চট্টগ্রাম–৮ (বোয়ালখালী–চান্দগাঁও) আসনের উপ–নির্বাচনে গতকাল মনোনয়ন পত্র জমাদানের শেষ দিনে আওয়ামী লীগের নোমান আল মাহমুদসহ ৬ জন প্রার্থী তাদের মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন। গতকাল সকাল থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত নির্ধারিত সময়ে চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে রিটার্নিং অফিসার মোহাম্মদ হাসানুজ্জামানের কাছে তারা মনোনয়নপত্র জমা দেন।
আওয়ামী লীগের প্রার্থী নোমান আল মাহমুদ মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় দলের জ্যেষ্ঠ নেতারাসহ বেশ কিছু নেতাকর্মী আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে ঢুকে পড়লে নির্বাচনী আচরনবিধি যাতে ভঙ্গ না হয় সে জন্য বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী রুম থেকে বেরিয়ে যান।
আওয়ামী লীগের নোমান আল মাহমুদ ছাড়াও আরো যারা মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন তারা হলেন– ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের সৈয়দ মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দীন, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের সেহাব উদ্দিন মুহাম্মদ আবদুস সামাদ, এনপিপির প্রার্থী মোস্তাফা কামাল পাশা, স্বতন্ত্র প্রার্থী পূর্ব ষোলশহর এলাকার মীর মোহাম্মদ রমজান আলী এবং সাতকানিয়ার খাগরিয়ার খাদেমুল ইসলাম চৌধুরী।
চট্টগ্রামের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান বলেন, মোট ৬ জন প্রার্থী চট্টগ্রাম–৮ আসনের উপ নির্বাচনের জন্য মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন। ২৯ মার্চ প্রার্থী, প্রস্তাবকারী ও সমর্থনকারীর উপস্থিতিতে প্রার্থীতা বাছাই হবে। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করা যাবে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত। ৬ এপ্রিল প্রতীক বরাদ্দ এবং ২৭ এপ্রিল অনুষ্ঠেয় চট্টগ্রাম–৮ আসনের উপনির্বাচনে ১৯০টি ভোটকেন্দ্রের সবগুলোতে ইভিএমে ভোটগ্রহণ হবে। ভোটার সংখ্যা ৫ লাখ ১৭ হাজার ৭৫২ জন। ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে বলে জানান তিনি। মনোনয়ন ফরম জমা দিয়ে চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন কার্যালয় থেকে বের হয়ে নৌকার প্রার্থী নোমান আল মাহমুদ সাংবাদিকদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী আমাকে মনোনয়ন দিয়েছেন। এজন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। দল আমার ওপর যে আস্থা রেখেছে, তা আমি পালনের চেষ্টা করবো। আমার দুই পূর্বসূরি মইন উদ্দিন খান বাদল ও প্রয়াত দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমদ কালুরঘাট সেতু বাস্তবায়নের যে স্বপ্ন দেখেছিলেন তাকে পূর্ণাঙ্গ রূপ দেওয়া আমার রাজনৈতিক ও সামাজিক দায়িত্ব। আমার সব স্তরের নেতাকর্মীরা যদি সহযোগিতা প্রদান করেন এবং আমি যদি নির্বাচিত হই তা বাস্তবায়নে সচেষ্ট হব। এই অঙ্গীকার পালনে আমি অবশ্যই আমার সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করব। এছাড়া স্থানীয় যে সব সমস্যা রয়েছে তা সমাধানে সচেষ্ট থাকবেন বলে জানান নোমান। তিনি বলেন, আশা করি উপ–নির্বাচনে আপনারা আমাকে সহযোগিতা করবেন। আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক প্রার্থী যারা ছিলেন তাদেরও যথেষ্ট যোগ্যতা ছিল। তারা মনোনয়ন না পেলেও আমাকে সহযোগিতা করবেন। কারণ আমরা দলের এক ও অভিন্ন শক্তি। আমাদের একমাত্র লক্ষ্য ও অর্জন হবে নৌকার বিজয় সুনিশ্চিত করা। যার প্রভাব দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকেও প্রভাবিত করবে।
আওয়ামী লীগের প্রার্থী নোমান আল মাহমুদ মনোনয়ন পত্র জমা দেয়ার সময় উপস্থিত ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ সালাম ও সাধারণ সম্পাদক শেখ আতাউর রহমান, মহানগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, খোরশেদ আলম সুজন, বোয়ালখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল আমিন চৌধুরী, দক্ষিণ জেলা আওয়ামীলীগ নেতা প্রদীপ দাশ, মহানগর আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, চন্দন ধর, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল কাদের সুজন প্রমুখ।












