বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান রাউজানের সাবেক সংসদ সদস্য গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী সাংবাদিক সম্মেলন করে বলেছেন, রাউজানের বিএনপি নেতাকর্মীসহ ভিন্নমতের মানুষের উপর আওয়ামী সন্ত্রাসীরা কিভাবে নির্যাতন করেছে তা আস্তে আস্তে প্রকাশ পেতে শুরু হয়েছে। মানুষকে ধরে নিয়ে কোন কোন এলাকার কিভাবে ‘আয়না ঘরে’ বন্দি রেখে নির্যাতন চালিয়েছে অনেকেই নির্যাতনের বর্ণণা দিয়ে বিচার দাবি করছে।
তিনি বলেন, যারা আয়নাঘর প্রতিষ্ঠা করে মানুষের উপর জুলুম নির্যাতন করেছে তারা রাউজানের সাবেক এমপির সহযোগী হিসাবে পরিচিত। এই দায় সাবেক সংসদ সদস্য এড়াতে পারেনা। তিনি আরো বলেন, এসব জুলুম নির্যাতন যারাই করেছে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতেই হবে। তিনি সাংবাদিকদের গহিরা কলেজের নিচে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের তৈরী করা নির্যাতনের আয়না ঘরটি ঘুরে দেখার পরামর্শ দেন। সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, রাউজানের অনেক সনাতন ধর্মের লোককে ধরে নিয়ে আয়না ঘরে বন্দি রেখে জোর করে জমি রেজিস্ট্রি করে নেয়ার ঘটনা প্রকাশ পাচ্ছে। লোভনীয় স্পটে জায়গা রেজিস্ট্রি দেয়ার আগে জমির মূল্য পরিশোধের কথা দিলেও তারা কাজ শেষে টাকা না দিয়ে রেজিস্ট্রিদাতাকে এলাকা ছাড়তে বাধ্য করেছে। তার কাছে এই ধরণের এক শত অভিযোগ জমা পড়েছে বলে জানান।
গতকাল শুক্রবার সকালে গহিরায় নিজ বাড়িতে বসে সংবাদ সম্মেলনের সময় তার সাথে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি নেতা আবু জাফর চৌধুরী, নুরুল হুদা, ফিরোজ আহমেদ, সাবের সুলতান কাজল, নুরুল ইসলাম বাবুল, মোজাম্মেল হক, আনিসুজ্জামান সোহেল, ইউছুপ তালুকদার, একরাম মিয়া, তসলিম উদ্দিন, ছোটন আজম, মনজুরুল আলম মঞ্জু, হোসেন চৌধুরী, আসাদুজ্জামান এনাম, মো. সাহেদুল মোস্তফা, সালাউদ্দিন সেলিম নেজাম, কে. এম মাসুদ করিম, আহমেদ সোয়েবানু, মো. রাশেদ, ছাত্রদল নেতা জুয়েল চৌধুরী প্রমুখ।