আওয়ামী লীগ কাউকে আক্রমণ করবে না, তবে আক্রান্ত হলে কাউকে ছাড়বে না বলে জানিয়েছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে গতকাল বুধবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি। ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচনের সময় আর বেশি নেই, আমাদের মাথা ঠাণ্ডা করে চলতে হবে। কাউকে আক্রমণ করব না, কিন্তু আক্রান্ত হলে কাউকে ছাড়ব না। আমরা আক্রমণ করতে যাব না, কিন্তু আক্রান্ত হলে আওয়ামী লীগ নেহি ছোড়ে গা, কাউকে ছাড়ব না, এটা আবারও বলে দিতে চাই। খবর বাংলানিউজের।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, আগুন নিয়ে খেলবেন না। এত লাফালাফি কেন? লম্ফঝম্ফ করে কোনো লাভ নেই। যে হাতে আগুন নিয়েছেন, ওই হাত পুড়িয়ে দেব। ভাঙচুর করলে ওই হাত ভেঙে দেব। আগুন হাতে আসবেন না, ওই হাত গুঁড়িয়ে দেব। আপনারা নির্বাচনে আসবেন কি আসবেন না, সেটা আপনাদের ব্যাপার। কিন্তু নির্বাচন হতে দেবেন না, এত শক্তি কোথায় পেলেন?
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ফখরুল সাহেব, মোশাররফ সাহেব ঘরে আর ফিরবেন না, কাকে হটিয়ে। আন্দোলন তো আবার ঘুর ফিরে পদযাত্রা। এটা পিছনে ফেলে এসেছেন। লোকে বলে পদযাত্রা না পতন যাত্রা। গত ৪৮ বছরের জনপ্রিয় ও সৎ নেতার নাম শেখ হাসিনা। গত ৪৮ বছরের দক্ষ প্রশাসক, বিচক্ষণ নেতা, সফল কূটনীতিকের নাম শেখ হাসিনা। আপনাদের গায়ে জ্বালা, কেন এত জ্বালা? শেখ হাসিনার জনপ্রিয়তায় আপনাদের গায়ে আগুন জ্বলে।
তিনি বলেন, ফখরুল সাহেব–মোশাররফ সাহেব ঘরে যাবেন না, শেখ হাসিনাকে হটিয়ে যাবেন। বিদেশিদের কাছে নালিশ করছেন। আমরা জানি এখন কোথায় তাকিয়ে আছেন। চাতক অপেক্ষায় তাকিয়ে আছে, কখন স্যাংশন আসে। ইউ আর রং মিস্টার ফখরুল, মিস্টার মোশাররফ। আওয়ামী লীগের ক্ষমতা যে বাংলাদেশের জনগণ। ওই স্যাংশনকে আমরা ভয় পাই না। আমরা আমাদের জনগণের সঙ্গে আছি, তাদের শক্তি নিয়ে আমরা বড় গলায় কথা বলি। কাজেই হুমকি–ধামকি দেবেন না। নির্বাচন ভালো না লাগলে আপনি না আসতে পারেন। আমরা জোর করে কাউকে আনবো না। কিন্তু নির্বাচন হতে দেবেন না, এটা কি বাপ–দাদার সম্পত্তি আপনাদের? নির্বাচন হতে দেবেন না, এত বড় কথা বলার, আস্ফালন করার শক্তি পেলেন কোথায়? যারা এখন শলাপরামর্শ দিচ্ছে, টাকা দিচ্ছে, ষড়যন্ত্রের পরামর্শ দিচ্ছে, দেখবেন সব শক্তির উপরে হচ্ছে মহান আল্লাহ পাক। তারপর এদেশের জনগণ, জনগণ যখন ঐক্যবদ্ধ হবে তখন সব অপশক্তি এই মাটিতে পরাজিত হবে, প্রতিহত হবে। আওয়ামী লীগ সেই শক্তি নিয়েই প্রতিহত করবে, পরাজিত করবে অপশক্তিকে।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন সংসদ উপনেতা ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, ড. আব্দুর রাজ্জাক, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন ও জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, মাহবুব উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম ও ডা. দীপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী প্রমুখ।