আওয়ামী লীগকে এই দেশে আর রাজনীতি করতে দেওয়া হবে না

এক দশক পর জন্মস্থানে সালাহউদ্দিন আহমদ চকরিয়া-পেকুয়ার পথে পথে গণসংবর্ধনা

চকরিয়া প্রতিনিধি | বৃহস্পতিবার , ২৯ আগস্ট, ২০২৪ at ৪:৫০ পূর্বাহ্ণ

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, এদেশে আর জুলমনির্যাতন সহ্য করা হবে না। শতসহস্র শহীদের স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করা হবে। তাদের রক্তের অঙ্গীকার বৈষম্যহীন বাংলাদেশ বিনির্মাণ করা হবে। গণহত্যার দায়ে শেখ হাসিনারই করা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচার করা হবে শেখ হাসিনা ও তার দোসরদের। প্রয়োজনে আন্তর্জাতিক আদালতেও মামলা করা হবে। দিল্লিতে বসে ষড়যন্ত্র করা হলে শেখ হাসিনাকে দেশে এনে বিচার করা হবে। গণহত্যাকারী এবং তাদের দল আওয়ামী লীগকে এই দেশে আর রাজনীতি করতে দেওয়া হবে না। আমরা সবাই বাংলাদেশের মানুষ, আমাদের পরিচয় হবে বাংলাদেশি। তিনি বলেন, হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান আমরা সবাই বাংলাদেশি। এদেশে সবার বৈষম্যহীন অধিকার নিশ্চিত করা হবে। এদেশে কেউ সংখ্যালঘু হিসেবে থাকবে না।

গতকাল বুধবার বিকেলে চকরিয়া পৌর বাস টার্মিনালে চকরিয়া উপজেলা বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত এক গণসংবর্ধনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। চকরিয়া উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক এনামুল হকের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ফখররুদ্দিন ফরায়েজীর সঞ্চালনায় গণসংবর্ধনায় আরো বক্তব্য রাখেন, কঙবাজার জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক হুইপ শাহজাহান চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট শামীম আরা স্বপ্না, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান, জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জামিল ইব্রাহিম চৌধুরী, জেলা যুবদল সভাপতি ছৈয়দ আহমদ উজ্জল, সাধারণ সম্পাদক মো. নিশান, জেলা শ্রমিকদল সভাপতি রফিকুল ইসলাম, চকরিয়া উপজেলা পৌর বিএনপির সভাপতি সাবেক মেয়র নুরুল ইসলাম হায়দার, সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহিম ও উপজেলা বিএনপি নেতা এম মোবারক আলী।

সালাহউদ্দিন আহমদ সকালে কঙবাজার বিমান বন্দরে নেমে জেলা বিএনপির অফিস পরিদর্শন করেন। পরে সড়ক পথে চকরিয়া পৌর বাস টার্মিনালে এক গণসংবর্ধনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন। এর আগে কঙবাজার ত্যাগ করার পর থেকে সড়ক পথে সালাহউদ্দিন আহমদকে এক নজর দেখার জন্য হাজারো নারীপুরুষ রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে থাকেন।

এদিকে দীর্ঘ ১০ বছর পর সালাহউদ্দিনকে একনজর দেখতে চকরিয়া পৌর বাস টার্মিনাল এলাকায় অন্তত লক্ষাধিক লোকের সমাগম হয়। তাদের প্রিয় নেতা না আসা পর্যন্ত তারা সমাবেশস্থলে দাঁড়িয়ে থাকে। সালাহউদ্দিন আহমদ মঞ্চে উঠে দাঁড়ালে নেতাকর্মীরা আনন্দে আত্মহারা হয়ে নানারকম স্লোগান দিতে থাকেন। তার বক্তব্য শুনতে শুনতে এসময় অনেককে চোখের পানিও মুছতে দেখা যায়। পরে সন্ধ্যায় নিজ জন্মস্থান পেকুয়া উপজেলা সদরের চৌমুহনী চত্বরে বিশাল গণসংবর্ধনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন সালাহউদ্দিন আহমদ। সেখানেও লাখো জনতার উপস্থিতিতে আবেগঘন ভাষায় বক্তব্য দেন তিনি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধচাক্তাইয়ে পণ্যবাহী ট্রাকে চাঁদাবাজিতে জড়িতদের গ্রেপ্তারে আল্টিমেটাম
পরবর্তী নিবন্ধমীরসরাইয়ে বিএনপির দুই গ্রুপে হামলা-পাল্টা হামলা, আহত ২০