নগরীর আকবরশাহ থানাধীন ফয়’স লেক সংলগ্ন বেলতলীঘোনার পাহাড়ি জমি থেকে ৫০০ অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে জেলা প্রশাসন। এতে প্রায় ১১ একর জায়গা সরকারের নিয়ন্ত্রণে এসেছে। উদ্ধারকৃত জমি যাতে পুনরায় দখল না হয় সেজন্য সেখানে পিলার ও কাঁটা তারের বেষ্টনী নির্মাণ করা হয়েছে। সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে করা হয়েছে আনসার মাতায়েন। গতকাল সকাল ১০টা থেকে বিকাল পর্যন্ত এ অভিযান পরিচালিত হয়।
এতে নেতৃত্ব দেন জেলা প্রশাসনের সিনিয়র সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. তৌহিদুল ইসলাম এবং কাট্টলী সার্কেলের এসিল্যান্ড মো. উমর ফারুক। উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) ৭০ জনের একটি টিম, আকবর শাহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওয়ালি উদ্দিন, পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ হাসান, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের প্রতিনিধি, পিডিবির টিম, কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানীর প্রতিনিধি, ওয়াসা প্রতিনিধি এবং ৩০ জন আনসার সদস্য।
সিনিয়র সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. তৌহিদুল ইসলাম বলেন, চট্টগ্রাম জেলার পাহাড় রক্ষার্থে হিউম্যান রাইটস এন্ড পিস ফর বাংলাদেশের দায়ের করা মামলার রায় বাস্তবায়নে বেলতলীঘোনার পাহাড়ে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। এ বিষয়ে পাহাড় ব্যবস্থাপনা কমিটির ২৬তম সভায় সিদ্ধান্তও গৃহীত হয়েছে।
তিনি বলেন, উচ্চ আদালতের রায়ে নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে, চট্টগ্রামের বায়েজিদ বোস্তামী থানা, আকবর শাহ থানা, খুলশী থানা, সীতাকুণ্ড উপজেলার জঙ্গল সলিমপুর–আলীনগর এবং অন্যান্য পাহাড়ি এলাকায় আইন ভঙ্গ করে, স্বত্ত্ব ব্যতিরেকে, অযৌক্তিকভাবে পাহাড় কেটে যে সকল স্থাপনা, ঘর গড়ে উঠেছে তা অবিলম্বে উচ্ছেদ করতে হবে।
ম্যাজিস্ট্রেট তৌহিদুল ইসলাম বলেন, সার্বিক বিষয় বিবেচনায় নিয়ে পাহাড় থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছেন জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান। এরই ধারাবাহিকতায় আমরা অভিযান শুরু করেছি। এটি চলতে থাকবে।












