বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম বলেছেন, বিগত কয়েক মাস ধরে বিএনপি যে নিয়মতান্ত্রিক কর্মসূচি দিচ্ছে, আওয়ামী লীগ কোনো না কোনোভাবে তার কাউন্টার কর্মসূচি দিচ্ছে। বিএনপির অবস্থান কর্মসূচি চলাকালে নেতাকর্মীদের ওপর ন্যাক্কারজনক হামলা ও গ্রেপ্তার প্রমাণ করে সরকার দেশে একটা সংঘাত বাধাতে চায়। বিএনপি কোনো কর্মসূচি দিলে তারা ঠিক একই সময়ে বারবার প্যারালাল কর্মসূচি দিচ্ছে। বিএনপি তারিখ, সময় ও স্থান পেছালে তারাও তারিখ, সময় ও স্থান পরিবর্তন করছে। আওয়ামী লীগ শান্তি সমাবেশের নামে অশান্তি সৃষ্টি করছে।
গতকাল সোমবার নগরের নুর আহম্মেদ সড়কে ঢাকায় বিএনপির অবস্থান কর্মসূচিতে হামলা ও গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে মহানগর ও দক্ষিণ জেলা বিএনপির কেন্দ্র ঘোষিত জনসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
নগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেনের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম আহ্বায়ক ইয়াছিন চৌধুরী লিটনের পরিচালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির শ্রম সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দীন, মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান।
ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, ঢাকায় বিএনপির অবস্থান কর্মসূচিতে সরকার গ্রেপ্তারের নাটক করেছে। গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও আমানউল্লাহ আমানকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে গিয়ে মজার মজার খাবার খাইয়েছেন। আমরা জানতে চাই, তাদের সাথে আমাদের নেতাকর্মী যাদের গ্রেপ্তার করেছেন তাদেরকে কি খাবার খাইয়েছেন? বরং ডিবি অফিসে গ্রেপ্তারকৃতদের জন্য যারা খাবার নিয়ে গেছে তাদেরকে গ্রেপ্তার করেছেন। বড় দুজন নেতাকে ছেড়ে দিয়ে হাজার হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছেন, মামলা দিয়েছেন। এই সরকারের পতন এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। জেল জুলুম হামলা মামলা দিয়ে বিএনপির অগ্রযাত্রাকে দমিয়ে রাখা যাবে না। গণতন্ত্রের জয় সব সময় হয়েছে। এ এম নাজিম উদ্দীন বলেন, দেশের তরুণ প্রজন্ম এই সরকারকে ক্ষমা করবে না।
আবুল হাশেম বক্কর বলেন, আওয়ামী লীগ শান্তি সমাবেশের নামে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে।
আবু সুফিয়ান বলেন, আগুন সন্ত্রাসের ঘটনা ঘটিয়ে এবার আর কোনো লাভ হবে না। এ বিষয়ে আসল সত্যটা এখন বিশ্ববাসী জেনে গেছে।
সমাবেশে বক্তব্য দেন, মহানগর বিএনপির সি. যুগ্ম আহ্বায়ক এম এ আজিজ, দক্ষিণ জেলা বিএনপির সি. যুগ্ম আহ্বায়ক এনামুল হক এনাম, মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাড. আবদুস সাত্তার, এস কে খোদা তোতন, নাজিমুর রহমান, কাজী বেলাল উদ্দিন, মো. শাহ আলম, ইসকান্দর মির্জা, আবদুল মান্নান, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য এরশাদ উল্লাহ, শামসুল আলম, হারুন জামান, মাহবুব আলম, এস এম আবুল ফয়েজ, নাজিম উদ্দীন আহমেদ, আহমেদুল আলম চৌধুরী রাসেল, আবুল হাশেম, আনোয়ার হোসেন লিপু, মন্জুর আলম চৌধুরী মন্জু, মো. কামরুল ইসলাম, অ্যাড. ইফতেখার হোসেন চৌধুরী মহসিন, বদরুল খায়ের চৌধুরী, এস এম মামুন মিয়া, নাজমুল মোস্তফা আমিন, মজিবুর রহমান, মোস্তাাফিজুর রহমান, ভিপি মোজাম্মেল হক, হাজী রফিক, মো. ইসহাক চৌধুরী, হামিদুল হক মান্নান, নূরুল কবির, মহানগর যুবদলের সভাপতি মোশাররফ হোসেন দিপ্তী, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহেদ, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এইচ এম রাশেদ খান, সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলু, বিভাগীয় শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক নুরুল্লাহ বাহার, মহিলা দলের সভাপতি মনোয়ারা বেগম মনি, সাধারণ সম্পাদক জেলি চৌধুরী, দক্ষিণ জেলা যুবদলের সভাপতি মো. শাহজাহান, সাধারণ সম্পাদক মো. আজগর, মামুনুল ইসলাম হুমায়ুন, বাবুল হক, মো. আজম, মো. সালাউদ্দীন, মো. সেকান্দর, মোশারফ হোসেন ডেপটি, আবদুল্লাহ আল হারুন, ডা. নুরুল আবছার, জাকির হোসেন, জাহিদ হাসান, মো. শাহাবুদ্দীন, বাদশা মিয়া, জসিম উদ্দিন জিয়া, আবদুল কাদের জসিম, নুর হোসাইন, জাহাঙ্গীর আলম, মো. আলমগীর, কামাল পাশা নিজামী, মঞ্জুর আলম তালুকদার, জমির উদ্দিন।