বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো অনুষ্ঠান, টেলিভেশনের পর্দা অথবা গানের কোনো আয়োজনে প্রয়াত গায়ক এন্ড্রু কিশোর তার শিল্পী পরিচয় তুলে ধরলেও, চলচ্চিত্রে গান গাওয়ার সুবাদে তিনি হয়েছিলেন প্লেব্যাক সম্রাট। কিন্তু মৃত্যুর পর চলচ্চিত্রের গানগুলো থেকে তেমন কোনো রয়্যালিটি মিলছে না বলে জানিয়েছেন কিশোরের স্ত্রী লিপিকা এন্ড্রু। খবর বিডিনিউজের।
সোমবার গায়কের ৬৯তম জন্মবার্ষিকীতে গ্লিটজের সঙ্গে আলাপচারিতায় লিপিকা বলেছেন, কপিরাইট আইন নিয়ে জটিলতা তৈরি হওয়ায় শিল্পীর গাওয়া চলচ্চিত্রের গানের অধিকার পাওয়া যাচ্ছে না। লিপিকা বলেন, কিশোর চলচ্চিত্রের গানই তো বেশি করেছে। গানগুলোতে রয়্যালিটি দাবি করেও আমরা কিছু পাচ্ছি না।
তবে ক্যাসেটের গানগুলোর পাচ্ছি। তার অনেক ক্যাসেট সংগীতা কোম্পানি থেকে বের হয়েছে। সেগুলোর মালিক সংগীতা হলেও এন্ড্রু কিশোরের স্বত্বাধিকার তারা দিচ্ছে। কপিরাইট আইন জানতে গ্লিটজের কথা হয় সাবেক রেজিস্ট্রার অব কপিরাইটস ও কপিরাইট আপিল বোর্ডের সদস্য জাফর রাজা চৌধুরীর সঙ্গে।
তিনি বলেন, গানের কপিরাইট দুই ধরনের। মোর্যাল রাইট ও কমার্শিয়াল রাইট। সিনেমার গান কমার্শিয়াল রাইটের মধ্যে পড়ে। যেটা মালিকানায় একটু পার্থক্য আছে। সিনেমার গানগুলো যেহেতু নির্দিষ্ট সিনেমার জন্য ব্যবহার করা হয় তাই এটার গীতিকার, সুরকার ও শিল্পী নির্দিষ্ট টাকার বিনিময়ে একটি চুক্তিপত্রে যুক্ত হন। কিন্তু মালিকানা থাকে প্রযোজকের। ২০০০ সালে প্রণয়ন করা কপিরাইট আইন অনুযায়ী চলচ্চিত্রের গানের ক্ষেত্রে একমাত্র মালিক প্রোডিউসারকে দেওয়া হয়। তবে গানের ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে প্রচার এবং শিল্পীদের দাবির প্রেক্ষিতে আইন সংশোধন করা হয়েছে বলে জানান জাফর রাজা চৌধুরী।