বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য হুম্মাম কাদের চৌধুরী বলেছেন, এখন প্রতিটি ঘরে ঘরে লুকিয়ে আছে আওয়ামী লীগের মানুষ। ঘর থেকে বের হয় না। তবে জানিয়ে দিতে চাই, তারাও সুযোগ খুঁজছে। বার বার করে ষড়যন্ত্র হচ্ছে আমরা দেখতে পাচ্ছি। তবে আওয়ামী লীগ যদি গর্ত থেকে বের হয়, তবে সকলের দায়িত্ব তাদেরকে ধরিয়ে দেয়ার।
শনিবার (২৬ জুলাই) বিকালে রাঙ্গুনিয়া উপজেলার বেতাগী ইউনিয়নের গাগ্গুলাতল এলাকায় ইউনিয়ন বিএনপি আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষে এবং জুলাই–আগস্ট এর শহীদদের স্মরণে এই জনসভার আয়োজন করা হয়। হুম্মাম কাদের চৌধুরী বলেন, “বলেছিলাম না, আমার বয়স কম–রক্ত গরম। ততক্ষণ আমার এই রক্ত ঠান্ডা হবে না, যতদিন এই আওয়ামী লীগের বিচার না হবে। এখন সময় এসেছে, তাদের স্বীকার করতে হবে তারা অপরাধ করেছে, ১৪০০ সন্তানদেরকে তারা হত্যা করেছে, এই দেশকে তারা লুঠপাট করেছে। বিএনপি নেতাকর্মীদের মন অনেক বড়, ক্ষমা করে দিতে পারি। তবে তাদের ক্ষমা চাইতে হবে, স্বীকার করতে হবে তাদের ভুলগুলো। কিন্তু এখনো তারা স্বীকার করছে না। জনসভায় সভাপতিত্ব করেন বেতাগী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি নিজামুল হক চৌধুরী তপন। উদ্বোধনী বক্তব্য দেন উপজেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক মাকসুদুল হক চৌধুরী। বেতাগী ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক কাজী নাজিম উদ্দীনের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন সাবেক বেতাগী ইউপি চেয়ারম্যান এবং উত্তরজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফজলে করিম মিনা, সাবেক চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, উত্তরজেলা বিএনপির সদস্য শওকত আলী নূও, এডভোকেট কামাল হোসেন, হাজী মোহাম্মদ ইলিয়াস, মছিহুদ্দৌলা চৌধুরী, ইউসুফ সিকদার, ভিপি আনছুর উদ্দিন, এস এম ইফতেখার হোসেন রুবেল, ফারুকুল ইসলাম, পারভেজ মোশাররফ, আবু বক্কর, হেলাল আহমদ, আশরাফুল হক হারুন। বক্তব্য দেন সৈয়দ মোহাম্মদ সাবেরুল ইসলাম, আলী আকবর, কাজী মোহাম্মদ জালাল, খালেদ চৌধুরী, মোহাম্মদ হারুন, ফজলুল কাদের, আব্দুল আজিজ পলাশ, শাহাদাত তালুকদার, জিয়াউল হায়দার রায়হান, মো. মফিজ, মো. আরিফ, দিদারুল আলম, মিশন চৌধুরী, মো. শাহেদ, আহাদুল হক প্রমুখ।
এদিকে বৃষ্টি উপেক্ষা করে এদিন দুপুরের পর থেকে উপজেলার বেতাগী ইউনিয়নের প্রতিটি ওয়ার্ড থেকে পৃথক মিছিল সহকারে নেতৃবৃন্দ জনসভায় যোগ দেন। হুম্মাম কাদেরের উপস্থিত হওয়ার পর জনসভার মাঠ ছাপিয়ে হাজারো নেতাকর্মী সড়কে দাড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। তৃণমূলের নেতৃবৃন্দ এদিন নিজেদের বক্তব্যে গত ১৬ বছরের ত্যাগের কথা তুলে ধরেন এবং এখন সুযোগ সন্ধানীদের জন্য প্রকৃত নেতৃবৃন্দ বঞ্চিত হচ্ছেন বলে জানান।