চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের (চমেক) নতুন কনফারেন্স হলে শহীদ ডা. মিজানুর রহমানের ৩২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল দুপুরে অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে ডা. মিজান স্মৃতি ফাউন্ডেশন। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম মেডিকেল ইউনিভার্সিটির সিন্ডিকেট সদস্য ডা. এ কে এম ফজলুল হক।
বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. জসীমউদ্দীন, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ তসলিম উদ্দিন, কার্ডিওলজির কনসালটেন্ট ডা. ইফতেখারুল ইসলাম, সার্জন ডা. মো. আবু নাসের, চট্টগ্রাম মা ও শিশু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ডা. এটিএম রেজাউল করিম, শহীদ ডা. মিজান স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক ডা. মোহাম্মদ মাহমুদুর রহমান। বক্তব্য রাখেন চমেক হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. এ ওয়াই এম এন জাহাঙ্গীর, শিশু মেডিসিন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. বেলায়েত হোসেন ঢালী, ক্রিটিকাল কেয়ার মেডিসিন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. সাইফুল আজম সাজ্জাদ, মেডিসিন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ রেজাউল করিম, অর্থোপেডিক সার্জারি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. ইমরোজ উদ্দিন, চট্টগ্রাম ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজের ডিরেক্টর ডা. মুসলিম উদ্দিন সবুজ। শহীদ ডা. মিজান ফাউন্ডেশনের সভাপতি অধ্যাপক ডা. মো. সেলিমের সভাপতিত্বে ডা. ইকবাল মাহমুদ এবং ডা. এম এস মুস্তাকিমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন ডা. এস এম কামরুল হক। বক্তারা বলেন, ১৯৯৩ সালের ১৮ অক্টোবর ছাত্রলীগের তৎকালীন চমেক ছাত্র সংসদের ভিপি ও জিএসের নেতৃত্বে সংঘটিত এই হত্যাকাণ্ডের ন্যায়বিচার হয়নি। বরং খুনিরা আজও প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে মামলার আসামিরা বেকসুর খালাস পেয়েছে–যা ন্যায়বিচারের চরম পরাজয়। যদি ডা. মিজান হত্যার বিচার সময়মতো হতো, তাহলে পরবর্তীতে বিডিএস ছাত্র আবিদের মতো আরও অনেক তরুণ প্রাণ আজ বেঁচে থাকত। সাকিব হোসেন ওয়াকিলদেরকেও আইসিইউতে যেতে হতো না। চমেকের হলগুলো আয়নাঘরে পরিণত হতো না। বক্তারা হত্যাকাণ্ডে ‘জড়িত’ ডা. ফয়সাল ইকবাল চৌধুরী ও ডা. রবিউল করিম ও অন্যান্য আসামিকে পুনরায় আইনের আওতায় আনার দাবি জানান এবং মামলাটি রি–ওপেন করে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।