আইন সংশোধন করে চসিকের ক্ষমতা বাড়ানোর সুপারিশ

আজাদী প্রতিবেদন | রবিবার , ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২০ at ৩:৪৫ পূর্বাহ্ণ

প্রয়োজনে আইন সংশোধন করেও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) ক্ষমতা বাড়ানোর সুপারিশ করেছেন বিশিষ্টজনরা। তারা মনে করেন, ক্ষমতায়নের ফলে নগরের অন্যান্য সেবাসংস্থাগুলোর সঙ্গে সমন্বয় নিশ্চিত করা যাবে এবং এর মধ্য দিয়ে মানসম্মত সেবা নিশ্চিতে সক্ষম হবে সংস্থাটি। গতকাল শনিবার নগরের টাইগারপাসস্থ নগর ভবনের সম্মেলন কক্ষে প্রশাসকের গঠিত পরামর্শক কমিটির প্রথম সভায় এসব মতামত দেন তারা। সভায় চসিককে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী করার জন্য চট্টগ্রাম বন্দর ও কাস্টম থেকে হিস্যা দেয়ারও দাবি তুলেছেন প্রশাসক। একইসঙ্গে পৌরকর পরিশোধ না করলে চসিক কর্তৃক সুযোগ সুবিধা দেয়া হবেনা বলেও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন তিনি।

সভায় বন্দরকাস্টম থেকে হিস্যা আদায়ে কমিটি গঠন, সমন্বয় সভায় সেবাসংস্থাগুলোর প্রধানদের উপস্থিতি ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণ, শূন্য ম্যাচিং ফান্ডে প্রকল্প অনুমোদনে প্রয়োজন তদাবির করা, আইন নিশ্চিতে কঠোর হওয়া এবং যেখানেসেখানে ময়লাআবর্জনা ফেললে উন্নত দেশগুলোর ন্যায় জরিমানা আদায়, বাণিজ্যিক রাজধানীর বিষয়ে বাণিজ্যমন্ত্রণালয়ের ১৭ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নসহ বিভিন্ন দাবি ও সুপারিশ করেন পরামর্শক কমিটির সদস্যরা।

সভায় চসিক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন বলেন, নগরের অভিভাবক প্রতিষ্ঠান সিটি কর্পোরেশন সত্যিকার অর্থে নানা আর্থিক সংকটসহ বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত থাকায় চট্টগ্রামকে আন্তর্জাতিক মানের পর্যায়ে উন্নীত করার মতো দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছে। আবার এটাও সত্য আর্থিক সক্ষমতা অর্জনের অনেক সম্ভাবনার দুয়ার খোলা রয়েছে আমাদের। নগরের বেনিফিশিয়ারি সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর নিজস্ব আয় ও তহবিলের একটি অংশের বরাদ্দ নিশ্চিত করা গেলে নগরীকে আন্তর্জাতিক মানের উন্নীত করার সমস্ত প্রতিবন্ধকতা দূর হবে। একইসাথে নাগরিক সুযোগসুবিধা এবং বিভিন্ন সেবাখাতগুলোর কার্যক্রম যথাযথভাবে নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।

তিনি বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর ও কাস্টমস থেকে থেকে সরকার যে ট্যাঙ নিয়ে যাচ্ছে, সেখান থেকে শতকরা ১ শতাংশ দিলেও সিটি কর্পোরেশনের আর্থিক সক্ষমতার ভিত্তি সুদৃঢ় হবে এবং নগরের উন্নয়নে অন্য কারোর উপর নির্ভরশীল হতে হবে না। এসময় তিনি জাতীয় অর্থনীতির ৮০ শতাংশের বেশি আয় চট্টগ্রাম বন্দরের মাধ্যমে অর্জিত হয় বলেও স্মরণ করিয়ে দেন।

তিনি বলেন, নগরের রাস্তাগুলোর ধারণ ক্ষমতা ৫ টন। অথচ ইপিজেড ও বন্দরকেন্দ্রিক পরিবহণগুলো ১০১৫ টনের বেশি মালামাল বহন করে থাকে। বাড়তি চাপে সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাই সড়ক কাঠামো উন্নয়নে তাদেরও একটি অংশগ্রহণ থাকা বাঞ্চনীয়।

প্রশাসক আরো বলেন, বিট্রিশ আমল থেকে চট্টগ্রামের তিন ভাগের এক ভাগ জায়গার মালিকানা রেল ও বন্দর কর্তৃপক্ষের। তাদের অব্যবহৃত জায়গাগুলো সরকারের অন্যান্য সেবা খাতকে হস্তান্তর করতে হবে। কিন্তু গত ১০০ বছরেও রেল ও বন্দরের বিপুল পরিমাণ জায়গা পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে এবং অবৈধ দখলদারদের হাতে চলে গেছে। তিনি পাহাড়তলী থেকে ভাটিয়ারী পর্যন্ত রেলের জায়গাগুলো সিটি কর্পোরেশনে হস্তান্তর করা হলে সেখানে ক্যাবল কারের মাধ্যমে যোগাযোগ ব্যবস্থা সম্প্রসারণ ছাড়াও অনেকগুলো শিল্পবাণিজ্যিক স্থাপনা গড়ে তোলা যায় বলে মত দেন।

সভা শেষে প্রশাসক সাংবাদিকদের বলেন, যারা সিটি কর্পোরেশনের সুযোগসুবিধা ভোগ করছে অথচ ট্যাঙ দিচ্ছে না, তারা কর্পোরেশনের সুবিধা ভোগ করতে পারবে না। তাছাড়া চট্টগ্রাম বন্দর, বিপিসিসহ সরকারি যেসব প্রতিষ্ঠান এই শহরের সুযোগসুবিধা ব্যবহার করে আয় করে, তাদের সরকারি কর তফসিল অনুযায়ী ট্যাঙ পরিশোধ করতে হবে। এ ব্যাপারে পরামর্শক কমিটি বেশ কিছু পরামর্শ দিয়েছে।

সভা প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন বলেন, সিটি করপোরেশনের সাধারণ সভা ও সমন্বয় সভায় প্রতিটি সেবা সংস্থার প্রধানের উপস্থিত থাকার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু তারা উপস্থিত না হলে কি ব্যবস্থা নেওয়া হবে সে বিষয়ে আইনে উল্লেখ নেই। যার কারণে যেকোন একজন কর্মকর্তাকে পাঠিয়ে দায় সারেন সংস্থা প্রধানরা। যাকে পাঠান তার সিদ্ধান্ত দেওয়ার কোন ক্ষমতা নেই। ফলে সমন্বয়হীনতার কারণে নগরের নানা দুর্ভোগের সৃষ্টি হয়। এই দুর্ভোগ লাঘবে আইন সংশোধন করে ১৯৯৩ সালের পূর্বের অবস্থায় ফিরে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া বিশিষ্টজনেরা। সবগুলো পরামর্শ একত্র করে মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করে বাস্তবায়নের চেষ্টা করা হবে।

সভায় পরামর্শক কমিটির প্রধান সাবেক মুখ্য সচিব ও ব্রাক এর সিনিয়র এডভাইজার মোহাম্মদ আবদুল করিম, বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনে প্রকল্প থেরি করে মন্ত্রণালয়ে প্রেরণের প্রস্তাব দেন। এবং যেখানে প্রয়োজন সুপারিশ ও তদবির করার ঘোষণা দেন। তিনি পরিচ্ছন্ন নগর নিশ্চিতে আইনের প্রয়োগ কঠোরভাবে করার পরামর্শ দিয়ে বলেন, ইচ্ছেমত ময়লাআর্বজনা ফেললে প্রয়োজনে সিঙ্গাপুরের মত জরিমানার ব্যবস্থা করতে হবে।

পরামর্শক কমিটির সদস্য ও সদ্য সাবেক সিটি মেয়র আ..ম নাছির উদ্দীন বলেন, স্থানীয় সরকার আইনে সিটি কর্পোরেশনের প্রতিটি সমন্বয় সভায় সংশ্লিষ্ট সেবা সংস্থা অংশগ্রহণের জন্য নির্দেশনা আছে। প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের পরিপত্রও আছে। কিন্তু অনুপস্থিত থাকলে বা সমন্বয় না করলে সংস্থাগুলোর প্রতি সিটি কর্পোরেশনের করণীয় নির্ধারণে কোন বিধান নেই। অনেক ক্ষেত্রে সমন্বয় সভাগুলোতে সংস্থা প্রধান না এসে একজন প্রতিনিধি পাঠানো হয়। অথচ সভায় উপস্থিত প্রতিনিধির কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণ বা প্রদানের ক্ষমতা নেই। এতে করে সমন্বয়হীনতা রয়েই যাচ্ছে। এক্ষেত্রে স্থানীয় সরকার আইন সংশোধনের বিষয়টি নিয়ে ভাববার সময় এসেছে।

দায়িত্ব ছাড়ার সময় চসিকে রেখে যাওয়া বকেয়া নিয়ে সমালোচনার প্রসঙ্গটি তুলে ধরে আ..ম নাছির উদ্দীন বলেন, আমি ৫ বছর চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে অনেক ভালমন্দ অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি। সেবার পরিধিকে বিস্তৃত করতে গিয়ে সহযোগিতার পাশাপাশি অনেক বাধাগ্রস্তও হয়েছি। এছাড়াও গণমাধ্যমেরও অনাকাঙ্খিত সমালোচনা, তিক্ত অভিজ্ঞতাও অর্জন করেছি। আমি যখন দায়িত্ব গ্রহণ করি তখন ঠিকাদার, কর্মকর্তাকর্মচারীদের অবসর গ্রহণকালীন পাওনা বাবদ সাড়ে ৩০০ কোটি টাকা ঋণ ছিল। আমি সাবেক মেয়র মহিউদ্দীন চৌধুরী আমলের ৬০ কোটি টাকা পরিশোধ করি এবং মনজুর আলমের প্রায় ৩০০ কোটি টাকা পরিশোধ করি। চলমান উন্নয়ন কাজ পক্রিয়ায় দেনা থাকাটাই স্বাভাবিক। আমার মেয়াদকালে প্রকল্প বেড়েছে এবং কাজও হয়েছে। এক্ষেত্রে প্রকল্প ব্যয় বাড়ায় ঠিকাদারদের দেনাও বেড়েছে। কারণ প্রকল্পে ২০ থেকে ৩০ শতাংশ ম্যাচিং ফান্ড দিতে হয়। সে সক্ষমতা সিটি কর্পোরেশনের নেই। কাজেই এর সমাধান হতে হলে সিটি কর্পোরেশনের আর্থিক সক্ষমতা অর্জনে সরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে পাওনাগুলো যাতে আদায় হয় সে ব্যাপারে সরকারকে সুনির্দিষ্ট বিধিবিধান তৈরি করে দিতে হবে। উন্নয়ন ব্যায় বৃদ্ধি পাওয়ায় দেনা বেড়েছে, এটাকে নেগেটিভ ভাবার সুযোগ নেই।

পরামর্শক কমিটির সদস্য ও সাবেক মেয়র মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, সিটি গভর্মেন্ট গঠন ছাড়া চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সার্বিক কর্তৃত্ব অর্জন অসম্ভব। কারণ চট্টগ্রামের উন্নয়নের সাথে সংশ্লিষ্ট সকল সেবার সংস্থার সমন্বয়ের নেতৃত্ব সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচিত মেয়রের হাতে না থাকলে তিনি হবেন টুঁটো জগন্নাথ। তিনি আরো বলেন, আমি মেয়র থাকাকালে একটি অর্গানোগ্রাম তৈরি করেছিলাম। যা আজ অবধি বাস্তবায়ন হয়নি।

পরামর্শক কমিটির সদস্য দৈনিক আজাদী সম্পাদক এম এ মালেক বলেন, সংবাদপত্রের সম্পাদক হিসেবে চট্টগ্রামবাসীর মনের কথাগুলো গুরুত্বের সাথে আমলে নিই। নগরবাসীর সমস্যা দুর্ভোগ সম্পর্কে অনেকের নানারকম কথা থাকে। এগুলো তুলে ধরতে হয়। এসব কথায় সমালোচনা যেমন থাকে তেমনি পরামর্শও থাকে। এতে কারো মনক্ষুন্ন হওয়ার কোন কারণ নেই। বিগত মেয়রের আমলে দৈনিক আজাদী নগরবাসীর সমস্যার কথা তুলে ধরেছে এবং সমাধানের পরামর্শ দিয়েছে। প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদকেও আমরা উপেক্ষা করিনি বরং তা গুরুত্বের সাথে পরিবেশন করেছি।

পরামর্শক কমিটির সদস্য চট্টগ্রাম বন্দর কর্র্তৃপক্ষের সাবেক উর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও নৌবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত ক্যাপ্টেন কমডোর জোবায়ের আহমেদ বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরের উদ্বৃত্ত অংশ দেশের বিভিন্ন কাজে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে সিটি কর্পোরেশনের হিস্যা আদায় করার জন্য একটি গঠনেরও পরামর্শ দেন তিনি। তিনি বলেন, সিটি কর্পোরেশনকে মাত্র এক শতাংশ দিলেও চট্টগ্রামের উন্নয়নের ক্ষেত্রে একটি বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনা সম্ভব। তাই আমি বলব চট্টগ্রামের সামগ্রিক উন্নয়নের সাথে চট্টগ্রাম বন্দরের সম্পৃক্ততা সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন।

পরামর্শক কমিটির সদস্য ও বিজিএমইএ’র প্রথম সহসভাপতি এম..সালাম বলেন, প্রশাসক এই পরামর্শক কমিটি গঠন করে যে উদ্যোগ নিয়েছেন এর একটি ইতিবাচক সুফল আনতে হলে ব্যবসায়ী সমাজ থেকে যা করণীয় তা নির্ধারণের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি। আজকে এই সভায় বিগত মেয়রসহ যে সকল গুণী ব্যক্তিত্বের সমন্বয়ের মধ্য দিয়ে চিন্তার আদানপ্রদানে একটি আবহ তৈরি করেছেন।

পরামর্শক কমিটির সদস্য ও নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, প্রশাসক আমাদের দলের এবং মহানগর কমিটির একজন গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তা। তিনি ব্যক্তিগতভাবে নগরবাসীর সুখদুঃখের সাথে পরিচিত। তাই তিনি নগরবাসীর স্বার্থে যতটুকু সহযোগিতা চাইবেন দল থেকে তা দিতে আমরা অঙ্গিকারাবদ্ধ।

পরামর্শক কমিটির সদস্য ও শিক্ষাবিদ হাসিনা জাকারিয়া বলেন, দক্ষ মানব সম্পদ সৃষ্টি করতে হলে শিক্ষার বিকল্প নেই। সেই সাথে বৃত্তিমূলক কারিগরি শিক্ষার পরিধি বাড়াতে হবে। তিনি আরো বলেন, চট্টগ্রামের উন্নয়ন চেতনার সাথে ৩টি ‘ম’ যুক্ত করতে হবে, এগুলো হলো মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তবুদ্ধি ও মানবিকতা।

চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সভাপতি আলী আব্বাস বলেছেন, আজকে প্রশাসকের আহবানে আমরা সাড়া দিয়েছি। চট্টগ্রামের উন্নয়নে আমরা সবসময় পাশে থাকবো। আমি মনে করি চসিকের বড় বড় প্রকল্পের সাথে মাঝারি ও ক্ষুদ্র উদ্যোগগুলো সহসা বাস্তবায়ন হলে জনগণ উপকৃত হবেন।

পরামর্শক কমিটির সদস্য ও চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এ্যান্ড এ্যানিমেল সায়ন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর গৌতম বুদ্ধ দাশ বলেন, নগরীর বেওয়ারিশ কুকুর থেকে মুক্তি পেতে চসিককে সহযোগিতা করতে চাই।

পরামর্শক কমিটির সদস্য ও নগর পরিকল্পনাবিদ ও রাশিয়ার অনারারি কনসাল স্থপতি আশিক ইমরান বলেন, আমি প্রশাসকের আহ্বানে ঐতিহ্যবাহী লালদিঘীর পার্কটিকে সংস্কার করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। ইতোমধ্যে সেখানে যুদ্ধবিধ্বস্থ চট্টগ্রাম বন্দরকে মাইনমুক্ত করার জন্য যুদ্ধ পরবর্তী যে সকল সোভিয়েত ইউনিয়নের নাবিক প্রাণ দিয়েছিলেন তাদের মধ্যে রেডকিন নামে যিনি ছিলেন তার স্মরণে একটি স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি। যার ফলে নতুন প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের পর বিদেশি নাগরিকের আত্মনিবেদনের ইতিহাস সম্পর্কে জানতে পারবে।

পরামর্শক কমিটির সদস্য ও ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন চট্টগ্রাম কেন্দ্রের সভাপতি প্রবীর কুমার সেন বলেন, বিগত মেয়রের আমলে নগরীর উন্নয়নে আমি সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রদান করেছি। বিশেষ করে রাস্তার উপর যে পোলগুলো ছিল তা সরিয়ে দিয়েছি। এখনো আমি একজন প্রকৌশলী হিসেবে প্রশাসক মহোদয় যখন যে সহায়তা চাইবে তা প্রদানে আগ্রহী।

সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মো. মোজাম্মেল হকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন চসিক সচিব মোহাম্মদ আবু শাহেদ চৌধুরী, প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্ণেল সোহেল আহমেদ পিএসসি, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মো.মুফিদুল আলম, প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা সুমন বড়ুয়া, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আকতার চৌধুরী, প্রশাসকের একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাশেম, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক,প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ এ.কে.এম রেজাউল করিম, অতিরিক্ত প্রধান হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির চৌধুরী।

পূর্ববর্তী নিবন্ধইঞ্জিনিয়ার আবদুল খালেককে শ্রদ্ধা ভালোবাসায় স্মরণ
পরবর্তী নিবন্ধযে কারণে ঢাকার চেয়ে চট্টগ্রামে কর বেশি