দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে একদিনে আরও ৩৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে ১ হাজার ১০৬ জন। গতকাল শনিবার বিকালে সংবাদ মাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে দেশে করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতির এই সর্বশেষ তথ্য জানানো হয়। শুক্রবার দেশে নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছিল ১ হাজার ৩৮৩ জন, মৃত্যু ঘটেছিল ২১ জনের। তার সঙ্গে তুলনা করলে দেখা যায়, নতুন শনাক্ত রোগী কমলেও মৃত্যুর সংখ্যা বেশ বেড়েছে।
গত ২ আগস্টের পর গতকালই সবচেয়ে কম রোগী শনাক্তের খবর দিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। কোরবানির ঈদের সময় ২ আগস্ট ৮৮৬ জন রোগী শনাক্ত হয়েছিল। দেশে ২৪ ঘণ্টায় সর্বাধিক কোভিড–১৯ রোগী শনাক্ত হয়েছিল গত ২ জুলাই, ৪ হাজার ১৯ জন। নতুন শনাক্ত ১ হাজার ১০৬ জনকে নিয়ে দেশে করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩ লাখ ৫৭ হাজার ৮৭৩ জনে দাঁড়িয়েছে। খবর বিডিনিউজের।
গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ১০৪টি ল্যাবে ১০ হাজার ৭৬৫টি নমুনা পরীক্ষা করে ১ হাজার ১০৬ জন রোগী পাওয়া গেছে। এ পর্যন্ত পরীক্ষা হয়েছে ১৮ লাখ ৯৮ হাজার ৭৭৫টি নমুনা। ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ১০ দশমিক ২৭ শতাংশ। এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৮ দশমিক ৮৫ শতাংশ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ১ হাজার ৭৫৩ জন রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন গত এক দিনে। তাতে সুস্থ রোগীর মোট সংখ্যা বেড়ে ২ লাখ ৬৮ হাজার ৭৭৭ জন হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৭৫ দশমিক ১০ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৩ শতাংশ। গত এক দিনে মারা যাওয়া ৩৬ জনকে নিয়ে দেশে করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা ৫ হাজার ১২৯ জনে দাঁড়াল।
বাংলাদেশে করোনার প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়ে গত ৮ মার্চ। প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটির তালিকায় বিশ্বে শনাক্তের দিক থেকে পঞ্চদশ স্থানে আছে বাংলাদেশ। মৃতের সংখ্যায় রয়েছে ২৯তম অবস্থানে।
গত এক দিনে যারা মারা গেছেন তাদের মধ্যে পুরুষ ২৫ জন, নারী ১১ জন। তাদের মধ্যে ৩৫ জন বাড়িতে এবং ১ জন হাসপাতালে মারা গেছেন। মৃতদের মধ্যে ২১ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি। ৮ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ৭ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ছিল। তাদের মধ্যে ২৩ জন ঢাকা বিভাগের, ৮ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, ২ জন সিলেট বিভাগের, ১ জন খুলনা বিভাগের, ১ জন বরিশাল বিভাগের এবং ১ জন ময়মনসিংহ বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।