বাংলাদেশের গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ নিয়ে দেশে এবং দেশের বাইরেও কথা উঠছে বলে দাবি করেছেন বিএনপি‘র স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ, গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ ফিরে পাবে কিনা সংশয় কাজ করছে। শুধু দেশের ভেতর নয়, দেশের বাইরেও এটি নিয়ে কথা উঠছে। সবাই বিএনপির দিকে তাকিয়ে। ইতিমধ্যে বিএনপির নেতাকর্মীরা সড়কে আন্দোলনের মাধ্যমে দেশ ও বিদেশের কাছে বার্তা দিয়েছে, এই সরকারের বিদায় ছাড়া কোনো আপোষ নয়। এই সরকারের বিদায়ের জন্য যা যা করা দরকার বিএনপির নেতাকর্মীরা করবেন। তিনি গতকাল কাজীর দেউড়িস্থ একটি কনভেনশন সেন্টারে অনুষ্ঠিত চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি‘র আলোচনা সভা ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
নগর বিএনপির আহবায়ক ডা.শাহাদাত হোসেনের সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্করের সঞ্চালনায় সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা গোলাম আকবর খোন্দকার ও এস এম ফজলুল হক।
আমীর খসরু আরো বলেন, জনগণ শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচন চায় না, জনগণ এই সরকারের পদত্যাগ চায় । কারণ এই সরকার বিগত নির্বাচনে কি করেছে তা সবাই জানে। তাই আগে সরকারকে পদত্যাগ করতেই হবে। তারপর রাষ্ট্রের কাঠামো মেরামত করতে হবে। নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার গঠন করতে হবে। সেই নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে বাংলাদেশের মানুষ নির্বাচনে যাবে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের রাজনীতি ধ্বংস হয়ে গেছে। তাদের নেতাকর্মীরা রাজনীতি থেকে অনেক দূরে সরে গেছে। তাদের শিক্ষা দেওয়া হয়েছে, ভোট কীভাবে চুরি করতে হয়, টেন্ডারবাজি, জায়গা দখল, ব্যবসা দখল, দুর্নীতি কীভাবে করতে হয়। আর বিএনপির নেতাকর্মীরা জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের নিয়ে ভাবছে, আগামী রাষ্ট্র কীভাবে হবে সেটি নিয়ে চিন্তা করছে।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি নেতাকর্মীরা রাস্তায় দাঁড়িয়ে মানুষের অধিকারের কথা বলছে। এই জন্য কতো নির্যাতনের শিকার হয়েছে, তা ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না। তবুও জনগণের পাশে বিএনপি। ৩৫ লাখ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছে এই সরকার। অনেককে হত্যা করেছে, গুম করেছে, জেলে পুরেছে। তারপরও আমরা সরে দাঁড়ায়নি। সুতারাং, আমাদের বিজয় সুনিশ্চিত।
মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন বলেন, দেশের মানুষ অতীব কষ্টে, রাগে, ক্ষোভে ফুসে উঠেছে। এ সরকারকে এইদেশের জনগণ আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না। এই সরকার একটি দুর্নীতিবাজ সরকার। দুর্নীতির কারণে আজ দেশের বেহাল দশা হয়েছে। এই সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করতে হবে।
ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, বিদ্যুৎ নেই, পানি নেই, গ্যাস নেই, তাই এই স্বৈরাচার সরকারেরও আর দরকার নেই। এটাই আজ জনগণের কথা।
গোলাম আকবর খোন্দকার বলেন, সরকারের দুঃশাসনে দেশবাসী অতিষ্ঠ। দেশের মানুষ পরিবর্তন চায়। আন্দোলনের মাধ্যমে এ সরকারের পতন করতে হবে। আবুল হাশেম বক্কর বলেন, জোর করে, মানুষ হত্যা, গুম, খুন করে, জনগনণকে ভয় দেখিয়ে, অবৈধভাবে রাতে ভোট করে ১৪ বছর ক্ষমতায় আছেন। আগামীতে একদলীয়ভাবে কোনো নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির শ্রম বিষয়ক সম্পাদক এম নাজিম উদ্দিন, চট্টগ্রাম বিভাগীয় সহ–সাংগঠনিক সম্পাদক জালাল উদ্দিন মজুমদার, কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য হুম্মাম কাদের চৌধুরী, সাথী উদয় কুসুম বড়ুয়া, নগর বিএনপির সি. যুগ্ম আহবায়ক আলহাজ্ব এম এ আজিজ, যুগ্ম আহবায়ক মোহাম্মদ মিয়া ভোলা, এড. আবদুস সাত্তার, নাজিমুর রহমান, শফিকুর রহমান স্বপন, কাজী বেলাল উদ্দিন, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, মো. শাহ আলম, আবদুল মান্নান, আহবায়ক কমিটির সদস্য এরশাদ উল্লাহ, হারুন জামান।












