বিদেশি ক্রিকেটারদের জন্য নতুন আইন করার প্রস্তাব দিয়েছে আইপিএলের ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো। প্রস্তাবে বলা হয়েছে, নিলামে নাম দিয়ে যদি কোনো ক্রিকেটার প্রতিযোগিতা শুরু হওয়ার আগে সরে যায়, তাহলে তাকে শাস্তির আওতায় আনা উচিত। এই ব্যাপারে বৈঠকে সম্মতও হয়েছে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো। গত বুধবার বৈঠক করেছিল আইপিএলের ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো। খেলোয়াড় ধরে রাখা, মেগা নিলাম কয় বছর পরপর হবে, ইমপ্যাক্ট বদলির নিয়ম রাখা হবে কি না– ইত্যাদি বিষয় নিয়ে আলোচনা করার জন্য এই বৈঠক হয়েছিল। সেখানেই এই প্রস্তাব দেওয়া হয়। শুরুতে কিছু দল এই প্রস্তাব তুললেও পরে সবাই তাতে সম্মত হয়। সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, কোনো বিদেশি ক্রিকেটার যদি নাম দিয়েও আসর শুরুর আগে সরে যায় তাহলে তাকে দুই বছরের নির্বাসন দেওয়া হবে। তবে চূড়ান্তভাবে এই প্রস্তাব পাস হবে কিনা সেটি এখনো স্পষ্ট নয়। ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে প্রতিযোগিতা শুরুর আগমুহূর্তে আইপিএল থেকে চলে যাওয়ার ঘটনা ঘটছে নিয়মিত। এতে নিজেরা ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার কথা জানিয়েছে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো। যে কারণে ক্ষতি থেকে বাঁচতে এই আইনের প্রস্তাবনা দিয়েছেন তারা। তবে কোনো ক্রিকেটার যদি যৌক্তিক কারণ দেখিয়ে যায়, তাতে বাধা দেবে না ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো। এক্ষেত্রে তিনি যদি দেশের জন্য খেলতে যান অথবা আঘাত পেয়ে খেলতে না পারেন, বা পরিবারের কারও সমস্যার জন্য নাম সরিয়ে নিতে বাধ্য হন, আইপিএলের দলগুলো তাকে ছাড়তে রাজি আছে। ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো দাবি, বিদেশি ক্রিকেটারদের ন্যূনতম মূল্যে কেনা হলে বেশি সমস্যায় পড়তে হয়। সেই সময় ওই ক্রিকেটারের ম্যানেজার নাকি জানান, বেশি টাকা পেলে খেলতে রাজি। নিলামে কম টাকা পাওয়ায় খেলবেন না তিনি। সামপ্রতিক আসরগুলোতে আরও একটি প্রবণতা লক্ষ্য করেছে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো। বড় নিলামে নিজেদের নাম লেখাচ্ছে না বিদেশি ক্রিকেটারেরা। মিনি নিলামে নাম লেখাতেই আগ্রহ তাদের। এই ধরনের নিলামে বেশি টাকা পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলেই তারা এমনটি করছেন। এটাও বন্ধ করার উদ্যোগ নিতে চায় দলগুলো। উল্লেখ্য গেল মৌসুমে মিনি নিলামে মিচেল স্টার্কের দাম উঠেছিল ২৪ কোটি ৭৫ লক্ষ টাকা। কিন্তু ২০২২ সালের বড় নিলামে সব চেয়ে বেশি টাকা পাওয়া ঈশান কিশানের মূল্য ছিল ১৫ কোটি ২৫ লক্ষ টাকা। সেই কারণে বড় নিলামে নাম না দিলে মিনি নিলামে জায়গা নাও হতে পারে বিদেশি ক্রিকেটারদের।