যতই জিজ্ঞাসো তুমি– আমার ইতিহাস আমি রাখবো গোপনে,
তোমাকে দেবো না। কত সঙ্গোপনে চাঁদ পূর্ণিমা অমাবস্যা
একাদশী মিলে, সহগ্র তারকা মিলে– হাজার যোজন দূরের
গ্রহান্তের বিচিত্র সব অচেনা শব্দ– বীণার মোলায়েম
কোমল ঝংকারে, অজানা ভাষায়, আমার চারপাশে এসে
অস্ফুট সুর শুনিয়েছে। আমি চোখ বুজে শুনে এটুকু বুঝেছি–
দূরের কোনো গ্রহে আমার বন্ধু বা বান্ধবীর বাস, আমার
অপেক্ষায় দিন গুনছে আপন প্রাসাদে; চন্দ্রালোকিত পূর্ণিমায়
যামিনী পোহোনো তক আমার পথ চেয়ে বসে। আমি আর
থাকবো না পৃথিবীতে, তার পাঠানো পঙ্খীরাজে চড়ে
আমি চলে যাবো দূরের অচেনা মঙ্গল গ্রহে, যেখানে দেবদারু
লাগাবো আমি, সুনীল আকাশের ছায়া ধরে রাখা স্বচ্ছতোয়া
সরোবর পাড়ে; ভিস্তিওয়ারলার মতো কাঁধে বয়ে পরম যত্নে
যমুনা ব্রহ্মপুত্র গঙ্গা নিমাই এর জল নিয়ে ওখানে রোপন
করবো বহু নদী, কবুতর, গুঞ্জরিত মৌমাছি আর নদীর ইলিশ।