আগামী আগস্টে কোন ভিনদেশি দল আসলে ভিন্ন কথা। তাহলে আবার টি–টোয়েন্টি সিরিজে ব্যস্ত হয়ে উঠবে বাংলাদেশ জাতীয় দল। না হয় এশিয়া কাপের আগে ঘরের মাঠে প্রস্তুতিতেই সময় কাটবে লিটনদের। তবে এ সময়ে ব্যস্ত হয়ে পড়বে বাংলাদেশ ‘এ’ দল। এরই মধ্যে চট্টগ্রামে অবস্থান করছে বাংলাদেশের দ্বিতীয় সেরা এই দলটি। আগামী ৭ আগস্ট অস্ট্রেলিয়া সফরে যাবে নুরুল হাসান সোহান, মাহিদুল ইসলাম অংকন, সাইফ হাসানের গড়া ‘এ’ দল। অস্ট্রেলিয়ায় বাংলাদেশ ‘এ’ দল যাবে দুই ভাগে। খেলবে ২ ফরম্যাটে। প্রথম দলটি যাবে অস্ট্রেলিয়ার ডারউইনে বিগ ব্যাশের প্রতিযোগী দল ও তিনটি ভিনদেশি দলকে নিয়ে অনুষ্ঠেয় ‘টপ অ্যান্ড টি–টোয়েন্টি’ টুর্নামেন্টে অংশ নিতে। ওই আসরে অস্ট্রেলিয়ার ফ্র্যাঞ্চাইজি আসর বিগ ব্যাশের টিমগুলোর পাশাপাশি বাংলাদেশ ‘এ’, পাকিস্তান ও নেপালের ‘এ’ দল অংশ নেবে। পুরো প্রতিযোগিতায় সেমিফাইনালের আগ পর্যন্ত বাংলাদেশ ‘এ’ দলের ম্যাচ ৬টি। সেমিফাইনাল ও ফাইনাল খেললে সর্বমোট ৮ ম্যাচ খেলার সুযোগ পাবে বাংলাদেশ ‘এ’ দল। টপ এন্ড টি–টোয়েন্ট ফ্র্যাঞ্চাইজি আসর ছাড়া বাংলাদেশ ‘এ’ অস্ট্রেলিয়ায় একটি চারদিনের ম্যাচও খেলবে। লাল বলের ওই দলটি পরে যাবে। সেই চারদিনের ম্যাচের একটা বিশেষ তাৎপর্য আছে। আগামী বছর অস্ট্রেলিয়ায় টেস্ট সিরিজ খেলতে যাওয়ার কথা বাংলাদেশ দলের। সেই টেস্ট সিরিজ সামনে রেখেই ‘এ’ দলের চারদিনের ম্যাচ খেলার চিন্তা ভাবনা করা হয়েছে। কাজেই বাংলাদেশ ‘এ’ দলের হয়ে অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ক্রিকেট চ্যাম্পিয়নশিপ ‘শেফিল্ড শিল্ড’ বিজয়ী সাউথ অস্ট্রেলিয়ার সাথে ওই চারদিনের ম্যাচে বাংলাদেশ ‘এ’ দলের সাথে কয়েকজন টেস্ট ক্রিকেটারের থাকার সম্ভাবনা খুব বেশি। যারা এখনো টেস্ট দলে আছেন এবং হয়ত আগামী বছর টেস্ট দলে বিশেষ বিবেচনায় থাকবেন। এটা তাদের অস্ট্রেলিয়ান কন্ডিশনে খাপ খাইয়ে নেওয়ার একটা প্রাক প্রস্তুতিমুলক সফরও বলা যেতে পারে। এদিকে ‘এ’ দলে টি–টোয়েন্টি স্কোয়াড এখন চট্টগ্রামে নিজেদের প্রস্তুত করছে এবং তারা দেশ ছাড়ার আগে হাই পারফরমেন্স ইউনিটের সাথে ৩টি টি–টোয়েন্টি ম্যাচ খেলবে। ১, ৩ ও ৫ আগস্ট ওই ম্যাচ তিনটি অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিটি খেলাই হবে চট্টগ্রামের বীর শ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান ক্রিকেট স্টেডিয়ামে।