সবশেষ ওয়ানডে বিশ্বকাপ থেকে আর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে মাঠে নামা হয়নি দেশের সেরা ওপেনার তামিম ইকবালের। প্রায় এক বছর জাতীয় দলের হয়ে না খেললেও হঠাৎ করেই আলোচনায় এই ক্রিকেটার। সমপ্রতি তাকে বিসিবিতে দেখা গেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের সঙ্গে। এরপর থেকে আলোচনা ছড়ায়, ক্রিকেটে ফিরছেন তামিম। কিন্তু সেটা ক্রিকেটার হিসেবে নাকি সংগঠক হিসেবে। এ নিয়ে আলাপ আলোচনাও চলছে। এ ব্যাপারে সাবেক অধিনায়ক ও তামিমের চাচা আকরাম খান গতকাল সাংবাদিকদের জানান খেলবেন নাকি সংগঠক হিসেবে বোর্ডে আসবেন সে সিদ্ধান্ত তামিমেরই। তিনি বলেন এখনোতো সে খেলছে। আমি চাই যে খেলোয়াড় হিসেবে তামিম আরো খেলুক। এবং ভালো খেলুক। কিন্তু তারটাতো আমি কিছু বলতে পারছি না। এটা অবশ্যই তার সিদ্ধান্ত। সে খেলবে নাকি বোর্ডে আসবে। ২০২৩ বিশ্বকাপের দল থেকে তামিমের বাদ পড়া নিয়ে অনেক আলোচনা হয়। এরপর বিশ্বকাপেও দল ভালো করতে পারেনি। এই ব্যর্থতার কারণ খুঁজতে এনায়েত হোসেন সিরাজের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করা হয়। যদিও তাদের প্রতিবেদন সামনে আসেনি। ওই কমিটির সদস্য ছিলেন আকরাম খানও। এ প্রসঙ্গে আকরাম খান বলেন আসলে যে জিনিসটা আমরা পেয়েছি সেটা বোর্ডকে দিয়েছি। বোর্ড যেটা সিদ্ধান্ত নেবে সেটাই হয়েছে। আমাদের বিশ্বকাপে পারফরম্যান্স খারাপ ছিল। আর সেটা মূল্যায়ন করতে বলা হয়েছিল। সেটা আমরা করেছি এবং বোর্ডকে জমা দিয়েছি। দু–একজনের নামে অভিযোগ ছিল। সেটা আমরা যা পেয়েছি সেটাও কিন্তু ওই রিপোর্টে দেওয়া আছে। এদিকে সাকিব আল হাসান প্রসঙ্গে আকরাম খান জানান আমাদের বোর্ড প্রেসিডেন্ট কিন্তু শেষবার গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপে সাকিবের বিষয়টা ক্লিয়ার করে দিয়েছেন। আইনি কোনো নোটিশ না পাওয়ার ব্যাপারে উনি বলেছেন। বিসিবি এখনও লিগ্যাল নোটিশ হাতে পায়নি। এমন জানিয়ে বোর্ড পরিচালক আকরাম বলেন আমার জানামতে এখনও কোনো আইনি নোটিশ পাইনি। এটা পেলে হয়তো সবাই বসে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নিবো।
আমার মনে হয়, কিছুদিনের মধ্যে আপনারা ক্লিয়ার হবে যাবেন। সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে সাকিবের টেস্ট পারফরম্যান্স নিয়ে প্রশ্ন করা হলে আকরাম খান বলেন সাকিবের পারফরম্যান্স নিয়ে তো বলার কিছু নেই। আপনি শুধু গত দুইটা কেন, গত দুই বছরের পারফরম্যান্সও যদি বলেন কোয়ালিটি প্লেয়ার ছাড়া একটা দেশে কিন্তু ১৪–১৫ বছর খেলা সম্ভব না। এটা একটা বড় ব্যাপার। ওর তো পারফরম্যান্স সবসময় ভালো এবং যখনই খেলে বাংলাদেশের দলের জন্য কিন্তু আমরা বাড়তি সুবিধা পাই।