আওয়ামী রাজনীতির শুদ্ধপুরুষ ভিপি জাফর

জামশেদুল আলম চৌধুরী | মঙ্গলবার , ৯ মে, ২০২৩ at ৬:০১ পূর্বাহ্ণ

জন্ম মৃত্যু সৃষ্টিকর্তার বিধান, জন্মালে অবশ্যই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে। প্রতিদিন কত মানুষের মৃত্যু হয় এ ব্যস্ততম নগরজীবনে মানুষ তার কোনো খবর রাখে না। কিন্তু কিছু কিছু মৃত্যু মানুষকে ভাবিয়ে তোলে, পিছনে ফিরে তাকাতে বাধ্য করে। তেমনি একটি মৃত্যু আমাদের অগ্রজ সাবেক ছাত্রনেতা ভিপি জাফরের। জাফর ভাই সাতকানিয়ার এওচিয়া ইউনিয়নের খান বাড়ির এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। স্কুল জীবনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে ছাত্রলীগে যোগদান করেন। জাফর ভাই এর বয়ানে শুনেছি ১৯৭৩ সালে সাতকানিয়ার এওচিয়ায় দেওদিঘি হাই স্কুলে দশম শ্রেণিতে পড়া অবস্থায় তৎকালীন দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক বর্তমানে সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট মির্জা কছির উদ্দিনের হাত ধরে তিনি ছাত্রলীগের রাজনীতিতে নিজেকে সম্পৃক্ত করেন। এসএসসি পাস করার পর ১৯৭৫ সালে চট্টগ্রাম কলেজে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হন। সে সময় মেধাবী ছাত্ররা চট্টগ্রাম কলেজে ভর্তি সুযোগ পেতো। জাফর আহমদ ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে চট্টগ্রাম কলেজে ভর্তি হন। সদ্য স্বাধীন দেশ বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আওয়ামীলীগ রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় গ্রাম থেকে এসে জাফর ভাই অনায়াসে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে নিজেকে জড়িয়ে ফেলেন। এর মধ্যে সংঘটিত হলো ১৯৭৫ সালের নির্মম হত্যাকাণ্ড, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বাধীনতা বিরোধীচক্রের যোগসাজশে দেশিবিদেশি প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠী সপরিবারে হত্যা করে। সারা দেশে আওয়ামীলীগ ছাত্রলীগের কর্মীদের উপর চালানো হলো সামরিক জান্তার অত্যাচারের স্টিমরোলার। হাজার হাজার নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করা হলো। স্বভাবতই অন্যদের মতো তরুণ জাফরের মনেও বিদ্রোহ ও বিপ্লবের ক্ষোভ সঞ্চারিত হয়। ধনাঢ্য পরিবারের সন্তান জাফর আহমদ দেবপাহাড়ের আবাসিক এলাকায় ভাড়া বাসায় সহকর্মীদের নিয়ে থাকতো। আর বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের দাবিতে বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামের প্রস্তুতি গ্রহণ করে এবং চট্টগ্রাম কলেজসহ আশেপাশের এলাকায় মুজিব হত্যার বিচারের দাবিতে পোস্টারিং করত এবং দেয়ালে চিকা মারতো। ইতোমধ্যে ১৯৭৬ সালে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করে একই কলেজের অর্থনীতিতে সমান শ্রেণিতে ভর্তি হন। সারাদেশ তখন অবরুদ্ধ সামরিক শাসনের যাঁতাকলে দেশের মানুষ নিষ্পিষ্ট। অবৈধ সামরিক সরকার বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে বিকৃত করা শুরু করেছে। তরুণ প্রজন্মের কাছে বঙ্গবন্ধুকে অখ্যাত অজ্ঞাত করে রেখে দেশকে পাকিস্তানি ভাবধারায় পরিচালিত করছে। মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি জামায়াতে ইসলামী ও তাদের অঙ্গ সংগঠন ইসলামী ছাত্র সংঘ ইসলামী ছাত্র শিবির নাম দিয়ে আত্মপ্রকাশ করে। সামরিক জান্তার সহযোগিতায় চট্টগ্রাম কলেজ মহসিন কলেজ এবং আশেপাশের এলাকাকে জিম্মি করে সাম্প্রদায়িক শক্তির শক্ত ঘাঁটিতে পরিণত করে। স্বাধীনতার পর দেশের বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপনে থাকা এবং জেল থেকে বেরিয়ে রাজাকার আল বদররা ছাত্রশিবিরের সাথে সম্পৃক্ত হয়ে সারা দেশের ছাত্রলীগ ও প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীদের হত্যা, পায়ের রগ কাটা শুরু করে। এর মধ্যে ছাত্রলীগ বহুমুখী নির্যাতন নিপীড়নকে উপেক্ষা করে চট্টগ্রাম কলেজ ও মহসিন কলেজে সংগঠনের ভিত্তি মজবুত করার জন্য সর্বশক্তি দিয়ে কাজ শুরু করে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তৎকালীন সময়ে নেতৃবৃন্দরা ছাত্রলীগকে সেদিন সংগঠিত করেছিল। এরমধ্যে ১৯৭৭ সালের ডিসেম্বরে চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগের সম্মেলন হয়। সম্মেলনে সাবেক সিটি মেয়র ও বর্তমান মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ..ম নাছির উদ্দিন সভাপতি ও কানাডা প্রবাসী শাহাবুদ্দিন সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়। শাহাবুদ্দিন বিদেশ চলে গেলে সৈয়দ হাসান মাহমুদ শমসের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। বিভিন্ন সময় আলাপচারিতায় জাফর ভাই বলেছেন মূলত নাছির ভাইয়ের হাত ধরে তিনি সহ এক ঝাঁক তরুণ কর্মী ছাত্রলীগের পতাকাতলে নতুনভাবে সংগঠিত হন। সময়টা ছিল আওয়ামী লীগ ছাত্রলীগের জন্য অত্যন্ত বৈরী সময়। ছাত্রলীগের নাম বললে তখন সাধারণ ছাত্ররা এড়িয়ে চলত। এর মধ্যে বিএনপির ছাত্রদল আত্মপ্রকাশ করে, তারা ছাত্রশিবিরের সাথে একাট্টা হয়ে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে সশস্ত্র সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড শুরু করে। এর মধ্যে সারা দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্র সংসদ নির্বাচন শুরু হয়। ইতিমধ্যে ডাকসু, চাকসু, রাকসু, বাকসু এবং ইকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ছাত্রলীগ ছাত্র ইউনিয়ন এবং জাসদ ছাত্রলীগ সহ প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠনগুলো জয়লাভ করে। চট্টগ্রাম কলেজ, মহসিন কলেজ, সিটি কলেজ ও কমার্স কলেজ ছাত্র সংসদ নির্বাচনের তারিখ ঘোষিত হয়। চট্টগ্রাম কলেজে স্মার্ট সুদর্শন জাফর ভাই মিছিলমিটিং সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড করে কলেজের সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন। তৎকালীন সিটি ছাত্রলীগ এবং কলেজ ছাত্রলীগের কমিটি ছাত্র সংসদ নির্বাচনে জনপ্রিয় ছাত্রনেতা জাফর আহমেদকে ভি.পি পদে মনোনয়ন দিয়ে ছাত্রলীগের প্যানেল ঘোষণা করে। জি.এস পদে বর্তমানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী ফজলুল কাদের চৌধুরী আদর কে মনোনয়ন দেয়। জাফরআদর পরিষদে এ.জি.এস পদে ছিলেন শহিদুল আলম ঝিনুক, বর্তমানে আইন মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা। বার্ষিকী সম্পাদক পদে বিশিষ্ট সাংবাদিক আবু তাহের মাহমুদ, ক্রীড়া সম্পাদক পদে প্রয়াত কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা ডাক্তার জাহাঙ্গীর সাত্তার টিংকু, বক্তৃতাবিতর্ক সম্পাদক পদে সাখাওয়াত হোসেনের মতো মেধাবী ছাত্ররা ছিল। মূলত জাফর ভাইয়ের বিপুল জনপ্রিয়তায় সেদিন চট্টগ্রাম কলেজে স্বাধীনতা বিরোধী ধর্মান্ধ জামাত শিবিরের দুর্গকে ধুলিস্যাৎ করে ছাত্রলীগ পূর্ণ প্যানেলে জয়লাভ করে। সেই সাথে মহসিন কলেজ ও সিটি কলেজেও ছাত্রলীগ পূর্ণ প্যানেলে জয়লাভ করে। আমি মহসিন কলেজ ছাত্র সংসদের নির্বাচনে বাবরইউসুফ পরিষদ থেকে বার্ষিকী সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছিলাম এবং পরের বছর ১৯৮১৮২ সংসদে ভি.পি নির্বাচিত হই। সেসময় মহসিন কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন প্রয়াত ছাত্রনেতা পরবর্তীতে মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মরহুম গোলাম মোস্তফা বাচ্চু এবং সাধারণ সম্পাদক ছিলেন বর্তমান তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাসান মাহমুদ। জাফর আহমদ দেশখ্যাত চট্টগ্রাম কলেজের ভি.পি নির্বাচিত হয়ে সারাদেশের রাজনৈতিক নেতা এবং ছাত্রনেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। জাফর ভাইয়ের ভি.পি হিসেবে দায়িত্ব পালন করার সময় চট্টগ্রাম কলেজে ছাত্রশিবিরের সন্ত্রাসীদের হাতে সিটি কলেজ ছাত্র সংসদের এ.জি.এস তবারক শহীদ হন এবং জাফর ভাইসহ সংসদের নেতৃবৃন্দকে কলেজ ছেড়ে যাওয়ার জন্য প্রতিনিয়ত হুমকি প্রদান এবং প্রশাসনের ছত্রছায়ায় সশস্ত্র হামলা অব্যাহত রাখে। এতকিছুর পরও জাফর ভাই মুজিব আদর্শের পতাকাকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কলেজে উড্ডীন রেখেছিলেন। এরই মধ্যে ১৯৮১ সালের ১৭ই মে বঙ্গবন্ধু কন্যা আওয়ামীলীগ সভানেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা দীর্ঘ ছয় বছর বিদেশে নির্বাসন কেটে দেশে ফিরে আসেন। জাফর ভাই নতুন উদ্যমে সাম্প্রদায়িক শক্তির খুনসন্ত্রাসনির্যাতননিপীড়নকে মোকাবেলা করে ছাত্রলীগকে দুর্বার গতিতে সংগঠিত করে। ঢাকায় গিয়ে নেত্রীর সাথে সাক্ষাৎ করেন। নেত্রী জাফর ভাইকে স্নেহ করতেন এবং সিটি জাফর হিসেবে চিনতেন। ইতোমধ্যে ছাত্র রাজনীতির পাশাপাশি জাফর ভাই শিক্ষাজীবন সমাপ্ত করেন; তিনি অর্থনীতিতে অনার্স এবং মাস্টার্স সম্পন্ন করেন। চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগকে সংগঠিত করার জন্য চট্টগ্রামের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পাড়ায় মহল্লায় ছাত্রলীগকে সংগঠিত করেন এবং ১৯৮৫ সালে চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি নির্বাচিত হন এবং ১৯৮৯ সাল পর্যন্ত সে দায়িত্ব পালন করেন। স্বৈরাচারী এরশাদের সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগকে নিয়ে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলেন।

জাফর ভাই অত্যন্ত বিনয়ীভদ্র এবং সদালাপী ছিলেন; ছিলেন সৎ, আদর্শবান, কর্মীবান্ধব, পরোপকারী। কর্মীদের বিপদ আপদে সব সময় নিজেকে উজাড় করে দিতেন। আজীবন রাজনীতি ছাড়া অন্য কিছু চিন্তা করেননি। যেখানে অবস্থান করতেন সেখানে সংগঠনের জন্য কাজ করেছেন। উনার বড় ইচ্ছা ছিল চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের কমিটিতে সম্পৃক্ত হওয়ার। চট্টগ্রাম কলেজের মত একটি স্বনামধন্য কলেজের ভি.পি এবং বাংলাদেশ ছাত্রলীগ চট্টগ্রাম মহানগর শাখার সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করার পরেও নিয়তির নির্মম পরিহাস মহানগর আওয়ামী লীগের কমিটিতে কোনো স্থান হয়নি। অথচ জাফর ভাই সেই কমিটিতে থাকলে সেই কমিটির জৌলুস বৃদ্ধি পেত। জাফর ভাইয়ের অনেক কর্মী আজ মন্ত্রী, এমপি, জেলা সম্পাদক, কেন্দ্রীয় নেতা, সরকারের উচ্চপর্যায়ের আমলা, সেনাবাহিনীর জেনারেল পর্যন্ত আছেন। অথচ সুদীর্ঘ ৫০ বছর সার্বক্ষণিক রাজনীতি করেও এই মানুষটির মূল্যায়ন হয়নি। আমাদের নেতারা বক্তৃতা বিবৃতিতে হরহামেশা বলেন ত্যাগী এবং পুরনো নেতাকর্মীদের মূল্যায়ন করা হবে। কিন্তু না পাওয়ার বেদনা নিয়ে চলে গেলেন তিনি না ফেরার দেশে।

জাফর ভাইয়ের সাথে আমার অনেক স্মৃতি। দীর্ঘ ১৫ বছর একসাথে দুজন চলাফেরা করেছি, মিটিংমিছিলে একসাথে যেতাম। সে সমস্ত স্মৃতি বড় বেদনার স্মৃতি। মৃত্যুর দুই দিন আগে আমাকে বলেছিলেন, ‘জামশেদ এখানে এভাবে থাকলে আমাদের কোনো গতি হবে না, কেউ আমাদের মূল্যায়ন করবে না, কোনো একটা সভাসমাবেশে গেলে আমাদের নামও কেউ উল্লেখ করে না। চলো ঈদের পরে ঢাকায় যাই, নেত্রী ব্যক্তিগতভাবে আমাকে চিনেন প্রয়োজনে নেত্রীর সাথে দেখা করব’। সেই যাওয়া আর হলো না। ১৯ এপ্রিল রাত ১১:৩০ পর্যন্ত আমি, সাইফুদ্দিন, জমির জাফর ভাইয়ের সাথে কথা বলেছি। ২০ এপ্রিল ভোর ৫টায় সেহরির পর জাফর ভাই পৃথিবীর সমস্ত বন্ধন ছিন্ন করে আকস্মিকভাবে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে ইন্তেকাল করেন। এখন তিনি সবকিছুর উর্ধ্বে। সারা জীবন সংগঠনকে উজাড় করে দিয়েছেন। একটি অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনায় শরীরের একটি অঙ্গহানি হয়েছিল, যার জন্য সংসার জীবন করতে পারেননি। সে সময় বিসিএস পরীক্ষার ফরম পূরণ করে হাসপাতালে থাকার কারণে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারেননি। বিসিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করলে মেধাবী ছাত্র জাফর ভাই আজকে সরকারের সচিব বা বড় আমলা হয়ে অবসরে যেতে পারতেন। দীর্ঘ ৫০ বছর মানুষটিকে আমার সংগঠন কোনো পদপদবী দিতে পারেনি। আওয়ামীলীগের সংবিধানে মরণোত্তর পদ দেওয়ার কোনো নিয়ম নেই, থাকলেও সেটি মনে হয় জাফর ভাইয়ের ভাগ্যে জুটতো না।

লেখক: সাবেক ভি.পি মহসিন কলেজ ছাত্রসংসদ (১৯৮১৮২)

পূর্ববর্তী নিবন্ধমা, আমার মা
পরবর্তী নিবন্ধরবীন্দ্র ভাবনায় বাংলাদেশ