিজিটালে পা দিয়েছে, ডিজিটালে আমরা দ্রুত সচেতন হয়েছি। মহামারীর আগে মোবাইল কোম্পানিগুলো প্রতিযোগিতায় ছিল কার কাছে কত জি এবং সেই জি কোন অঞ্চলে কত দ্রুত চলে । কত মিনিটে কত জি পাওয়া যায়, মোবাইলে এই প্রচার বার্তা মোটামুটি সকলের সয়ে গেছে। ডিজিটাল প্রয়োগ এবং মোবাইল ফোন অপারেটরগুলো কথা কতটুকু বাস্তবতার সাথে মিল আছে তা দেখা গেছে মহামারীর সময়। অটোমেশন যুগের ব্যাপকতা এবং সচেতনতা বেড়েছে, তবে আমরা কতটুকু ডিজিটালে অভ্যাস করতে পেরেছি!
মহামারী পরবর্তী নূতন স্বাভাবিক বিশ্ব উৎপাদন ও বিপননের ব্যাপক অনলাইন যুগে ঢুকছে। তবে আমাদের উৎপাদনশীলতা ও বিপনন ব্যবস্থায় যদি কার্যকর বাস্তব ব্যবস্থা না থাকে অনেক সমস্যায় পড়তে হবে। দোকানদারদের কাছ থেকে ‘বাজার’ চলে যাবে ‘ই–কমার্স’–এর দুনিয়ায়। ঘরে ‘কাজ’ অনলাইনে ‘বিক্রি’ এবং অনলাইনে শিক্ষা চলেছে। আড্ডা, চলাচল ও সমাবেশে আগের মতো স্বাধীনতা থাকবে না। মানুষের নিরাপত্তা এবং ‘নিরাপদ সমাজ’ গড়ার প্রত্যয়ে মানুষ নিয়ন্ত্রিত হবে। অনলাইনভিত্তিক প্রযুক্তি নির্ভর রাজনীতি চলবে । করোনার কারণে এবার তা প্রাতিষ্ঠানিকতার রূপ পাবে । আমরা এক নিয়ন্ত্রিত সমাজ ব্যবস্থার দিকেই ধাবিত হচ্ছি। কিছু কিছু পরিবর্তন স্থায়ী হয়ে উঠবে। করোনাভাইরাস যে পরিবর্তন মেনে নেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে তারমধ্যে অন্যতম হচ্ছে (১)সংকুচিত হবে শ্রম বাজার (২)শুরু হবে অটোমেশনের যুগ(৩) ধর্মীয় চেতনা প্রসারিত হবে(৪) প্রসারিত হবে অনলাইন শিক্ষা (৫)শুরু হবে টেলিমেডিসিনের যাত্রা (৬)পারিবারিক আন্তরিকতা বাড়বে (৭)সামাজিক মূল্যবোধ পাল্টে যাবে (৮)ভার্চুয়াল জগতের প্রভাব বাড়বে (৯)নতুন নাগরিক কেন্দ্রীকরণ শুরু হবে; (১০) বাড়বে রাষ্ট্রীয় নজরদারী ও নিয়ন্ত্রণ (১১) রাষ্ট্রের অনেক আইন কাজে আসবে না (১২) শুরু হবে স্বাস্থ্যকর ডিজিটাল জীবনযাপন (১৩) শুরু হবে নূতন করে বিজ্ঞানসম্মত চিন্তাভাবনার (১৪) প্রথাগত দোকানের পরিবর্তে ভার্চুয়াল বাজার বাড়বে (১৫) আসবে ইলেকট্রনিক ভোট এবং চিঠির মাধ্যমে ভোট দেওয়ার ব্যবস্থা ।
ভাইরাস থামার পরই শুরু হবে পুঁজি পুনরুত্থানের জন্য অটোমেশনের ওপর জোর। অটোমেশন ব্যাপকতার কারণে শ্রমজীবী নির্ভর দেশগুলোর জন্য চিন্তার কারণ হবে। বিশ্বজুড়ে এশিয়া–আফ্রিকার শ্রমিক গ্রহণে স্বাস্থ্য বিবেচনা আগের চেয়ে অনেক বেশি গুরুত্ব পাবে। অদক্ষ শ্রমিক গ্রহণের হারও কমে আসবে। উৎপাদন ও বিপননে ‘ই–কমার্স’–এর প্রভাব বাড়বে। শপিং সেন্টারগুলোর জন্য এটা দুঃসংবাদের মতোই শোনাবে। উদীয়মান প্রযুক্তি নতুন পণ্য ও সেবা মানুষের চাহিদার পাশাপাশি ব্যক্তিগত জীবনের আনন্দ ও উপভোগ বাড়িয়ে তুলবে। যেমন ঘরে বসেই সব ধরনের সেবা নতুন প্রযুক্তির আওতার বাইরে থাকবে না। সবধরনের সেবা পাওয়াও সহজ হবে। যদিওবা অনেক কিছুই শুরু হয়ে গেছে।
করোনাভাইরাসের মহামারীর প্রেক্ষাপটে বিশ্ববাসী বুঝতে পেরেছে যে মূল্যবোধ নিয়ে রাষ্ট্র চলছে, তার বদলে কার্যকর গণতন্ত্র অপরিহার্য, যা কার্যকরভাবে জাতীয় সংকট মোকাবিলায় সক্ষম। করোনার প্রেক্ষাপটে স্পষ্ট হয়েছে যে, যেসব সরকারি প্রতিষ্ঠান জনগণের স্বাস্থ্য, স্বাধীনতা ও জাতীয় নিরাপত্তার দেখভাল করে, সেসব প্রতিষ্ঠানে রাজনৈতিক অনুগতদের পরিবর্তে বিশেষজ্ঞ নিয়োগ করা উচিত। সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা উচিত যুক্তিসংগত প্রক্রিয়ায় আবেগে নয়, যার ভিত্তি হবে বিজ্ঞান, ইতিহাস ও ভূ–রাজনৈতিক জ্ঞান। করোনার মধ্য দিয়ে একটি বিষয় স্পষ্ট হয়েছে যে, একটি সুস্থ সমাজের জন্য কর্মক্ষম ও নিখুঁত সরকার ব্যবস্থা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। করোনায় দেশে দেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ হয়তো থাকবে আরও অনেকদিন। অনলাইনভিত্তিক চলেছে। এই অনলাইনভিত্তিক শিক্ষা ক্রমেই বাড়বে। যারা শিক্ষার্থীদের ঘরে বসে বা অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম চালানোর যে বিরোধিতা করেছিল, তা এই সংকটের মুখে তরুপের তাসের মত উড়ে গেছে। এখন অনলাইন হোমওয়ার্ক ও ঘরে থেকে আংশিকভাবে শিক্ষা কার্যক্রম চলছে এবং তাকে তারা যেভাবে গ্রহণ করেছে, তাতে একে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে নেওয়া প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়বে। গতানুগতিক শিক্ষা বা শ্রেণি কক্ষে শিক্ষা পদ্ধতির যদি পরিবর্তন না হয় প্রযুক্তি নির্ভর সমাজে সনদধারী যোগ্যতাহীন কিছু শিক্ষিত শ্রেণি প্রতি বৎসর তৈরি হবে।
স্প্যানিশ–ফ্লুর পরই বিশ্বজুড়ে নারীরা কাজে নেমেছিল। মহামারির পর কী হবে তা বলার এখনো সময় আসেনি। তবে মন্দার কারণে অসংখ্য মানুষ চাকরি হারাবে। বিলম্বিত হবে নতুন নিয়োগের। নিয়োগের ক্ষেত্রেও অনেক ভেবে চিন্তে সিদ্ধান্ত নেবে। ফলে করোনা–পরবর্তী সময়ে চাকরির বাজার কঠিন হয়ে উঠবে। এই কঠিন চাকরির বাজারে শুধু যোগ্যরাই টিকে থাকবে। যোগ্যতার পাশাপাশি প্রমাণ দিতে হবে পেশাদারিত্বের। কোন ধরনের গ্রুপিং বা অফিস ষড়যন্ত্র কাজে আসবে না। দক্ষতার আর পেশাদারত্বের অভাবে আপনা আপনি ছিটকে পড়বে। বুঝতে হবে প্রয়োজন এবং চাওয়ার মধ্যে পার্থক্য। এই মহামারির কারণে অনেকই শিখছে যে বাড়ি থেকেও দক্ষতার সঙ্গে প্রযুক্তির মাধ্যমে কাজ করা যায়। যার ফলে প্রতিষ্ঠানগুলো দূরবর্তী কাজের উপর নির্ভর হবে, চাকরির ধারাগুলি নতুন করে গঠিত হবে। অনলাইন মাধ্যমেই অফিস–ক্লাস চলতে পারে। কাজের জবাবদিহিতাও সেভাবেই তৈরি হবে। তথাকথিত ঘড়ি ধরে নয়টা–পাঁচটার কাজের অভ্যাস ছাড়তে হবে। প্রথাগত পদ্ধতিতে বড় ধরনের পরিবর্তন হবে। বৈশ্বিকভাবেই নীতি প্রণয়নে আসবে আমূল পরিবর্তন। প্রতিষ্ঠানগুলি নতুন বিধি–বিধান প্রণয়নে ব্যস্ত।
এসব পরিবর্তনের সাথে অবশ্যই নিজেকে খাপ খাইয়ে নিতে হবে। করোনা পরবর্তী বিশ্বে নতুন পরিবেশ পরিস্থিতির সাথে খাপ খাইয়ে নিয়ে নমনীয় থাকলেই সফল হওয়া সহজ হবে । নতুন চ্যালেঞ্জ আর পরিবেশের সাথে টিকে থাকার ক্ষমতা যদি না থাকে তাহলে চাকরির দৌড়ে অনেকটাই পিছিয়ে পড়তে হবে । সার্বক্ষণিক নিজেকে আপডেট করে রাখতে হবে ।
যে কোনো কঠিন সময়ে অনেকেই ভীত হয়ে পড়ে, হাল ছেড়ে দিতে চায়, আস্থা হারিয়ে ফেলে, পরচর্চায় লিপ্ত থাকে । কিন্তু নিজের বুদ্ধিকে কাজে লাগিয়ে দুঃসময়ে যে নেতৃত্ব দিয়ে কোনো প্রতিষ্ঠানকে স্বাভাবিক গতিতে রাখতে পারবে তিনি শুধু প্রশংসিতই হন না, তার কর্মস্থলের চূড়ান্ত পর্যায়ে চলে যাওয়ার সম্ভাবনাও থাকে। সঠিক নেতৃত্ব দিতে পারা মানেই সফলতার একেকটি ধাপ অতিক্রম করা। তাই করোনা–পরবর্তী চাকরির বাজারে টিকে থাকা বা নিজেকে এগিয়ে রাখতে হলে পেশাদারিত্বের সাথে নেতৃত্ব গুণ ও প্রযুক্তির দক্ষতা অবশ্যই থাকতে হবে।
লেখক : প্রতিষ্ঠাতা, সাদার্ন ইউনিভার্সিটি ও টেকসই উন্নয়নকর্মী