এবারের আইপিএলে রশিদ খান যেন তার ছায়া হয়ে আছে। আসরের শুরু থেকেই যে নিজেকে হারিয়ে খুঁজছেন আফগানিস্তানের তারকা লেগ স্পিনার। সেই ধারাবাহিকতায় এবার ভারতের ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগের একটি অনাকাঙ্খিত রেকর্ডে নাম উঠে গেল তার। চলতি আইপিএলের প্রাথমিক পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে গতকাল রোববার চেন্নাই সুপার কিংসের বিপক্ষে খেলতে নেমে একদমই ভালো করতে পারেননি রশিদ। গুজরাট টাইটান্সের এই স্পিনার একটি উইকেট পেয়েছেন বটে, তবে চার ওভারে দিয়েছেন ৪২ রান। অপ্রত্যাশিত রেকর্ডটা গড়েন তিনি ছক্কা হজম করায়। এদিন তাকে তিনটি ছক্কা মারেন চেন্নাইয়ের দুই ব্যাটসম্যান ডেভন কনওয়ে (দুটি) ও বেওয়াল্ড ব্রেভিস (একটি)। তাতে এবারের আইপিএলে এখন পর্যন্ত রাশিদের হজম করা ছক্কার সংখ্যা হলো ৩১টি। আইপিএলের এক আসরে রাশিদের চেয়ে বেশি ছক্কা হজম করেননি আর কেউ। ২০২২ সালে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর হয়ে সমান ৩১ ছক্কা খেয়েছিলেন পেসার মোহাম্মদ সিরাজ। যিনি এখন গুজরাটে রশিদের সতীর্থ। পয়েন্টে টেবিলের শীর্ষে থাকা গুজরাট প্লে–অফে অন্তত দুটি ম্যাচ খেলবে। প্রাথমিক পর্বে দলটির হয়ে সব ম্যাচ খেলা রাশিদ স্বাভাবিকভাবেই থাকবেন দলে। তাই ছক্কা হজমের অনাকাঙ্খিত রেকর্ডটি তার একার হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। তালিকায় যৌথভাবে দুইয়ে শ্রীলঙ্কা ও ভারতের লেগ স্পিনার ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা ও ইউজবেন্দ্র চেহেল। ২০২২ সালে বেঙ্গালুরুর হয়ে হাসারাঙ্গা এবং ২০২৪ সালে রাজস্থান রয়্যালসের জার্সিতে চেহেল ৩০ ছক্কা হজম করেছিলেন।
২০১৮ সালে চেন্নাইয়ের হয়ে ২৯ ছক্কা খেয়ে তৃতীয় স্থানে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ডোয়াইন ব্রাভো। এবারের আইপিএলে শুরু থেকেই চেনা রূপে নেই রশিদ। দুই–তিনটি ম্যাচ ছাড়া কোনো ম্যাচে সুবিধে করতে পারেননি। এখন পর্যন্ত ১৪ ম্যাচ খেলে উইকেট নিতে পেরেছেন কেবল ৯টি। ওভারপ্রতি রান দিয়েছেন ৯.৪৭ করে।