প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জনগণকে দেয়া অঙ্গীকার অনুযায়ী আওয়ামী লীগ সবসময় জাতির কল্যাণে কাজ করে এবং দেশের মানুষ এর সুফলও পাচ্ছে। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণকে যে কথা দেয় সে কথা রাখে।
গতকাল তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটি, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটি ও উপদেষ্টা পরিষদের যৌথ সভায় সূচনা বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন, সবসময় তারা জনগণকে দেয়া অঙ্গীকার অনুযায়ী পরিকল্পনা বাস্তবায়নে নির্বাচনী ইশতেহারকে স্মরণ রেখে জাতীয় বাজেট প্রণয়ন করেছেন। খবর বাসসের।
শেখ হাসিনা বলেন, প্রতিটি নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগ তাদের নির্বাচনী অঙ্গীকার দেশবাসীর কাছে উপস্থাপন করে এবং সবসময় তাদের নির্বাচনী অঙ্গীকার রক্ষা করে, এটাই হচ্ছে বাস্তবতা। ১৪ বছরে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বাংলাদেশের যে আমূল পরিবর্তন ঘটেছে তা অনেকেই মেনে নিতে পারছে না। নানা ধরনের কথা রটায়। কিন্তু মূলত একটা পরিবর্তন যে এসেছে মানুষের জীবনযাত্রায় আর তাছাড়া রাস্তা-ঘাট এবং যোগাযোগ ব্যবস্থার তো আমরা প্রভূত উন্নতি করেছি। তারপরও এসব উন্নতিও অনেকে চোখে দেখেও না দেখার ভান করে, স্বীকার করতে চায় না, করতে চাইবেও না। কিন্তু যেটা আমি সবসময় বলতে চাই, আওয়ামী লীগ যে ওয়াদা করে সে ওয়াদা রক্ষা করে।
সরকারপ্রধান বলেন, প্রত্যেক ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারকে আমরা ঘর করে দিচ্ছি। আমাদের কথা ছিল প্রত্যেক ঘরে ঘরে আমরা আলো জ্বালাব। সেটাও আমরা পেরেছি।
তিনি বলেন, দেশে এর মধ্যে দারিদ্রের হার অনেক কমিয়ে আনা হয়েছে। তবে করোনা মহামারি এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ না হলে এই হার আরো ৩ থেকে ৪ শতাংশ কমিয়ে আনা সম্ভব হতো। সবাই মিলে বিশ্ব মন্দা মোকাবেলা করতে হবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ক্ষুদ্র ঋণের বোঝা থেকে মানুষকে মুক্ত করেছে আওয়ামী লীগ সরকার। দেশের কোথায় কি দুর্নীতি হয়েছে সে তথ্য দিতেও জাতীয় সংসদে আহ্বান জানানো হয়েছে। কাজেই শুধু মুখে দুর্নীতির কথা বললেই হবে না, সুনির্দিষ্ট তথ্য প্রমাণ দিলে সরকার ব্যবস্থা নেবে। কিন্তু এখন এমন লোকদের কাছে দুর্নীতির কথা শুনতে হয় যারা নিজেরাই দুর্নীতিগ্রস্ত এবং তাদের আমলে বাংলাদেশ দুর্নীতিতে পাঁচবার বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশের তরতারি এখন ৭০টির মতো দেশে রপ্তানি হচ্ছে। শরিয়তপুরের যে সবজি হচ্ছে তা সুইজারল্যান্ডে যাচ্ছে। এভাবে উদ্যোগ নিয়ে আমরা করতে পারি। কাজেই সেভাবেই নিজের পায়ে দাঁড়ানোর চিন্তা আমাদের করতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা সরকারে আসার পর গবেষণায় সব থেকে বেশি গুরুত্ব দিয়েছি। তিনি উদাহরণ দেন, তাঁর এলাকা গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া এবং কোটালিপাড়ায় প্রায় ১০ হাজার একর অনাবাদী জমি তিনি আধুনিক পদ্ধতিতে চাষাবাদের আওতায় আনার উদ্যোগ নিয়েছেন। কৃষি মন্ত্রণালয়ের অনাবাদী জমিকে চাষের আওতায় আনার যে প্রকল্প তার অতিরিক্ত হিসেবে।
পরে প্রধানমন্ত্রী ‘ভেঙ্গেছে দুয়ার এসেছ জ্যোতির্ময়’ শীর্ষক একটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন।











