নগরীর লালদীঘি ময়দানে আওয়ামী লীগের সমাবেশে দুই পক্ষের মধ্যে দুই দফা হাতাহাতি ও চেয়ার মারামারির ঘটনা ঘটেছে। গতকাল বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে লালদীঘির মাঠে জনসভাস্থলে দেখা যায়, মঞ্চের বাম পাশে গেটে যুবলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে প্রথমে হাতাহাতি এবং পরবর্তীতে চেয়ার ছোড়াছুড়ি শুরু হয়। এ সময় মঞ্চে জনসভার কার্যক্রম প্রায় পাঁচ মিনিটের মতো বন্ধ রেখে তাদের শান্ত করার চেষ্টা করেন নেতারা। এরা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী আসিফ মাহমুদ ও চসিকের কাউন্সিলর ওয়াসিম উদ্দিন চৌধুরীর অনুসারী বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এর আগে লালদীঘির মাঠে ঢোকার সময় বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি হয়। তারই রেশ ধরে সাড়ে ৫টায় আবার চেয়ার ছোড়াছুড়ির ঘটনা ঘটে।
গতকাল বিকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিএনপি নেতার প্রাণনাশের হুমকির প্রতিবাদে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ সমাবেশের আয়োজন করে।
লালদীঘির মাঠে সর্বশেষ ২০১৮ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ১৯ ডিসেম্বর দলের প্রার্থীদের পরিচয় করিয়ে দিতে আওয়ামী লীগ জনসভা করেছিল।
চার বছর পর বদলে যাওয়া লালদীঘির মাঠে গতকাল অনুষ্ঠিত জনসভার মঞ্চে নেতাকর্মীদের কোনো নিয়ন্ত্রণ ছিল না। নগর আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের ছাত্রলীগ–যুবলীগের নেতাকর্মীরা মঞ্চে উঠে পুরো মঞ্চ নিজেদের দখল নেয়। তারা দলের সিনিয়র নেতাদের পেছনে দাঁড়িয়ে ছবি তুলতে ভিড় করতে থাকেন। ফলে চেয়ারে বসা জ্যেষ্ঠ নেতাদের পেছনে ধাক্কাধাক্কি–হুড়োহুড়ি হয়। এসময় তারা নগর আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের পক্ষের নেতাদের নামে শ্লোগান পাল্টা শ্লোগান দেন।
বেশ কয়েকজন জানান, মিছিল নিয়ে আসার পথে গায়ে ধাক্কা লাগার ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুইপক্ষে বিশৃঙ্খলা শুরু হয় এবং পরে এ ঘটনা থেকে উত্তেজনা ছড়ায়।
মাহতাবের হুঁশিয়ারি : মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী সভাপতির বক্তব্য শুরু করার সাথে সাথে যারা চেয়ার ছোড়াছুড়ি করেছে তাদেরকে প্রতি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘তোমরা যারা চেয়ার মারামারি করেছো তারা বিএনপি–জামায়াত। তোমরা আওয়ামী লীগ না, যুবলীগ না, ছাত্রলীগ না। তোমরা বিএনপি–জামাত।’ তোমরা যারা চেয়ার ছোড়াছুড়ি করেছো তোমাদের হাত কেটে ফেলবো। বক্তব্যের শুরুতে উচ্ছৃঙ্খল নেতাকর্মীদের শাসালেও সভা শেষ করার আগে রসিকতার সুরে তিনি নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘এবার কোড়ে কোড়ে বাড়িত যগই। বউত স্লোগান দিইয়ু। ঘরত যাই, গা গোসল ধুই ভাত খাই ফেল গই।’