‘আইনি লড়াই কেবল শুরু’

| বুধবার , ১১ নভেম্বর, ২০২০ at ৫:৫২ পূর্বাহ্ণ

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেনের জয়ের দাবিকে চ্যালেঞ্জ করে আইনি লড়াই কেবল শুরু হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠরা। হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি কেইলি ম্যাকএনানি এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, নির্বাচন এখনও শেষ হয়নি। শেষ এখনও অনেক দূরে।’ বিবিসি জানিয়েছে, সংবাদ সম্মেলনে ম্যাকএনানি নির্বাচনে কারচুপির একগাদা অভিযোগ আনলেও জালিয়াতির তেমন কোনো প্রমাণ হাজির করেননি, যা ভোটের এখনকার ফলাফল বদলে দিতে পারে।
ইলেকটোরাল কলেজ ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বী বাইডেনই যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হতে যাচ্ছেন বলে এখন পর্যন্ত প্রাপ্ত ভোটে দেখা গেলেও, ট্রাম্প এখনও হার স্বীকার করে নেননি। জো বাইডেন ক্ষমতা গ্রহণের প্রস্তুতি শুরু করলেও সোমবার ট্রাম্প ফের নির্বাচনের ফল মেনে নিতে আপত্তি জানান। অকাট্য কোনো প্রমাণ ছাড়াই তিনি টুইটারে দেওয়া পোস্টে বলেন, ৩ নভেম্বরের ভোটে ‘অভাবনীয় ও অবৈধ কর্মকাণ্ড’ হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন কেন্দ্রীয় সংস্থার দায়িত্বে থাকা জেনারেল সার্ভিস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনও বাইডেনের উপদেষ্টাদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের আনুষ্ঠানিকতা শুরুর প্রক্রিয়া বন্ধ রেখেছে। নির্বাচনে কে বিজয়ী হয়েছে তা ‘নিশ্চিত করে বলা না যাওয়ায়’ আনুষ্ঠানিকতা শুরু করা যাচ্ছে না, বলেছে তারা।
ট্রাম্প প্রশাসন ক্ষমতা হস্তান্তর প্রক্রিয়ায় বাধা সৃষ্টি করলে বাইডেন প্রশাসনও আইনি লড়াইয়ের কথা বিবেচনা করছে বলে জানিয়েছে সিবিএস নিউজ। নিয়ম অনুযায়ী, ২০ জানুয়ারি নতুন প্রেসিডেন্ট শপথ নেওয়ার কথা। এর আগেই বিদায়ী ও আসন্ন প্রশাসনের মধ্যে সমন্বয়ের কাজটি সেরে নিতে হয়। কিন্তু তা এখনও শুরুই হয়নি। সোমবার বাইডেন শিবিরের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছে, বিষয়টি নিয়ে এখন আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার কথা ভাবছেন তারা। মার্কিন গণমাধ্যমের বেশ ক’জন হোয়াইট হাউস প্রতিবেদক জানিয়েছেন, নির্বাচন নিয়ে আপত্তি থাকলেও ট্রাম্প জানুয়ারিতেই হোয়াইট হাউস ছাড়বেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। তিনি এরই মধ্যে ২০২৪ সালের নির্বাচনে অংশ নেওয়া নিয়েও কথাবার্তা শুরু করেছেন, জানিয়েছে তারা। সংবাদ সম্মেলনে ম্যাকএনানি পেনসিলভেইনিয়ার ফিলাডেলফিয়াতে রিপাবলিকান নির্বাচনী পর্যবেক্ষকদের কেন্দ্রে পর্যাপ্ত প্রবেশাধিকার দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন। রাজ্যটির নির্বাচনী কর্মকর্তারা বিপুল সংখ্যক ডেমোক্র্যাটকে তাদের ভুলভাল ব্যালট ঠিক করে নেওয়ার সুযোগ করে দিয়েছিল বলেও দাবি করেন তিনি। রিপাবলিকান ন্যাশনাল কমিটির চেয়ারউইম্যান রনা ম্যাকডেনিয়েল বলেছেন, নির্বাচনের অনিয়মের অভিযোগ নিয়ে নিজেদের তদন্তে তারা কেবল মিশিগান থেকেই ১৩১টি এফিডেবিট সংগ্রহ করেছেন। তিনি বলেন, ‘যদি অন্য পায়ে জুতোটা পরানো হতো। যদি এই ধরনের সামান্য ব্যবধানই থাকতো আর প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সবগুলো রাজ্যে এগিয়ে থাকতেন, তাহলে গণমাধ্যমই চিৎকার করে বলতো, ‘এই নির্বাচন শেষ হয়নি’।
এদিকে রিপাবলিকান পার্টির জ্যেষ্ঠ সদস্যদের অনেকেই ট্রাম্পকে হার মেনে নিতে চাপ দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবর্ষসেরা শব্দ ‘লকডাউন’
পরবর্তী নিবন্ধফাইজারের টিকা নিয়ে যা জানা দরকার