আওয়ামী লীগের সাথে কোনো আপস হবে না বলে ঘোষণা দিয়েছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন। তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়াকে যে অত্যাচার করেছে তার জন্য তাদেরকে ক্ষমা করা যায় না। বেগম খালেদা জিয়া বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। খালেদা জিয়া বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষের প্রাণের স্পন্দন। তিনি কখনো কারো সাথে আপস করেননি। সবাই তাকে দেশের গণতন্ত্রের মা হিসেবে চিহ্নিত করেছে।
গতকাল বিকালে নগরের নাসিমন ভবন দলীয় কার্যালয়ের সামনে নূর আহমেদ সড়কে দলের চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। নগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেনের সভাপতিত্বে কেন্দ্র ঘোষিত এ কর্মসূচিতে প্রধান বক্তা ছিলেন কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম। বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির শ্রম বিষয়ক সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দীন ও নগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর।
মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন বলেন, ওবায়দুল কাদের (আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক) যদি প্রতি সপ্তাহে সিঙ্গাপুর যেতে পারেন, বেগম খালেদা জিয়া কেন চিকিৎসার জন্য যেতে পারবেন না? ম্যাডামের কিছু হলে সারা দেশে আগুন জ্বলবে। সরকার বুঝতে পারছে না। কারণ তারা বিভিন্ন বাহিনী নিয়ে আছে। আন্দোলনের জোয়ারে এই বাহিনী এক মিনিটের মধ্যে কোথায় চলে যাবে টেরও পাবে না। তিনি বলেন, পুলিশ বাহিনীকে বলতে চাই, বেশি বাড়াবাড়ি করবেন না। জোয়ার শুরু হলে কিছু করতে পারবেন না। আমাদের নেতাদের যেদিন নির্দেশ দিব সেদিন আপনাদের কোনো অস্ত্রই কাজে আসবে না। আমরা আন্দোলন করে এই পর্যায়ে এসেছি। আওয়ামী লীগ পালাবার পথ খুঁজে পাবে না।
মাহবুবের রহমান শামীম বলেন, বেগম জিয়াকে পর্যাপ্ত চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে না। চিকিৎসার অভাবে তার কিছু হলে এর পরিণতি হবে ভয়াবহ। আওয়ামী লীগ নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে। তিনি বলেন, ক্ষমতাসীন সরকার জনগণের শক্তিতে নয়, রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে বন্দুকের নলে জোর করে টিকে আছে। বিগত নির্বাচনের মতো তারা আবারো আরেকটি নির্বাচনের জন্য উঠে পড়ে লেগেছে। কিন্তু তা হতে দেব না। সারা বিশ্ব আজকে বাংলাদেশের সুষ্ঠু নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে আছে।
শাহাদাত হোসেন বলেন, খেলা ইতোমধ্যে শুরু হয়ে গেছে। আওয়ামী লীগকে বিদায় নিতেই হবে। বোরকা যদি কিনে না নেন ওই নারায়ণগঞ্জের নেতার কাছ থেকে উদাহরণ নিয়ে তাড়াতাড়ি কিনে ফেলুন। দেশত্যাগের জন্য গোপনে প্রস্তুতি নিন। জনগণ কিন্তু আপনাদের ক্ষমা করবে না।
এ এম নাজিম উদ্দীন বলেন, আমাদের দেশ ও জনগণকে রক্ষা করতে হলে আমাদের বাতিঘর বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে।
আবুল হাশেম বক্কর বলেন, সরকার আইনের দোহাই দিয়ে দেশনেত্রীকে বিদেশে যেতে দিচ্ছে না। তাকে সুচিকিৎসা না দিয়ে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। যদি কোনো অঘটন ঘটে তাহলে এই সরকারকে সম্পূর্ণ দায়ভার নিতে হবে।
নগর বিএনপি যুগ্ম আহ্বায়ক ইয়াছিন চৌধুরী লিটনের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন এম এ আজিজ, এড. আবদুস সাত্তার, এস এম সাইফুল আলম, এস কে খোদা তোতন, নাজিমুর রহমান, শফিকুর রহমান স্বপন, কাজী বেলাল উদ্দিন, আবদুল মান্নান, হারুন জামান, মাহবুব আলম, নিয়াজ মো. খান, গাজী মো. সিরাজ উল্লাহ, মো. কামরুল ইসলাম, মোশাররফ হোসেন দিপ্তী, মোহাম্মদ শাহেদ, এইচ এম রাশেদ খান, বেলায়েত হোসেন বুলু, মনোয়ারা বেগম মনি, জেলী চৌধুরী, মো. আলমগীর, মনিরুজ্জামান টিটু, মনিরুজ্জমান মুরাদ, নুরুল হক ও এম এ মুছা।