আইপিএলের বাকি অংশ আয়োজন করতে চায় শ্রীলংকা এবং ইংল্যান্ড

স্পোর্টস ডেস্ক | শনিবার , ৮ মে, ২০২১ at ৫:৫৪ পূর্বাহ্ণ

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত হয়ে গেছে ইন্ডিয়ান প্রমিয়ার লিগ (আইপিএল) এর ১৪তম আসর । বর্তমান পরিবেশ-পরিস্থিতি বিবেচনায়, চলতি বছর ভারতের মাটিতে আইপিএলের বাকি অংশ আয়োজন করা প্রায় অসম্ভব। তাই এবার সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলো উপমহাদেশের আরেক ক্রিকেটীয় দেশ শ্রীলংকা। আইপিএলের বাকি থাকা ৩১ ম্যাচ আয়োজন করে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডকে সাহায্য করার আগ্রহ দেখিয়েছে ংকান ক্রিকেট বোর্ড । অপরদিকে বৃহস্পতিবার আইপিএলের বাকি ম্যাচগুলো আয়োজনের ইচ্ছার কথা জানিয়েছিল ইংল্যান্ডের চার কাউন্টি দল এমসিসি, সারে, ওয়ারউইকশায়ার এবং ল্যাঙ্কাশায়ার। তারা নিজেদের মাঠে আইপিএল আয়োজন করতে ইচ্ছুক। আর এবার এগিয়ে এলো শ্রীলংকাও।
মূলত আগামী জুলাই-আগস্ট মাসে নিজেদের ঘরের মাঠে লংকান প্রিমিয়ার লিগ (এলপিএল) আয়োজন করবে শ্রীলংকা। সব ঠিক থাকলে এলপিএল শেষে আইপিএলের বাকি ম্যাচগুলো আয়োজন করা যাবে বলে জানিয়েছেন লংকান ক্রিকেট বোর্ডের ব্যবস্থাপনা কমিটির প্রধান প্রফেসর অর্জুন ডি সিলভা। শ্রীলংকা সংবাদমাধ্যমে অর্জুন জানিয়েছেন, অবশ্যই আমরা সেপ্টেম্বরে আইপিএল আয়োজনের সূচি বের করতে পারব। আমরা শুনতে পেয়েছি যে, আইপিএল আয়োজনের বিকল্প ভেন্যু হিসেবে আরব আমিরাতের কথা ভাবা হচ্ছে। কিন্তু শ্রীলংকাকেও এখানে বাদ দেয়া যাবে না। চলতি আগামী ২০ মে বোর্ডের দায়িত্ব শেষ হয়ে যাবে অর্জুন ডি সিলভার। তবে জানা গেছে, তিনিই আবার এ পদে দায়িত্ব গ্রহণ করবেন। তাই লংকান প্রিমিয়ার লিগ আয়োজনের ব্যাপারেও আশাবাদী অর্জুন। তিনি বলেণ আমরা জুলাই-আগস্টে এলপিএল আয়োজনের কথা ভাবছি। এরপর সেপ্টেম্বরে আইপিএল আয়োজনের জন্য বাকি সব প্রস্তুত হয়ে যাবে।
এদিকে ইংল্যান্ডের তিন ক্লাব আইপিএলের ম্যাচ আয়োজনের প্রস্তাব ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডকে দেওয়ার জন্য ইসিবির কাছে লিখেছে তারা। ক্লাব তিনটির ঘরের মাঠ যথাক্রমে লর্ডস, দা ওভাল ও এজবাস্টন। সেপ্টেম্বরের দ্বিতীয়ার্ধে দুই সপ্তাহের মধ্যে টুর্নামেন্ট শেষ করার পরিকল্পনা তাদের। প্রন্তাবটি গৃহীত হলে আরেক কাউন্টি ক্লাব ল্যাঙ্কাশায়ারের ঘরের মাঠ ওল্ড ট্র্যাফোর্ডেও ম্যাচ আয়োজন করা হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যদিও ল্যাঙ্কাশায়ার স্পষ্ট করে জানিয়েছে, চিঠি সম্পর্কে তারা অবগত। তবে সেখানে তাদের স্বাক্ষর ছিল না। স্থগিত ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টটি শুধু শেষ করাই তাদের ভাবনার মুখ্য বিষয় নয়। কাউন্টি ক্লাবগুলোর যুক্তি, আইপিএল হলে সেরা ছন্দে থেকে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে যেতে পারবেন বিশ্বের শীর্ষ ক্রিকেটাররা। ভারতে কোভিড পরিস্থিতিতে বিশ্বকাপ সংযুক্ত আরব আমিরাতে সরিয়ে নেওয়ার সম্ভাবনা আছে। সেক্ষেত্রে আইপিএল ইংল্যান্ডে হলে আমিরাতের উইকেটগুলোও তাজা থাকবে বলে ক্লাবগুলোর মত।

পূর্ববর্তী নিবন্ধদুই জুয়াড়ির মাধ্যমে করোনা ছড়ায় আইপিএলে
পরবর্তী নিবন্ধশ্রীলংকার বিপক্ষে সিরিজ জেতার স্বপ্ন সাইফ উদ্দিনের