আগামী ৫ই জুন অনুষ্ঠিতব্য লোহাগাড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আনারস প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী লোহাগাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি খোরশেদ আলমের আনারস প্রতীকে ভোট চেয়ে ১০ হাজার টাকা জরিমানা দিতে হল পদুয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হারুন অর রশীদ প্রকাশ আর্মি হারুনকে। বিষয়টি দৈনিক আজাদীকে নিশ্চিত করেছেন সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ ইনামুল হাসান।
জানা যায়, ইউপি চেয়ারম্যান হারুন অর রশীদ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে তাঁর ব্যাক্তিগত আইডিতে “ভোট কিয়ত আনারস, ভোট কিয়ত আনারস” শিরোনামে একটি ভিডিও আপলোড করেন, ভিডিওতে দেখা যায় পদুয়া ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ের সামনে সেবাপ্রার্থী হিসেবে আসা লোকজনকে কোন ওয়ার্ডের ভোটকেন্দ্র কোনটি সেটি ধারণা দেওয়ার পাশাপাশি আনারস প্রতীকে ভোট দিতে বলেন।
বিষয়টি প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর পক্ষ থেকে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে ভিডিও প্রমাণ সহকারে অভিযোগ করলে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন নিয়ন্ত্রণে নিয়োজিত ম্যাজিস্ট্রেট ও লোহাগাড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার ভুমি নাজমুন লায়েল ৩০ শে মে সন্ধ্যায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে পদুয়া ইউপি চেয়ারম্যানকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
এবিষয়ে জানতে একাধিক বার পদুয়া ইউপি চেয়ারম্যান হারুন অর রশীদ এর মোবাইলে কল দেওয়া হলেও তিনি সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়ায় তাঁর বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।
এবিষয়ে জানতে চাইলে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ ইনামুল হাসান দৈনিক আজাদীকে বলেন, কোন সরকারি স্থাপনায় নির্বাচনী প্রচারণা চালানোর সুযোগ নেই। পদুয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হারুন অর রশীদ ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ের সামনে সেবাপ্রার্থী হিসেবে আসা লোকজনকে আনারস প্রতীকে ভোট দিতে বলেন। এই ধরনের একটি ভিডিও সহ প্রতিদ্বন্দী প্রার্থীর অভিযোগের ভিত্তিতে আচরণবিধি লঙ্ঘন নিয়ন্ত্রণে নিয়োজিত ম্যাজিস্ট্রেট ও লোহাগাড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার ভুমি নাজমুন লায়েল ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে এই অপরাধে অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান হারুন অর রশীদকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। আচরণবিধি লঙ্ঘনে কোন ছাড় নেই, একটি অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দিতে যা যা করতে হয় আমরা করব।