আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে চট্টগ্রামে এনসিপির বিক্ষোভ

| শনিবার , ৩ মে, ২০২৫ at ৭:৩৯ পূর্বাহ্ণ

আওয়ামী লীগের বিচার ও রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), চট্টগ্রাম। গতকাল শুক্রবার বিকেলে নগরীর প্রেস ক্লাব থেকে শুরু হয়ে আন্দরকিল্লা মোড় থেকে মিছিলটি চেরাগী পাহাড় মোড়ে এসে শেষ হয়।

জাতীয় নাগরিক পার্টি চট্টগ্রামের সংগঠক মুহাম্মদ সাঈদুর রহমানের সঞ্চালনায় ফ্যাসীবাদের আঁতুড়ঘর আওয়ামিলীগ ও তাদের অঙ্গসংগঠনগুলো নিষিদ্ধ ও তাদের নৃশংসতার বিচারিক কার্যক্রম অনতিবিলম্বে শুরু করার দাবিতে এই বিক্ষোভ সমাবেশে বিভিন্ন বিষয়ে বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় নেতারা।

এনসিপির কেন্দ্রীয় সদস্য নীলা আফরোজ বলেন, ২০০৮ থেকে ২০২৪ এই ১৬ বছরে ভারতের প্রেসক্রিপশনে দেশকে পরিচালিত করে বাংলাদেশ রাষ্ট্রকেই নস্যাৎ করে দিতে চেয়েছে আওয়ামী লীগ। দেশবিরোধী, গণমানুষ বিরোধী এসব কর্মকাণ্ডের বিচার করতে হবে। এনসিপির কেন্দ্রীয় সদস্য জাওয়াদুল করিম বলেন, প্রয়োজনে নতুন অভ্যুত্থান হবে, তারপরও আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে।

এনসিপির কেন্দ্রীয় সদস্য জোবায়েরুল আলম বলেন, সরকারকে প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করতে হবে। আওয়ামী লীগের বাকশালী সংবিধানকে ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে নতুন রূপে বাংলাদেশকে সাজাতে হবে। এই দায়িত্ব বাংলাদেশের তরুণযুব সমাজ কাঁধে নিয়েছে। বাংলাদেশ রাষ্ট্রের প্রতিটি নাগরিকের নাগরিক অধিকার, রাজনৈতিক অধিকার নিয়ে এনসিপি সোচ্চার থাকবে।

এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সংগঠক ইমন ছৈয়দ বলেন, বিগত ১৬১৭ বছরে অগণিত নিরহ নিরপরাধ জনগণের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে আওয়ামী লীগ। জুলাইয়ে ২০০০ শহীদ, অর্ধ লক্ষাধিক আন্দোলনকারীদের আহত করে তাদের কর্মক্ষমতা, সুষ্ঠুভাবে বেঁচে থাকার অধিকার কেড়ে নিয়েছে আওয়ামী লীগ। আগামী নির্বাচনের আগেই আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করতে হবে। তাদের সকল প্রকার রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করতে হবে।

এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সংগঠক জোবায়রুল হাসান আরিফ বলেন, জুলাই গণঅভ্যুথান আওয়ামী লীগকে বাংলাদেশের রাজনীতিতে অপ্রাসঙ্গিক করে দিয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারকে বলবো, তাদের রাজনীতি নিষিদ্ধ করে এবং বিচার করে আপনাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করুন। লীগের রাজনীতি করতে দেওয়া বাংলাদেশকে ইন্ডিয়ার করদরাজ্য বানানোর নামান্তর। প্রয়োজনে লীগ নিষিদ্ধের জন্য গণভোট করতে হবে।

জাতীয় নাগরিক পার্টির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্য সচিব শাগুফতা বুশরা মিশমা বলেন, গণহত্যাকারী লীগকে নিষিদ্ধের জন্য আমাদের বারবার রাস্তায় নামতে হচ্ছে। বাংলাদেশের উপর আর কোন বিদেশি রাষ্ট্রের হস্তক্ষেপ বাংলাদেশের জনগণ মেনে নিবে না। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপ্রযুক্তির কুফলকে বদলে দিতে মিডিয়া কর্মীদের ভূমিকা পালন করতে হবে
পরবর্তী নিবন্ধকরিডোর দেওয়া না দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে জনগণ