চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির আসন্ন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত কাউকে অংশ নিতে দিবে না বলে ঘোষণা দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারীরা। যারা আওয়ামী লীগের সাথে জড়িত ছিল এবং যারা ছাত্র–জনতার আন্দোলনে হামলা করেছে তাদের মনোনয়ন ফরম যাচাই–বাছাই করে বাতিল করারও দাবি জানান তারা। গতকাল রোববার দুপুরে চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ মিছিল ও সংক্ষিপ্ত সমাবেশ থেকে এই দাবি জানানো হয়। সমাবেশে বক্তব্য দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চট্টগ্রাম নগরের সমন্বয়ক ওমর ফারুক, চট্টগ্রাম সরকারি কলেজের সমন্বয়ক মো. তানভীর শরীফ, চট্টগ্রাম সরকারি সিটি কলেজের সমন্বয়ক মোহাম্মদ রনি ও মোহাম্মদ ওয়াহিদ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক মো. আবির ও আইনজীবী শওকত হোসেন চৌধুরী।
সমাবেশ থেকে আওয়ামী লীগ সমর্থিত সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদের প্রার্থীদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার ও যাতে তাঁরা নির্বাচনে অংশ নিতে না পারেন সেই ব্যবস্থা নেওয়ারও দাবি জানানো হয়। বক্তারা বলেন, জুলাই–আগস্ট অভ্যুত্থানে শহীদদের রক্তের ওপর আওয়ামীপন্থী ও ফ্যাসিবাদের দোসর আইনজীবীদের নির্বাচনে অংশ নিতে দেওয়া হবে না। গত বছরের ৩১ জুলাই চট্টগ্রাম আদালতে কর্মসূচি পালনকালে খুনি হাসিনার দোসর আওয়ামীপন্থী আইনজীবীরা আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা চালিয়েছিলেন। এ ছাড়া গত ৪ আগস্ট নগরের নিউমার্কেট এলাকায় পুলিশ, আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের সন্ত্রাসীরা যখন ছাত্র–জনতার আন্দোলনে হামলা চালিয়েছিল, তখন আন্দোলনে অংশ নেওয়া নিরীহ কিছু ছাত্র আদালত ভবনে আশ্রয় নেন। এ সময় সেখানে তাঁদের ওপর হামলা চালানো হয়।
উল্লেখ্য, আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। নির্বাচন উপলক্ষে ১৪ জানুয়ারি নির্বাচন কমিশন গঠন করেছে চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির কার্যকরী কমিটি। ২৮ জানুয়ারি চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশিত হবে। ইতোমধ্যে বিএনপি–জামায়াত সমর্থিত আইনজীবী ঐক্য পরিষদ ও আওয়ামী লীগ সমর্থিত সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদ সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ ১৯টি পদের বিপরীতে প্রার্থী ঘোষণা করেছে। অনেকে প্রচারও চালাচ্ছেন।