ফেইসবুক ও ইউটিউবসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আওয়ামী লীগ ও এর সব সহযোগী সংগঠনের অ্যাকাউন্ট ব্লকের পাশাপাশি ওয়েবসাইট বন্ধে পদক্ষেপ নিতে বলেছে সরকার। ক্ষমতাচ্যুত দলটির এসব অনলাইন প্ল্যাটফর্ম বন্ধে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসিকে গত মঙ্গলবার চিঠি দিয়েছে জাতীয় সাইবার নিরাপত্তা এজেন্সি। চিঠির সঙ্গে বন্ধ ও ব্লক করার জন্য আওয়ামী লীগের ওয়েবসাইট ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ইউআরএল বা লিংকের একটি তালিকাও দেওয়া হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব এ চিঠি পাঠানোর তথ্য দিয়ে বলেন, বিটিআরসিকে সন্ত্রাসবিরোধী (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫ এবং সাইবার আইনের ৮(২) ধারা অনুযায়ী এ পদক্ষেপ নিতে অনুরোধ করা হয়েছে। একই সঙ্গে দলটির সামাজিক যোগাযোগ অ্যাকাউন্টগুলো বন্ধ করতে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোকে (ফেইসবুক, ইউটিউব, টিকটক, এঙ) অনুরোধ জানানোর জন্যও বিটিআরসিকে বলা হয়েছে, যোগ করেন তিনি। খবর বিডিনিউজের।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত সরকার সন্ত্রাসবিরোধী আইনে গত সোমবার আওয়ামী লীগ ও এর সব অঙ্গ, সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের সব কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে। প্রজ্ঞাপনে প্রচারণা, মিছিল, সভা–সমাবেশ ও সম্মেলনে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার পাশাপাশি যেকোন ধরনের প্রকাশনা, গণমাধ্যম, অনলাইন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যেকোন ধরনের কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করা হয়। এর পরদিন মঙ্গলবার সাইবার নিরাপত্তা এজেন্সি থেকে বিটিআরসিকে ছাত্র–জনতার গণ আন্দোলনে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের অঙ্গ, সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতীম সংগঠনগুলোর ওয়েবসাইট, ফেইসবুক, ইউটিউব, টিকটক, টেলিগ্রাম, এঙ অ্যাকাউন্ট ‘ব্লক’ করতে এ চিঠি দেয়।
চিঠিটিতে আওয়ামী লীগের কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করার প্রজ্ঞাপন এবং নির্বাচন কমিশনের রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিতের কথা তুলে ধরে বলা হয়, সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশের ৮ এর ২ ধারা অনুযায়ী– যদি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিকট তথ্য–উপাত্ত বিশ্লেষণ সাপেক্ষে বিশ্বাস করিবার কারণ থাকে যে, ডিজিটাল বা ইলেকট্রনিক মাধ্যমে প্রকাশিত বা প্রচারিত কোনো তথ্য দেশের অখণ্ডতা, নিরাপত্তা, প্রতিরক্ষা, জনশৃঙ্খলা ক্ষুণ্ন করে, ধর্মীয় বা সামপ্রদায়িক ঘৃণামূলক বা জাতিগত বিদ্বেষমূলক বক্তব্য যাহা সহিংসতা তৈরিতে উদ্বেগ সৃষ্টি করে এবং এর মাধ্যমে বিশৃঙ্খলা বা অপরাধমূলক কর্মকান্ডের নির্দেশনা প্রদান করে, তাহা হইলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী উক্ত তথ্য–উপাত্ত অপসারণ বা ব্লক করিবার জন্য, বা ক্ষেত্রমতে স্থানান্তরের জন্য মহাপরিচালকের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন বা প্রযোজ্য ক্ষেত্রে বিটিআরসিকে অনুরোধ করিতে পারিবে।