আগস্টেই নতুন ভবনে দাপ্তরিক কার্যক্রম শুরু করবে ওয়াসা

প্রথম ধাপে ২০তলা আইকনিক ভবনের দুটি বেজমেন্টসহ তিন তলার কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে । দ্বিতীয় ধাপে ১৭ তলার প্রকল্প পাঠানো হয়েছে মন্ত্রণালয়ে

আজাদী প্রতিবেদন | বৃহস্পতিবার , ২৪ এপ্রিল, ২০২৫ at ৬:০১ পূর্বাহ্ণ

চলতি বছরের আগস্টে নতুন আইকনিক ভবনে দাপ্তরিক কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছে চট্টগ্রাম ওয়াসা। নগরের ওয়াসার মোড়ের প্রাণ কেন্দ্রে প্রায় দেড় একরেরও বেশি জমির উপর এই ২০ তলা বিশিষ্ট আইকনিক ভবনটি নির্মাণ করা হচ্ছে দুই ধাপে। প্রথম ধাপে দুটি বেজমেন্টসহ ২০তলা ভবনের ফাউন্ডেশনের তিনতলার কাজ প্রায় শেষ হয়েছে। এখন এই তিনতলা ভবনেই ওয়াসা প্রধান অফিস স্থানান্তরিত হবে আগামী আগস্ট মাসে।

দুটি বেজমেন্টসহ তিন তলা ফ্লোরের সকল কাজ শেষ হয়েছে জানিয়ে প্রকল্প পরিচালক ও চট্টগ্রাম ওয়াসার তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. আরিফুল ইসলাম বলেন, এখন ভেতরের ইন্টেরিয়রের কাজ বাকি শুধু। এটার জন্য টেন্ডার আহ্বান করা হয়েছে। ইন্টেরিয়রের কাজ শেষ করতে আগামী তিন থেকে চার মাসের মতো লাগতে পারে। আগামী আগস্টে আমরা নতুন ভবনে অফিসিয়াল কাজ শুরু করতে পারবো।

প্রথম ধাপে তিন তলা পর্যন্ত ওয়াসার নিজস্ব অর্থায়নে নির্মিত হয়েছে। এরপর দ্বিতীয় ধাপে অবশিষ্ট কাজের জন্য মন্ত্রণালয়ে প্রকল্প পাঠানো হয়েছে বলে জানান প্রকল্প পরিচালক ও চট্টগ্রাম ওয়াসার তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. আরিফুল ইসলাম। তিনি জানান, চট্টগ্রামের অত্যান্ত চমৎকার একটি লোকেশনে ওয়াসার ২০ তলা আইকনিক ভবনটি নির্মিত হচ্ছে। এই ভবনের উভয় পাশে ৪ লেইনের সড়ক। আমরা এখন তিন তিন তলা ভবনে কার্যক্রম শুরু করলেও আমাদের ৫ম৬ষ্ঠ তলা পর্যন্ত লাগবে। এরপরের ফ্লোর গুলো বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাছে বরাদ্দ দেয়া হবে। ভবনটিতে সর্বাধুনিক সুযোগ সুবিধার পাশাপাশি নান্দনিকতাকেও গুরুত্ব দেয়া হয়েছে।

চট্টগ্রাম ওয়াসা সূত্রে জানা যায়, ২০তলা বিশিষ্ট ওয়াসার প্রধান অফিস ভবনে স্থানান্তরের জন্য এখন পুরোদমে কাজ চলছে। প্রায় ৪শ’ কোটি টাকা ব্যয়ে ২০ তলা এই আইকনিক ভবনটিতে শুধু ওয়াসার অফিসই নয় একই সাথে বহু বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রমও পরিচালিত হবে। প্রকৌশলী মো. আরিফুল ইসলাম বলেন, দিনদিন বেড়ে যাচ্ছে ওয়াসার কর্মপরিধি। বাড়ছে কর্মকর্তাকর্মচারীর সংখ্যা। সম্পদের বহুমুখী ব্যবহার নিশ্চিত করতে বহুতল ভবনের প্রয়োজনীয় সংখ্যক বেশ কয়েকটি তলা ওয়াসার দাপ্তরিক কাজে ব্যবহারের পাশাপাশি অন্য তলাগুলো বাণিজ্যিকভাবেও ব্যবহার করা হবে। এর মাধ্যমে ওয়াসার রাজস্ব আয় বাড়বে।

জানা গেছে, ২০ তলা ভবনটিতে থাকবে হেলিপেড সুবিধা। অগ্নিনির্বাপণের জন্য রাখা হবে ফায়ার হাইড্রেন্ট। এ ছাড়া থাকছে আধুনিক পার্কিং ব্যবস্থা। কোনো প্রতিষ্ঠান ভাড়া নিতে চাইলে তাদের নিজস্ব ডিজাইনে ডেকোরেশনের ব্যবস্থাও রাখা হবে। শহরের মূল কেন্দ্রে হওয়ায় আধুনিক ও আকর্ষণীয় করা হবে ভবনটি। থাকবে একাধিক কনফারেন্স রুম। ওয়াসার চিটাগাং ওয়াটার সাপ্লাই ইনপ্রুভমেন্ট অ্যান্ড স্যানিটেশন প্রজেক্ট (সিডব্লিউএসআইএসপি) প্রকল্পের আওতায় এ ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে।

ওয়াসার কর্মকর্তারা জানান, ওয়াসা পাঁচটি পানি শোধনাগার প্রকল্পের পাশাপাশি স্যুয়ারেজ প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে। এর ফলে ওয়াসার কর্মপরিধি বিগত সময়ের চেয়ে অনেক বেশি বেড়ে গেছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকবি গানের আসর শেষে ফেরার পথে ১৬ জনকে জিম্মি করে ডাকাতি
পরবর্তী নিবন্ধযেসব সংস্কারে মতৈক্য হয়েছে, কমিশনের উচিত প্রকাশ করা : খসরু