চট্টগ্রাম বন্দরে কন্টেনার জট সামাল দেয়ার সতর্কতায় বেসরকারি আইসিডিগুলোকে তিনদিনের মধ্যে অন্তত চার হাজার টিইইউএস কন্টেনার বন্দরের ইয়ার্ড থেকে সরানোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে। বন্দরের বিভিন্ন ইয়ার্ডে কন্টেনার রাখার জায়গার অভাব দেখা দেয়ায় গতকাল এ নির্দেশনা দেয়া হয়।
সূত্র জানায়, করোনাকালে কঠোর লকডাউনেও চট্টগ্রাম বন্দর পুরোদমে চালু রয়েছে। রমজানে দেশে পণ্য সরবরাহ নেটওয়ার্ক যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেই জন্য বন্দর সার্বক্ষণিক গতিশীল রাখার উপর সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া হয়। আগের লকডাউনের অভিজ্ঞতা থেকে নেয়া শিক্ষা, নতুন নতুন নির্দেশনা প্রদান ও এ্যাকশন প্ল্যান তৈরি করে এবার পরিস্থিতি সামাল দেয়া হয়। এতে রমজান উপলক্ষে আগের লকডাউন থেকে বেশি পণ্য আমদানি হলেও বন্দরের কার্যক্রম ছিল স্বাভাবিক। অথচ আগের বার লকডাউনকালে আমদানি কম থাকলেও বন্দরের কার্যক্রম প্রায় অচল হয়ে পড়েছিল।
সূত্র জানায়, বন্দরে গতকাল ৩৩ হাজার টিইইউএস কন্টেনার রয়েছে। এর মধ্যে বেসরকারি আইসিডিমুখী কন্টেনার রয়েছে ১২২৪ টিইইউএস। এছাড়া জেটিতে থাকা বিভিন্ন জাহাজে ডিপোমুখী কন্টেনার রয়েছে ৩৫৬৫ টিইইউএস। জাহাজ থেকে সব কন্টেনার নামলে ডিপোমুখী কন্টেনারের বিশাল পাহাড় তৈরি হবে।
এ অবস্থায় বেসরকারি আইসিডিগুলোকে গতকাল উক্ত নির্দেশনা দেয়া হয়। চিঠিতে বলা হয়, বন্দরের অপারেশনাল কাজে গতিশীলতা আনতে কন্টেইনারগুলো জরুরি ভিত্তিতে সরিয়ে নেয়া প্রয়োজন । জাহাজ হতে কন্টেনার খালাসের ৪ দিন ফ্রি টাইমের মধ্যে এবং একই বি/এল এর অন্তর্ভুক্ত সকল কন্টেনার একই সাথে যাতে ডিপোতে নেয়া যায় সে বিষয়টিও নিশ্চিত করতে হবে। কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে বন্দরের ভেসেল অপারেশন, ইয়ার্ড অপারেশনসহ আমদানি কন্টেনার অপারেশন সুষ্ঠুভাবে পরিচালনায় বিশেষ এ পদক্ষেপ নেয়ার কথা বলা হয়।